
ওমান সাগরে ইরানের জব্দ করা তেলবাহী ট্যাঙ্কার
ওমান সাগরে একটি বিদেশি তেলবাহী ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে ইরান। জাহাজটি আনুমানিক ২০ লাখ লিটার চোরাই জ্বালানি বহন করছিল। হরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মোজতবা গাহরেমানি বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইরানের সামুদ্রিক সীমানায় সন্দেহজনকভাবে জ্বালানি চোরাচালানের ওপর নজরদারির মধ্যে এই ট্যাঙ্কারটি জব্দ করা হয়। খবর মেহের নিউজের।
মোজতবা গাহরেমানি জানান, ট্যাঙ্কারটিতে বহন করা তেলের আইনি নথিপত্র অসম্পূর্ণ ছিল। ফলে চোরাচালানের সন্দেহে ট্যাঙ্কারটি আটক করা হয়েছে। তবে জব্দকৃত জাহাজটির জাতীয়তা বা গন্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। মেহেরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ ইরানের জাস্ক শহরে এ নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। গাহরেমানি বলেন, ট্যাঙ্কারটির ক্যাপ্টেনসহ মোট ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার আওতায় প্রমাণ সংগ্রহ, জ্বালানির নমুনা পরীক্ষাসহ আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলছে।
তিনি জানান, পরিমাণ নিশ্চিত করতে ল্যাবরেটরিতে বিশ্লেষণ এবং কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। পুরো তদন্ত শেষ হলে মামলার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ইরান যে তার সামুদ্রিক সীমানায় চোরাচালান মোকাবিলায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে, এ ঘটনা তারই প্রতিফলন। এদিকে ইরানের এক হামলায় ইসরাইলের ৩০ পাইলট নিহত হয়েছেন। ইরাকে নিযুক্ত ইরানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হাসান কাজেমি কুমি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরান-ইসরাইল ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের একটি পাল্টা হামলায় ৩০ জন ইসরাইলি বৈমানিক নিহত হয়েছেন।
তিনি একে ইসরাইলি শাসন ব্যবস্থার জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে অভিহিত করেন। কুমি বলেন, এটি দখলদার ইসরাইলি শাসনের জন্য কোনো ছোট ঘটনা নয়। মূলত এ কারণেই তেলআবিব সরকার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে অনেক তথ্য গোপন করেছে বা লুকিয়েছে। তিনি দাবি করেন, ওই যুদ্ধে শত্রুপক্ষের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইরানে সরকার পরিবর্তন করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ফিরিয়ে আনা।
প্যানেল হু