
ছবি: সংগৃহীত
গত বছরের ৪ আগস্ট গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর আনসার একাডেমির ৩ নম্বর গেটের সামনে ছাত্র ও জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণ ও লাঠিপেটার ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে দুটি নতুন হত্যা মামলা। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় ছয়টি মামলা হয়েছিল। সব মিলিয়ে জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় থানাটিতে মামলা সংখ্যা দাঁড়ালো আটটি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৪ আগস্ট বিকালে মিছিলে গুলিতে হাফিজুল ইসলাম গাজী (২৫) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (২০) নিহত হন এবং শতাধিক মানুষ আহত হন। হাফিজুল ইসলাম গাজী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ আগস্ট টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে মারা যান। মামলাটি করেন নিহতের বড় ভাই আব্দুল হামিদ গাজী। অপরদিকে, আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার বন্ধু নয়ন মিয়া বাদী হয়ে পৃথক আরেকটি হত্যা মামলা করেন।
তবে এসব মামলার সূত্রে গ্রেপ্তার অভিযান চালাতে গিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আটক করা হচ্ছে এমন অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে, যাদের বিরুদ্ধে মামলায় নামই নেই। অনেককে আগের পেন্ডিং মামলার আসামি হিসেবে দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে গাজীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এবং মধ্যপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো মামলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। যদিও কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মান্নান দাবি করেন, “এক বছর আগের একটি মামলায় তার নাম রয়েছে।” তবে মামলার নম্বর বা বাদীর নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি এখন বাইরে আছি, থানায় ফিরে নথিপত্র দেখে জানাবো।”
তবে আমিনুর রহমানের পরিবার এবং থানার সূত্র জানায়, ৫ জুলাইয়ের পর দায়ের হওয়া আটটি মামলার কোনোটিতেই তার নাম নেই।
আসিফ