
ছবি: সংগৃহীত।
দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (EIU) প্রকাশিত ২০২৫ সালের গ্লোবাল লাইভেবিলিটি ইনডেক্সে শীর্ষ বসবাসযোগ্য শহরের স্থান দখল করেছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন। দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে থাকা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাকে সরিয়ে এ বছর প্রথমবারের মতো তালিকার শীর্ষে উঠে আসে শহরটি।
স্থিতিশীলতা, শিক্ষা ও অবকাঠামো—এই তিন সূচকে উন্নতি করেই শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে কোপেনহেগেন। একইসঙ্গে, বিশ্বের সবচেয়ে সুখী শহর হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে এটি।
তালিকার শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে অধিকাংশই পশ্চিম ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডার। এশিয়ার একমাত্র শহর হিসেবে জাপানের ওসাকা রয়েছে সেরা দশে।
২০২৫ সালের শীর্ষ ১০ বসবাসযোগ্য শহর:
১. কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
২. ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
২. জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
৪. মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
৫. জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
৬. সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
৭. ওসাকা, জাপান
৮. অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
৯. অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া
১০. ভ্যাঙ্কুভার, কানাডা
ঢাকার অবনতি, অবস্থান এখন ১৭১তম
১৭৩টি শহর নিয়ে তৈরি এই তালিকায় সবচেয়ে কম বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে উঠে এসেছে সিরিয়ার দামেস্ক। তার এক ধাপ ওপরে রয়েছে লিবিয়ার ত্রিপোলি।
এদিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এবারও তালিকার প্রায় সর্বশেষে অবস্থান করছে—১৭১তম স্থানে।
বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ট্রাফিক, জনসংখ্যার চাপ, দূষণ ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধার অভাব—এই সবকিছু মিলিয়ে ঢাকার অবস্থান ক্রমেই নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ:
-
২০২৪ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৬৭তম।
-
চলতি বছরে চার ধাপ নিচে নেমে ১৭১তম হওয়া নগর ব্যবস্থাপনার বড় চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত।
-
উন্নত অবকাঠামো, পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা ও স্থিতিশীল শাসন ব্যবস্থাই শহরগুলিকে উপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
নুসরাত