ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

শিক্ষার্থীকে সহায়তা করতে প্রশ্নপত্র চুরির চেষ্টা, দক্ষিণ কোরিয়ায় শিক্ষক ও অভিভাবক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ১৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৩:০৫, ১৬ জুলাই ২০২৫

শিক্ষার্থীকে সহায়তা করতে প্রশ্নপত্র চুরির চেষ্টা, দক্ষিণ কোরিয়ায় শিক্ষক ও অভিভাবক গ্রেফতার

ছবিঃ সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার অতিপ্রতিযোগিতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থার আরেকটি বিতর্কিত অধ্যায় যুক্ত হলো সম্প্রতি। একটি স্কুলে রাতের আঁধারে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক শিক্ষক ও একজন অভিভাবক। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ জুলাই, স্থানীয় সময় রাত ১টা ২০ মিনিটে, সিউলের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আন্ডং শহরের একটি স্কুলে।

স্কুলের অ্যালার্ম বেজে ওঠার ফলে তাদের চেষ্টাটি ব্যর্থ হয়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষক ওই অভিভাবকের সন্তানকে গোপনে প্রাইভেট পড়াতেন, যা দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ম অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। উল্লেখযোগ্যভাবে, শিক্ষার্থীটি সবসময়ই ভালো ফলাফল করত, যদিও তার গ্রেড ও পূর্ববর্তী প্রশ্নপত্র ফাঁসের মধ্যে সরাসরি কোনো সম্পর্ক এখনো নিশ্চিত নয়।

এই ঘটনায় ওই শিক্ষককে ঘুষ গ্রহণ ও অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, এবং অভিভাবকের বিরুদ্ধে অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া স্কুলের এক ভবন ব্যবস্থাপককেও গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি অভিযুক্তদের ভেতরে ঢুকতে সাহায্য করেছিলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম কেবিএস জানিয়েছে, পুলিশ সন্দেহ করছে এটি তাদের প্রথম চেষ্টাই নয় এবং অর্থ লেনদেনও হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এটি চলতি বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার পরীক্ষাভিত্তিক অনিয়মের আরেকটি উদাহরণ। এর আগে জুন মাসে, একটি জাতীয় ইংরেজি পরীক্ষার উত্তর ফাঁস হওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ফেব্রুয়ারিতে ২৪৯ জনকে আটক করা হয়—তাদের মধ্যে বহু শিক্ষকও ছিলেন—যারা সুনিউং (College Scholastic Ability Test) পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য মক টেস্টের প্রশ্ন বিক্রি করছিলেন। এমনকি ২০২৩ সালের শেষদিকে, পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের ৯০ সেকেন্ড আগে শেষ করার অভিযোগে কিছু শিক্ষার্থী সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।

দক্ষিণ কোরিয়া নিয়মিতভাবেই এমন একটি দেশ হিসেবে পরিচিত, যেখানে ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রার মানসিক চাপ লক্ষ্য করা যায়।

নোভা

×