
প্রবীণ তারাই যারা জীবনের অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে কর্মক্ষম সময়ে সংসার চালনা করেছেন। সন্তানদের মানুষ করেছেন। তাদের স্বাদ আহ্লাদ পূরণ করেছেন। পদে পদে সন্তানদের ভবিষ্যৎ ভাবনা ভেবেছেন। তারাই কর্মজীবন শেষ হলে বার্ধক্যে উন্নীত হন। তখন যেন তারা শিশুর মতোই পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েন। পৃথিবীতে দুঃখ-কষ্ট আছে। তবে পৃথিবীটা সুন্দরের দান, যা কিছু সুন্দর যা কিছু মহান তা ভালো মানুষের মাধ্যমে আসে। আমরা সুন্দর পৃথিবী গড়তে চাইলে সুন্দর পরিবারও গড়ার দায়িত্বও আমাদের। শিশু বড় হয় পরিবারের মাঝে সবার আদর যত্নে। সেখান থেকে শিক্ষা পায় স্নেহ মমতা সেবার। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বেড়েছে। বয়স্ক মানুষ বাসায় থাকলে শিশুরা নিরাপদ মনে করে। বয়স্ক ও শিশুর মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। কর্মজীবী মা-বাবার ভরসার স্থল হয়ে উঠে বয়স্ক অভিভাবক।
বয়স্ক মানুষকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব প্রত্যেক সন্তানের, সে ছেলেই হোক আর মেয়েই হোক। তাদের খাবার-দাবার, ওষুধ-পথ্যের দিকে খেয়াল ও দায়িত্ব সন্তানদের। আমরা স্কুল, কলেজগামী সন্তানদের হোক সে প্রতিবেশী তাদের কিছু সময়ের জন্য বয়স্কদের সঙ্গ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি। তাতে উভয়ে উপকৃত হবে। প্রবীণদের সংগঠন গড়ে উঠেছে নানা জায়গায়। সেখানে সমাজের কম বয়স্ক সন্তানরা যুক্ত হলে সমাজের অনেক অবক্ষয় দূর হবে। আমরা একটা সুন্দর সমাজ ও দেশ পেতে পারি। যৌথ পরিবার ভেঙে যাওয়াটা মোটেই মঙ্গলজনক নয়।
আমরা ডাক্তার হই, শিক্ষক হই যা কিছু হয়ে থাকি। মানুষের মাঝেই আমাদের বিচরণ। এতে নিজের স্বার্থকে কেবল গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অন্যের মঙ্গল কামনা করা হয়। পৃথিবী এতে শান্তিময় হয়ে উঠে। প্রবীণের একক পরিবারে অন্তত আপনজনের মাঝে ঠাঁই হয়, এটাই কাম্য হওয়া উচিত।
সেতাবগঞ্জ, দিনাজপুর থেকে
প্যানেল/মো.