
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের কর্ণাটকের গোকর্ণ এলাকার রামতীর্থ পাহাড়ের একটি গুহায় দুই কন্যাসন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন এক রুশ নারী। সম্প্রতি পুলিশি টহলের সময় ওই নারী ও তার সন্তানদের খুঁজে পাওয়া গেলে শুরু হয় চাঞ্চল্য। এরপরই সামনে আসে আরও চমকপ্রদ তথ্য। জানা গেছে, ওই নারী স্বামীকে কিছু না জানিয়ে ভারতের গোয়া ছেড়ে চলে আসেন গোকর্ণে।
ইসরায়েলের বাসিন্দা ড্রোর গোল্ডস্টেইন ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘প্রায় আট বছর আগে গোয়াতে নিনা কুটিনার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়। এরপর আমরা প্রেমে পড়ি। সাত মাস আমরা একসঙ্গে ভারতে কাটাই, এরপর ইউক্রেনেও কিছুদিন একসাথে ছিলাম।’
দুজনের ঘরে জন্ম নেয় প্রেমা (৬) ও আমা (৫) নামের দুই কন্যাসন্তান। গোল্ডস্টেইন জানান, গত চার বছর ধরে তিনি নিয়মিত ভারত আসছেন মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে।
‘কিছুদিন আগে সে (নিনা) আমাকে কিছু না জানিয়ে গোয়া থেকে চলে যায়। আমি জানতাম না তারা কোথায় আছে। এরপর আমি নিখোঁজ ডায়েরি করি এবং পরে জানতে পারি তারা গোকর্ণে আছে,’ বলেন গোল্ডস্টেইন।
‘মেয়েদের দেখতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সে (নিনা) সময় দিচ্ছিল না। খুব কঠিন করে তুলেছিল বিষয়টা,’ অভিযোগ তার। তিনি জানান, তিনি সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান এবং যৌথ অভিভাবকত্ব চান। ‘আমি আমার মেয়েদের সংস্পর্শে থাকতে চাই। তাদের কাছাকাছি থাকতে চাই,’ বলেন তিনি।
গোল্ডস্টেইনের দাবি, তিনি প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাঠান নিনার কাছে। ‘তার যা দরকার, সবই আমি দিচ্ছি,’ বলেন তিনি।
নিনা ও তার মেয়েদের ভারত থেকে বহিষ্কারের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন গোল্ডস্টেইন। তিনি বলেন, ‘ওদের রাশিয়ায় পাঠানো হলে আমার পক্ষে তা খুব কঠিন হয়ে যাবে। আমি তা যেন না হয়, সে চেষ্টা করবো।’
গত ১১ জুলাই গোকর্ণের রামতীর্থ পাহাড়ের একটি গুহায় পুলিশের টহলের সময় নিনাকে দুই শিশুসন্তানসহ পাওয়া যায়। তখন ৪০ বছর বয়সী এই নারী জানান, তিনি আধ্যাত্মিক নিঃসঙ্গতা ও ধ্যানের উদ্দেশ্যে গোয়া থেকে গোকর্ণে এসেছেন এবং সভ্যতা ও নগরজীবনের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে চান।
পুলিশ আরও জানায়, তিনি ভারতে ব্যবসায়িক ভিসায় এসেছিলেন, যার মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। পরে ২০১৮ সালের এপ্রিলে গোয়ার এফআরআরও অফিস থেকে একটি এক্সিট পারমিট নেন এবং ভারত ত্যাগ করে নেপালে যান। কিন্তু ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আবার ভারতে প্রবেশ করেন, এবং তখন থেকেই তিনি ভিসার সময়সীমা লঙ্ঘন করে থাকছেন।
সূত্র: এনডিটিভি।
রাকিব