
"দিনাজপুর পলিটেকনিকের পাশে ময়লার ভাগাড়: দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা, যাতায়াতে ভোগান্তি" শিরোনামে গত (৯ জুলাই) একটি সংবাদ প্রচারের পর, বিষয়টি বিডি ক্লিনের নজরে আসায় তারা ও দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মিলে সেই ময়লা আবর্জনা গুলো পরিষ্কার করে সেই স্থানে ফুলের গাছ লাগিয়ে দিয়েছে।
আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করে দুপুর ২ টার দিকে কাজ শেষ করে বিডি ক্লিন দিনাজপুর ও অত্র ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন ধরে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর আশপাশের এলাকার ময়লা আবর্জনা এনে ফেলা হত ইনস্টিটিউটের দেয়াল ঘেষা রাস্তার পাশেই। যেই পথ ধরে হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী যাতায়াত করে প্রতিদিন। সেই সাথে স্থানীয়দের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। আর রাস্তার পাশে ময়লা ফেলার কারণে তীব্র দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল সকলেই।
এরপর দৈনিক জনকণ্ঠ ও বিডি২৪রিপোর্ট ডটকমে সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি নজরে আসে বিডি ক্লিন দিনাজপুরের সদস্যদের। এরপর তাদের উদ্যোগেই ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে, জনসাধারণের চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয় সেই জায়গাটি।
এ বিষয়ে বিডি ক্লিনের সদস্যরা বলেন, আমরা বিডি২৪রিপোর্ট ও জনকণ্ঠে একটি সংবাদ দেখতে পাই। যেযেখানে বলা হয় দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশে ময়লার ভাগাড় এতে শিক্ষার্থীদের তীব্র ভোগান্ত এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এরপর আমরা উদ্যোগ নেই এবং সেই মোতাবেক আজকে এই জায়গাটি পরিষ্কার করে বালুমাটি ফেলে জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করে দেই একই সাথে আমরা ফুলের গাছ লাগিয়ে দিয়েছি যাতে করে আর কেউ এই জায়গাটিতে ময়লা আবর্জনা না ফেলে।
এ সময় স্থানীয়রা বিডি ২৪ রিপোর্ট ও দৈনিক জনকণ্ঠকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, এখানে ময়লা ফেলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগান্তির মধ্যে ছিলাম। তীব্র দুর্গন্ধে এ পাশ দিয়ে যাওয়া যেত না। একই সাথে তীব্র দুর্গন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছিল। আজকে বিডি ক্লিন এবং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মিলে যেই উদ্যোগেটি নিয়েছে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সেই সাথে আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিত। কেউ যাতে করে আর যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে এটাই আহ্বান।
এ বিষয়ে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. আব্দুল ওয়াদুদ মন্ডল জানান, বিডি ২৪ রিপোর্ট এবং জনকণ্ঠকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমেই এই কাজটি সহজ হয়েছে। এবং বিডি ক্লেনের নজরে আসায় ময়লা গুলো অপসারণ হয়েছে তাই তাদেরও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। এবং বিডি ক্লিনের সদস্যরা আমার সাথে যোগাযোগ করার পরে আমি সেখানে বালু ফেলার ব্যবস্থা করে দেই। সেই সাথে আমি সড়ক বিভাগের সাথে কথা বলেছি যাতে করে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য একটি ওয়ার্কওয়ে তৈরি করে দেয়।
আঁখি