
ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলাগুলো কেবল সামরিক শক্তি প্রদর্শনের চেয়েও বেশি কিছু নির্দেশ করে—এটি আসাদ-পরবর্তী অস্থিতিশীল সিরিয়ায় ইসরায়েলের কৌশলগত প্রভাব বিস্তারের অংশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ডিসেম্বর ২০২৪-এ বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার নতুন সরকার দুর্বল ও খণ্ডিত সেনাবাহিনী নিয়ে সংঘাত ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় লড়াই করছে। ইতিমধ্যে, ইসরায়েল গত কয়েক মাসে একাধিক বড় হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ছিল ৪৮ ঘণ্টায় ৪০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত।
ইসরায়েলের উদ্দেশ্য
১. প্রতিরোধমূলক কৌশল: নতুন সিরিয়ান সরকারের সামরিক পুনর্গঠন যাতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের জন্য হুমকি না হয়ে দাঁড়ায়, তা নিশ্চিত করা।
২. সীমান্ত নিরাপত্তা: দ্রুজ অধ্যুষিত এলাকা ও গোলান হাইটস সংলগ্ন বাফার জোনে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী বা ইসলামপন্থীদের উপস্থিতি রোধ করা।
৩. রাজনৈতিক বার্তা: নতুন সিরিয়ার নেতৃত্বকে ইসরায়েল-বিরোধী শিবিরে যেতে বাধা দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-মধ্যস্থ আলোচনায় চাপ প্রয়োগ করা।
প্রতিক্রিয়া ও ঝুঁকি
- সিরিয়ার সাধারণ জনগণ ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের কিছু অংশে ইসরায়েলবিরোধী ক্ষোভ বৃদ্ধি।
- নতুন সিরিয়ান সরকারের পক্ষে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
- ইরান বা হিজবুল্লাহ মতো শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
"ইসরায়েল শুধু হামলা করছে না, বরং আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ার ভূ-রাজনৈতিক কাঠামো গঠনে প্রভাব ফেলতে চাইছে," বলেছেন মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ আলি। "এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশল, যেখানে সামরিক লক্ষ্যবস্তুর চেয়ে রাজনৈতিক ফলাফল বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"
তথ্যসূত্র: বিবিসি
Mily