টানা চার ম্যাচে জোড়া গোলের রেকর্ড এলএম-টেন এর
আর্জেন্টাইন বিশ^কাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি ৩৮ বছর বয়সেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন। বয়সকে শুধু সংখ্যায় পরিণত করে মেসি প্রমাণ করেছেন আরও একবার। তাঁর খেলায় আজও সেই আগের মতোই জাদু আছে। আমেরিকান মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) পা রাখার পর থেকেই একের পর এক রেকর্ড নিজের দখলে নিচ্ছেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকা। সর্বশেষ তিন ম্যাচে জোড়া গোলের পর নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশনের বিপক্ষেও জোড়া গোলের দেখা পেলেন। এতেই এমএলএসের ইতিহাসে প্রথম কোনো ফুটবলার হিসেবে টানা চার ম্যাচে একাধিক গোল করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মেসির রেকর্ড গড়ার দিনে ম্যাসাচুসেটসের জিলেট স্টেডিয়ামে নিউ ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। প্রথমার্ধেই দুটি গোলই করেন এলএমটেন। ৮০তম মিনিটে কার্লেস গিল নিউ ইংল্যান্ডের পক্ষে এক গোল করে ব্যবধান কমান। ম্যাচে মায়ামি ৫৬ শতাংশ পজেশন নিয়ে ১৩টি শট নেয় (লক্ষ্যে ছিল ৩টি)। বিপরীতে ১৬ শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশন।
মেসির উজ্জ্বল দিনে মায়ামি ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় টানা চার ম্যাচে জয় নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া এমএলএসের চলতি মৌসুমে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচেই অপরাজেয় থাকল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। অথচ ম্যাচটি নিউ ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল এই মৌসুমের সর্বোচ্চ দর্শকের (৪৩,২৯৩) সামনে। গত মৌসুমে মায়ামির বিপক্ষে তাদের ম্যাচে ৬৫,৬১২ দর্শক ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে মায়ামির পক্ষে গোলের সূচনা করেন মেসি। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেড দিয়ে মেসির পায়ে তুলে দেন। ডি বক্সের ভেতরে দৌড়ে ঢুকে এক শটে জালে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। ৩৮তম মিনিটে নিজের ও দলের লিড দ্বিগুণ করেন আলবিসেলেস্তে তারকা। কয়েকজনের মাঝখান দিয়ে তাকে রক্ষণচেরা পাস বাড়ান সার্জিও বুসকেটস। বক্সের মাথা থেকে নেওয়া মাটি কামড়ানো শটে মেসি গোল করেন।
ম্যাচে ফেরার একাধিক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারছিল না নিউ ইংল্যান্ড। ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় তাদের অপেক্ষা ৮০ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়। টমাস অ্যাভিলেস ড্রিবলিং করে বল বাড়ান কার্লেস গিলকে, জোরালো শটে ব্যবধান কমান তিনি। এরপর আর সমতায় ফেরার মতো কার্যকর কিছু করতে পারেনি স্বাগতিক দলটি।
প্যানেল মজি
