
.
ডিজিটাল ও প্রযুক্তিনির্ভর সেবার মাধ্যমে ডাক বিভাগ ইতোমধ্যে নিজস্ব সেবা থেকে ৬৭.৮৪ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এই সিস্টেম ব্যবহার করে ইস্যু হয়েছে ৪.৮২ কোটি চিঠিপত্র, পার্সেল, স্পিড পোস্ট ও ই-কমার্স মেইল। এছাড়া দ্রুত, দক্ষ এবং সরাসরি সড়কনির্ভর ডাক সেবা চালু করতে সরকার ইতোমধ্যে ৬৪টি জেলায় মেইল প্রসেসিং সেন্টার (এমপিসি) নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে নির্মিত ১৪টি এমপিসিতে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ হাজার চিঠি, ডকুমেন্ট ও পার্সেল সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইস্যু হচ্ছে। এই ১৪টি এমপিসিতে আধুনিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে মেইল লিস্ট তৈরি ও ব্যাগ বন্ধনের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ৪.৮২ কোটি মেইল আইটেম সফটওয়্যার দিয়ে প্রক্রিয়াকরণ হয়েছে।
প্রথম ধাপে নির্মিত এমপিসির সাফল্য পেয়েই সরকার অবশিষ্ট ৫০টি জেলায় এমপিসি নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করেছে। সারাদেশের ৯৮৮৬টি ডাকঘর ও ১৪টি এমপিসিতে চিঠিপত্র, ডকুমেন্ট ও পার্সেল প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহারের জন্য ২০১৯ সালে ৩২টি ক্যাটাগরির ভূমি মন্ত্রণালয়ের পর্চা ও নক্সা, বিআরটিএ’র ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের জেলা অফিসে পাসপোর্ট প্রেরণে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ডমেস্টিক মেইল মনিটরিং সফটওয়্যার’ (ডিএমএস)। শুধু এই তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকেই ডাক বিভাগ আয় করেছে প্রায় ৮২ কোটি টাকা। বর্তমানে ৭৬০টির বেশি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের ডিএমএস ব্যবহার করে বাল্ক মেইল ইস্যু করছে, যার ফলে করপোরেট গ্রাহকদের মধ্যে ডাক বিভাগের প্রতি আস্থা এবং চাহিদা বাড়ছে। এমপিসি প্রকল্পের সাফল্যের পর ডোমেস্টিক মেইল মনিটরিং নামে নতুন আরেকটি প্রকল্প নিয়ে ডাক বিভাগ।
এই প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক করা হয়েছে শাহ আলম ভূঁইয়াকে। তিনি এমপিসি প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। সার্বিক বিষয়ে জানতে তিনি বলেন, ‘মেইল প্রসেসিং ও লজিস্টিক সার্ভিস টেকসই ও আধুনিকীকরণ’ প্রকল্পটি পূর্বের অর্জনগুলোকে টেকসই করার পাশাপাশি নতুন সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চালু হবে জিও কোড ভিত্তিক ডিজিটাল পোস্টাল এড্রেস সিস্টেম, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সহজেই তার সঠিক ঠিকানা ও পোস্টকোড জানতে পারবেন।
প্যানেল মজি