
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের জানান, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে, যা নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। এই সুসংবিধিবদ্ধ উদ্যোগের মাধ্যমে ভোটর বিভাজন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হবে।
তাহের আরও উল্লেখ করেন, “না গঠিত কোনো রাজনৈতিক মনোভাবভিত্তিক সিদ্ধান্ত”—এর বদলে প্রতিটি সীমানা নির্ধারণ হবে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যা নির্বাচন কমিশনের বিশ্বস্ততা ও স্বাধীনতা বজায় রাখবে ।
সভা শেষে তাহের জানান, এটি হবে দ্বিখণ্ডিত কমিটি: একটি থাকবে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য, আর অন্যটি সাংবিধানিকভাবে প্রতিটি আদমশুমারির পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হবে।
তাঁর ভাষায়, “গত ১৫ বছরে অনেক আসন তছনছ হয়েছে, যা নির্দিষ্ট পক্ষের সুবিধার্থে”—এবার তা প্রতিহত করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের আধিপত্যে এই কমিটি পুরোপুরি স্বাধীন ও সংশ্লিষ্টদের প্রভাবমুক্ত হবে।
সংলাপে সাক্ষাৎপ্রথম দফায় না যোগ দেওয়ার পর, জামায়াত বয়কটের অবস্থান থেকে সরে এসে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে অংশ নিয়েছে। যদিও ডা. তাহের উল্লেখ করেছেন, “একজন নিরপেক্ষ উপদেষ্টার ভূমিকা একান্ত জরুরি”—তবে সর্বসম্মত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা এখনই সক্রিয় সহযোগিতা দিচ্ছেন।
আগামী দিনে এই বিশেষজ্ঞ কাঠামোর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা পূরণ হবে—যেখানে দেশের প্রতিটি শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে এবং নির্বাচন ব্যবস্থায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে। তাহেরের বিশ্বাস, তরুণ প্রজন্মসহ সব অংশগ্রহণকারীর দৃষ্টিভঙ্গি সংলাপে প্রতিফলিত হবে, যা দেশকে স্থিতিশীলতা ও মূল্যবান গণঐক্যের পথে এগিয়ে নেবে।
Jahan