
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় পর্যায়ের ৮ম দিনের আলোচনার শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়
তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি সাংবিধানিক বিশেষায়িত কমিটি গঠনের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এই কমিটি গঠনের বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে। তত্ত্ববধায়ক সরকারের এর গঠন ও মেয়াদ কতদিন হবে এ নিয়েও বিভিন্ন দলের নেতারা ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে চলতি জুলাই মাসের মধ্যে একটি জুলাই সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের অষ্টম দিনের আলোচনা শেষে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে অষ্টম দিনের বৈঠকে কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন. ড. বদিউল আলম মজুমদার. ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ- এবি পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকের শুরুতে কমিশন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আবারও সংলাপ শুরু হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, আলোচনাকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি, না পেলে আপিল বিভাগের প্রধান হিসেবে মনোনীত করার এই ধারাতে ‘জুডিসিয়ারি’ বাদ রেখে অন্য কাউকে রাখা যায় কি না সে বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সর্বশেষ বিধান রাষ্ট্রপতিকে প্রধান করার বিষয়েও আপত্তি জানানো হয়েছে। তবে এ সকল বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়নি।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি সাংবিধানিক বিশেষায়িত কমিটি গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছে । এ ছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়েও দলগুলো একমত, তবে এ নিয়ে আরও আলোচনা চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই মর্মে সহযোগিতা থাকলে চলতি জুলাই মাসের মধ্যে আমরা একটি জুলাই সনদ তৈরি করতে পারব।
আলী রীয়াজ বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী আসন নির্ধারণ নিয়ে কাজ চলমান দেখতে পাচ্ছি এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশন থেকে সুস্পষ্ট সুপারিশ ছিল সেখানে আশু ব্যবস্থা হিসেবে কী করা যেতে পারে। দ্বিতীয় বিষয় দীর্ঘমেয়াদি সাংবিধানিকভাবে কিছু করা। দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধানে যে ঐকমত্য হয়েছে তা হলো- প্রতি আদমশুমারি অনধিক ১০ বছর পরে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের জন্য সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের দফা এক এর ‘ঘ’ শেষে আইনের দ্বারা একটি বিধান যুক্ত করা। এর অর্থ হচ্ছে সংসদীয় আসন নির্ধারণ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা।
তিনি আরও বলেন, এই কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আরও বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণের আইন ২০২১ যেটা ২০২৫ সালে সংশোধিত হয়েছে। আমরা সংবিধানে কিছু বিষয় যুক্ত করার কথা বলেছি তার পাশাপাশি সেটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আইনের মধ্য দিয়ে কমিটির পরিধি ও কার্যপরিধি গঠন নিয়ে সুনির্দিষ্ট আইন থাকে তা বলেছি। দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সমাধানের জন্য এই ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অভিন্নমত পোষণ করে সুনির্দিষ্ট ঐক্যমত্যে আছে। এর গঠন এবং কাঠামোগত বিষয় ও সরকার কতদিন থাকবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনায় বিভিন্ন রকম মতামত এসেছে। এ বিষয়ে দুটি সুপারিশ ছিল। সংবিধান সংস্কার কমিশন থেকে ছিল ৯০ দিনের আর নির্বাচন কমিশন থেকে ছিল ১২০ দিনের। এই সমস্ত সময় ও পরিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো অনেক কাছাকাছি এসেছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির জন্য ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যতবার জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি, আমাদের দলের পক্ষ থেকে, আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলোর পক্ষ থেকে আমরা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টির জন্য চেষ্টা করে আসছি।’
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী এলাকার নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ। সেটি নির্ধারণের প্রস্তাব বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয় হয়েছে। নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে একমত নয় বলে প্রচার হতে পারে ধারণা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, বেশিরভাগ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছি। শতভাগ প্রস্তাবে যদি একমত হতে হয় তাহলে আলোচনার তো আর দরকার নেই। তিনি বলেন, আমরা জাতির জন্য যেটা কল্যাণকর এবং দেশের জন্য যেটা মঙ্গলজনক ও যেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব সে বিষয়ে আমরা মতামত দিচ্ছি।
একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকার সময়ের বিষয়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আপনারা জানেন যে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের ক্ষেত্রে এখানে একটা প্রস্তাব এসেছে, আমরাই নিজস্ব উদ্যেগে বলেছি যে, কত মেয়াদ এবং কতবার সে বিতর্কে না যেয়ে, আমরা বলেছি যে বছরের মধ্যে আসেন। এটা প্রস্তাবে আসা যায় কিনা যে একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ কত বছর প্রধানমন্ত্রীতে বহাল থাকতে পারবেন। সে বিষয়ে আমরা আমাদের দল থেকে আলোচনা করে, এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে আমরা পরে এটা অনুমোদন করিয়েছি। কোন ব্যক্তি জীবদ্দশায় দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকবেন না।’
বৈঠকে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে আমরা একমত। তবে বিচার বিভাগ যাতে এই নির্বাহী বিভাগে না আসে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ তিন মাসের মধ্যে হওয়া উচিত। তবে কোনো কারণে তিন মাসের মধ্যে যদি নির্বাচন করা বিলম্বিত হয় তাহলে এক মাস সময় বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ওই সময়টা সমীচীন নয়। আলোচনার মাধ্যমে যেসকল বিষয়ে দলগুলো একমত হবে, সেগুলো নিয়েই জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে। এক্ষেত্রে আমরা আশাবাদী।
বৈঠক শেষে এবং বিরতীর সময় দু’দফা ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই। কেয়ারটেকার সরকারের মেয়াদ হতে পারে ৪ মাস। যদি কোনো কারণে উক্ত সময়ের মধ্যে সম্ভব না হয় তবে ২ মাস বাড়ানো যেতে পারে। আর প্রতি আদমশুমারির পরে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি সাংবিধানিক বিশেষায়িত কমিটি গঠনের বিষয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজকের (বুধবার) বৈঠকে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে নির্বাচন কমিশনই একান্তভাবে কাজটি করতো। এখন স্বচ্ছতার জন্য একটু পরিবর্তন আনার কথা বলা হচ্ছে। সেটা হচ্ছে, একটি বিশেষায়িত কমিটি হবে।’
ডা. তাহের বলেন, ‘সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সেই কমিটি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহযোগিতা ও সুপারিশ করবে। এটিকে দুভাবে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম হচ্ছে, সামনে যে জাতীয় নির্বাচনটি হবে, এতে আমাদের বা কমিশনের প্রস্তাব ছিল, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করা হবে ইসির অধীনে। তবে সময় কম থাকায় এবার এই কমিটি গঠন সম্ভব নয়। ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করবে ইসি, তাদের সুপারিশক্রমে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বচ্ছ, সুন্দর ও সঠিকভাবে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করার জন্য এটি খুবই জরুরি বিষয়। কারণ এটার কারণে নির্বাচনের ফল ভিন্ন হয়ে যায় অনেক সময়। সীমানা নির্ধারণের জন্য অনেকগুলো বিশেষজ্ঞের কাজ করতে হয়। জরিপের কাজ, ভৌগোলিক অঞ্চলকে সমন্বয়, ভোটের আনুপাতিক দিকগুলো আছে এমন অনেক বিষয়ে। সবকিছু বিবেচনা করে এটি একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি হবে।’
স্থায়ীভাবে আরেকটি বিষয়ে ঐকমত্যে আসা সম্ভব হয়েছে জানিয়ে জামায়াতের এই সিনিয়র নেতা বলেন, সংবিধানে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির বিষয়ে উল্লেখ থাকবে। আদমশুমারির পরপরই সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি থাকবে। তারা একটি সাংবিধানিক কমিটি হিসেবে কাজ করবে, সংবিধানে তাদের কথা উল্লেখ থাকবে।’
জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, এই কমিটি স্বাধীন হবে। বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে এটি গঠিত হবে। কমিশন প্রস্তাব করেছিল এটির নামের শেষে কমিশন হবে। এ নিয়ে অনেকে আবার আপত্তি করেন। যে কারণে, নামের শেষে কমিটি দিয়েই সবাই ঐকমত্য হয়েছি। স্বাধীন কমিটি হিসেবে সংবিধানে এটি সংযোজিত করার বিষয়েও বিএনপি রাজি হয়েছে। আমরাও এখানে কম্প্রোমাইজ করেছি। আমরা কমিশনের জায়গায় কমিটি মেনে নিয়েছি। দুটো প্রধান দলই ছাড় দিয়ে একটি ঐকমত্যে আসার পর বাকিরা রাজি হয়েছেন।
ঐক্যমত কমিশনে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর রূপরেখা দিয়েছে উল্লেখ করে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় বিচারালয়কে যুক্ত করার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। বলেছি, রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। আমরা একটা সিস্টেম ডেভেলপড করতে চাই। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর চাই।
সীমানা নির্ধারণের জন্য নিজেদের প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশেষায়িত কমিটি হবে। যেটি সংবিধানের ১১৯ (১)গ এর অনুচ্ছেদে যুক্ত করা হবে। সে বিষয়টা ঐকমত্যের স্বার্থে পুনর্বিবেচনা করব। সকল দলই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে একমত হয়েছে বলে তিনি জানান।
গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৯০ দিনই হওয়া উচিত। এর মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া দরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দ্বারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে গেলে সরকার চরমভাবে বিতর্কিত হবে। বিচার বিভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ না হলে অন্য কোনো ব্যবস্থায় স্বাধীন হবে না।