
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে ক্যারিয়ার গড়ার ধরন বদলে গেছে। এখন আর অফিসে গিয়ে চাকরি করা বাধ্যতামূলক নয়—বিশেষ করে জেনারেশন জেড বা ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া তরুণ প্রজন্মের জন্য। ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা ঘরে বসেই আয় করতে পারছে। নিচে এমন ৮টি জনপ্রিয় ও লাভজনক স্কিল উল্লেখ করা হলো, যেগুলো জেনারেশন জেড অনলাইনে শিখে আয় করতে পারে—
১. ডিজিটাল মার্কেটিং
অনলাইনে পণ্য বা সেবা প্রচারে এই স্কিলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসইও, এসএমএম, ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং—এসব বিষয় আয়ত্ত করে সহজেই ফ্রিল্যান্সিং বা চাকরিতে যুক্ত হওয়া যায়।
২. গ্রাফিক ডিজাইন
ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনার মাধ্যমে লোগো, পোস্টার, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়ার ভিজ্যুয়াল ডিজাইন করে উপার্জনের সুযোগ তৈরি হয়। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে এই কাজের ভালো চাহিদা রয়েছে।
৩. কনটেন্ট রাইটিং
ইংরেজি বা মাতৃভাষায় দক্ষতা থাকলে ব্লগ লেখা, আর্টিকেল, কপিরাইটিং বা স্ক্রিপ্ট রাইটিং-এর মাধ্যমে আয় করা যায়।
৪. প্রোগ্রামিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
জাভাস্ক্রিপ্ট, পাইথন, এইচটিএমএল, সিএসএস, রিঅ্যাক্ট ইত্যাদি ভাষা শিখে ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার তৈরি করে বড় আয়ের সুযোগ রয়েছে।
৫. ভিডিও এডিটিং এবং অ্যানিমেশন
ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিজ্ঞাপন নির্মাণে ভিডিও সম্পাদনার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এডোবি প্রিমিয়ার প্রো, ফাইনাল কাট প্রো বা আফটার ইফেক্টস শিখে আয় করা সম্ভব।
৬. ইউএক্স/ইউআই ডিজাইন
ওয়েবসাইট বা অ্যাপকে ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তুলতে এই স্কিলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ফিগমা বা অ্যাডোবি এক্সডি ব্যবহার করে দক্ষতা অর্জন করা যায়।
৭. ভাষাজ্ঞান ও অনুবাদ
যারা একাধিক ভাষায় পারদর্শী, তারা অনুবাদ বা সাবটাইটেলিংয়ের কাজ করে আয় করতে পারে।
৮. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়া হয় ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে। সময় ব্যবস্থাপনা, ডেটা এন্ট্রি, ইমেইল পরিচালনা, অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেট করা প্রভৃতি এই কাজের অন্তর্ভুক্ত।
এই স্কিলগুলো শেখার জন্য ইউটিউব, কোরসেরা, উডেমি, স্কিলশেয়ার-এর মতো প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য ফ্রি ও পেইড কোর্স রয়েছে। জেনারেশন জেড যদি আগ্রহ নিয়ে শেখে ও চর্চা করে, তবে ঘরে বসেই একটি সফল ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।
আঁখি