
ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহ্ নেননি। (সূরা হুদ, আয়াত ৬)
মানুষ সবচেয়ে বেশি টেনশনে থাকে রিযিক নিয়ে যার দায়িত্ব সরাসরি আল্লাহ্ নিয়েছেন। আমি পৃথিবীতে কতটুকু ভক্ষণ করবো তা নির্ধারিত, অনেক সময় অনেক অপ্রাপ্তির জায়গায় রিযিকের ব্যবস্থা করে দেন আমাদের রব। আবার অনেক প্রিয় জিনিস হাতছাড়া হয়ে যায় কারণ আমার রিযিকে লেখা নেই বলে। তবে রিযিক বৃদ্ধির অন্যতম ৩টা উপায় রয়েছে -
-
মেহমানদারী করা/ আপ্যয়ন করানো
-
দান করা
-
সকালে না ঘুমিয়ে রিযিক তালাশ করা
অনেক সাহাবী ব্যবসায়ী ছিলেন, তারা সকালে ব্যবসায় বের হতো, সন্ধ্যায় শেষ করে আসতেন। কিন্তু আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে দোকান খুলে সকাল ১১টায়, বন্ধ করে রাত ১০?১১টায়। বরকত হবে কখন তাহলে?
শহুরে মানুষের লাইফস্টাইলেও চেইঞ্জ আসছে। আল্লাহ রাতকে দিয়েছেন বিশ্রামের জন্য। তবে এখন তা মোবাইলের জন্য আর রিযিকের শ্রেষ্ঠ সময়টা যায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে।
এছাড়া যখন রিযিক নিয়ে পেরেশানিতে থাকা পড়ে, হাতে পুঞ্জীভূত সামান্য পুঁজি থাকে তখনও দান করা উচিত, দানকৃত অর্থ আমার না এটা ওদের রিযিক। কবে অনেক অর্থ হবে, সে চিন্তা করলে মৃত্যু এসে যাবে, কিন্তু কিছুই হবেনা। মেহমানদারী করা একদিকে যেমন রিযিকের দুয়ার খুলে যায়, অন্যদিকে ওরা আমাদের নয় ওদের রিযিকের খাবার খায়, সেটা আমি, আপনি যেই হোক না কেন।
সর্বশেষ আল্লাহর কাছে চাওয়া, আল্লাহ্ তো বলেছেটই জুতার ফিতা হলেও আল্লাহর কাছে চাও, এ বিষয়টা পরিবারের ছোট সদস্যেরও শেখানো উচিত। তাহলে রিযিকের জন্য, কোনোকিছুর জন্য বায়না ধরে মা-বাবাদের কাছেই কান্না করবে না শুধু, ওরাও চিনবে রবকে, রিযিকদাতা আল্লাহকে। তবেই না সুসন্তান হয়ে গড়ে উঠবে, চক্ষু শীতলকারী সন্তান হবে বাবা মায়ের উত্তম রিযিক। তারা ছোট থেকেই বুঝতে শিখতে রিযিকের মহত্ত্ব।
পরিশেষে বলতে চাই, এটি আমার জন্যও এক অপরিহার্য পরামর্শ, গুরুত্বপূর্ণ রিমাইন্ডার।
লেখিকাঃ সাদিয়া আফরিন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা
আবির