
ছবি: সংগৃহীত
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গোলাম দস্তগীর গাজী জোর পূর্বক জমি দখল, কমিশন গ্রহন, জাল-জালিয়াতী, প্রতারনা, হুন্ডি এবং আন্ডার ইনভয়েসও ওভার ইনভয়েসের এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বাজার মূল্যের সম্পত্তি ক্রোক করেছে সিআইডি।
গোলাম দস্তগীর গাজী (সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়), (সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ)-১, পিতা-গোলাম কবির গাজী, মাতা- সামসুন নেছা, সাং-ভূঁইয়া বাড়ি, উত্তর রূপসী, থানা-রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ নামীয় নারায়রগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার খাদুন এলাকার ৬৯টি দটিলির সর্বমোট জমির পরিমান- ৪৮৭৯.৯২
শতাংশ যার দলিল মূল্য- ১৬,৫২,৮৪,০০০/- (ষোল কোটি বায়ান্ন লক্ষ চুরাশি হাজার) টাকা এবং যাহার উপর গাজী টায়ার প্রতিষ্ঠান সহ স্থাবর সম্পত্তি ও তদস্থিত বিভিন্ন অবকাঠামো সমূহ সহ সর্বমোট প্রায় ৪০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। অত্র অনুসন্ধানকালে জানা যায় যে, ক্রোক কৃত সম্পত্তিসমূহ তিনি ২০১৫ সালে হতে ২০১৮ সালের মধ্যে অর্জন করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম, সিআইডির, ঢাকার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা উক্ত সম্পত্তির উপর গত ০৮/০৭/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ক্রোকাদেশ প্রদান করেন। গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ তার সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিআইডি, ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
গাজী ও তাহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্তেও একই শাখায় অনুসন্ধান চলমান রয়েছে এবং এই সংক্রান্তে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বিধি মোতাবেক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিভিন্ন সংস্থায় এই বিষয়ে রেকর্ডপত্র ভিত্তিক পর্যান্ত তথ্য ও প্রমান সংগ্রহ করতে ইতমধ্যে বিভিন্ন সংস্থায় পত্র প্রেরন করা হয়েছে।
ছামিয়া