
ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনীতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি একে “পারস্পরিক সুবিধার একটি নতুন যুগের সূচনা” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বুধবার প্রাবোয়ো বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে খুব ভালো একটি ফোনালাপ করেছি।”
“আমরা একসঙ্গে সম্মত হয়েছি এবং সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে আমরা নতুন এক যুগে নিয়ে যাব—যেখানে উভয় দেশেরই সমান লাভ নিশ্চিত হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইন্দোনেশিয়ার জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।” — তিনি নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এসব কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়োর মুখপাত্র হাসান নাসবি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই চুক্তি ইন্দোনেশিয়ার আলোচক দলের “অসাধারণ প্রচেষ্টার ফল”।
তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “যদি একটি বাড়ির বেড়া দিয়ে তুলনা করা হয়, তাহলে বলা যায়—চুক্তির আগে আমাদের জন্য সেই বেড়ার উচ্চতা ছিল ৩২। আলোচনার পর সেটি কমে হয়েছে ১৯।”
“হ্যাঁ, অবশ্যই এটি একটি অগ্রগতি, যেটিকে ছোট কোনো অর্জন বলা যাবে না, আবার তুচ্ছ হিসেবেও দেখা ঠিক নয়।”
তবে নাসবি চুক্তির বিস্তারিত সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো ফ্রান্স থেকে রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করে ফিরে এলে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন।
মঙ্গলবার ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক ঘোষণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি পণ্য, ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য এবং ৫০টি বোয়িং জেট কিনতে সম্মত হয়েছে।
পরে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমাদের রপ্তানিকারকেরা সবকিছুতেই পূর্ণ প্রবেশাধিকার পাবে, এবং তাদের কোনো শুল্ক দিতে হবে না।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “তারা আমাদের কাছে ১৯ শতাংশ শুল্ক দেবে, আর আমরা কিছুই দেব না। আমার মনে হয়, এটা উভয় পক্ষের জন্যই ভালো চুক্তি।”
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ২৪তম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার ছিল। সে বছর দুই দেশের মধ্যে পণ্যবিনিময়ের পরিমাণ ছিল ৩৮.৩ বিলিয়ন ডলার।
একই বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার।
আবির