ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

দুই ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত

দুই ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি সাংবিধানিক বিশেষায়িত কমিটি গঠনের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এই কমিটি গঠনের বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে। তত্ত্ববধায়ক সরকারের এর গঠন ও মেয়াদ কতদিন হবে এ নিয়েও বিভিন্ন দলের নেতারা ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে চলতি জুলাই মাসের মধ্যে একটি জুলাই সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের অষ্টম দিনের আলোচনা শেষে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে অষ্টম দিনের বৈঠকে কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন. ড. বদিউল আলম মজুমদার. ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।  বৈঠকে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ- এবি পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকের শুরুতে কমিশন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আবারও সংলাপ শুরু হবে। কমিশন সূত্র জানায়, আলোচনাকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি, না পেলে আপিল বিভাগের প্রধান হিসেবে মনোনীত করার এই ধারাতে ‘জুডিসিয়ারি’ বাদ রেখে অন্য কাউকে রাখা যায় কি না সে বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সর্বশেষ বিধান রাষ্ট্রপতিকে প্রধান করার বিষয়েও আপত্তি জানানো হয়েছে। তবে এ সকল বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়নি।  বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি সাংবিধানিক বিশেষায়িত কমিটি গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছে । এ ছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়েও দলগুলো একমত, তবে এ নিয়ে আরও আলোচনা চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই মর্মে সহযোগিতা থাকলে চলতি জুলাই মাসের মধ্যে আমরা একটি জুলাই সনদ তৈরি করতে পারব। আলী রীয়াজ বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী আসন নির্ধারণ নিয়ে কাজ চলমান দেখতে পাচ্ছি এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশন থেকে সুস্পষ্ট সুপারিশ ছিল সেখানে আশু ব্যবস্থা হিসেবে কী করা যেতে পারে। দ্বিতীয় বিষয় দীর্ঘমেয়াদি সাংবিধানিকভাবে কিছু করা। দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধানে যে ঐকমত্য হয়েছে তা হলো- প্রতি আদমশুমারি অনধিক ১০ বছর পরে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের জন্য সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের দফা এক এর ‘ঘ’ শেষে আইনের দ্বারা একটি বিধান যুক্ত করা। এর অর্থ হচ্ছে সংসদীয় আসন নির্ধারণ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা।