যশোরের অভয়নগরের সাবিনা বেগমের অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা তুলে নিচ্ছেন শার্শার বহিলাপোতার মোজাম্মেল। সাবিনার স্বামী যশোরের অভয়নগরের সমসপুর গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক মান্নান মোল্লা জানান,তার স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৪৬৪৪৫৫৫৭৯১,ভাতাভোগীর বই নং ২৪৩, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নং (ব্যাংক এশিয়া,এজেন্ট ব্যাংকিং, নওয়াপাড়া শাখা) ১০৮৩৪৪১৩৭১৬৯০ কিন্তু তার এই অ্যাকাউন্ট নাম্বার সমাজ সেবা অফিস থেকে ভুলক্রমে ১০৮৩৪৪১৩৭১৬০৯ লিখে দেয়। অর্থাৎ শেষ ৩ ডিজিটে ৬৯০ স্থলে ৬০৯ লেখা হয়। এই অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি যশোরের শার্শা উপজেলার বহিলাপোতা গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ব্যাংক এশিয়ার নাম্বারের হুবহু মিল পাওয়া যায়। তিনি ঐ এলাকার বাহাদুরপুর ডিপিও’র এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার ঋণ গ্রহীতা এবং প্রবাসী। সেই হিসাবে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা মোফাজ্জেল হোসেনের ঋণের কিস্তি হিসাবে অটো কেটে যায়। উক্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা তবিবর রহমানের ০১৭৯৮৮৮৮১৪৪ নং মোবাইলে কথা বললে তিনি ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো নিশ্চিত করেন,২৬/১১/২৩ খ্রি: তারিখ থেকে ৫ বারে ১২ হাজার ৫০০ টাকা তার হিসাবে জমা হয়েছে। অভয়নগর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এ এফ এম ওয়াহিদুজ্জামান এ প্রতিনিধিকে জানান, উপকারভোগীর অ্যাকাউন্ট নাম্বার সফ্টওয়্যারে ভুল থাকায় সাবিনা বেগম ১ বছরের বেশি ভাতার টাকা বঞ্চিত হয়েছেন। গত ৭ নভেম্বর পে রোল ও হিসাব সংশোধন হয়েছে। তবে সাবিনার নামে বরাদ্দকৃত ও অন্যজনের নামে উত্তোলিত টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে দৃঢভাবে কিছু বলতে পারেননি। ভুক্তভোগী সাবিনা জানান,মোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী ও ঐ অ্যাকাউন্টের নমিনি রাজিয়া খাতুনের ০১৯৫৩৩৫০৫২৬ নাম্বারে যোগাযোগ করা হয়েছে একাধিকবার কিন্তু বন্ধ পাওয়া যায়। নওয়াপাড়াস্থ ব্যাংক এশিয়া(এজেন্ট ব্যাংকিং) এর কর্মকর্তারা জানান, ভুক্তভোগী ১ বছর ধরে হাটাহাটি করে তার ভাতাভোগীর অ্যাকাউন্ট সমাজসেবা অফিস খেকে সংশোধন করাতে পারেননি।
সাবিনা খাতুন বলেন, সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা অফিস ও ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তাদের কাছে তার নামে বরাদ্দকৃত পূর্বের হারানো ভাতার টাকা(১২,৫০০) ফিরে পেতে সহযোগিতা কামনা করেছেন।