
সংবাদ সম্মেলনে আফঈদা খন্দকার
সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলের অন্যতম বড় শক্তি মিয়ানমারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যত অর্জন করেছে বাংলাদেশ নারী দল। টানা তিন জয়ে ইতিহাসগড়া মেয়েদের নেতৃত্ব দিয়েছেন আফঈদা খন্দকার। এবার ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-২০ সাফ টুর্নামেন্টেও অধিনায়ক তিনি। ওই দলের আরও সাত জন আছেন তার সঙ্গে। স্বভাবতই আত্মবিশ্বাসী আফঈদা,‘আমাদের প্রস্তুতি আলহামদুলিল্লাহ ভালো। মিয়ানমার থেকে এসে খুব বেশি সময় পাইনি।
তারপরও আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আমরা সবাই একসঙ্গে অনুশীলন করেছি। আলহামদুলিল্লা ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় তিনটা দলই ভালো। আমাদের ভালোভাবে খেলতে হবে। কাউকে দুর্বল ভেবে ছোট করে দেখার কিছু নেই। আমরা তিনটি দলের সঙ্গে লড়াই করব, ভালো খেলব। আমরা আত্মবিশ্বাসী। ইনশাল্লাহ জিতব।’ উদ্বোধনী ম্যাচে আজ আফঈদাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
অনূর্ধ্ব-২০ অধিনায়ক বলেন,‘আমরা এশিয়ান কাপে গিয়েছি বলে সাফকে ছোট করে দেখব, তা নয়। আমাদের স্বপ্ন ছিল আগে সাফ জিতব পরে এশিয়া। সাফ জেতার পর এশিয়া কাপে গিয়েছি। তাই বলে যে সাফ খেলব না এটা তো হয় না। সাউথ এশিয়ার দেশ আমরা সাউথ এশিয়ায় খেলব। আমাদের দলে স্পেশাল বলে তো কোনো কথা নেই। আমাদের ২৩ জনের স্কোয়াড ২৩ জনই স্পেশাল।’ এশিয়ান কাপের বাছাই পেরুনোর আত্মবিশ্বাস সঙ্গী।
তবে আফঈদা-স্বপ্নাদের পা মাটিতেই রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কোচ পিটার বাটলার। সাফ নারী অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত না খেললেও বাকি তিন প্রতিপক্ষের ওপর থেকে মনোযোগ হারাতে বারণ করেছেন তিনি। ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতা শুরু করবে বাংলাদেশ। এবারের প্রতিযোগিতায় ভারত না খেলায় ঔজ্জ্বল্য কমেছে মেনে নিলেও নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকার কথা বললেন বাংলাদেশ কোচ। শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও নেপালের বিপক্ষে নিজেদের মেলে ধরার বার্তা মেয়েদের দিয়েছেন তিনি,‘মিয়ানমার থেকে ফেরার পর থেকে আমরা মূলত খেলোয়াড়দের পা মাটিতে ফিরিয়ে আনতে এবং বিনয়ী রাখতে কাজ করেছি।
আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো শৃঙ্খলাবদ্ধ থেকে টুর্নামেন্টের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। আমার চোখে খেলোয়াড় গড়ে তোলার জন্য এটি দারুণ একটি টুর্নামেন্ট, তরুণ খেলোয়াড়দের জাত চেনানোর সুযোগ। তাই আমি মুখিয়ে আছি তারা কী করতে পারে, এটা দেখতে। অবশ্যই আমরা কাউকে হালকাভাবে নিচ্ছি না, সবাইকে সম্মান করছি।’ আর ভারত প্রসঙ্গে তার বক্তব্য,‘অবশ্যই, ভারত অংশ না নেওয়ায় টুর্নামেন্টের ঔজ্জ্বল্য কিছুটা কমে গেছে, কিন্তু কিছু করার নেই। সম্ভবত অনেকের দৃষ্টি এখন এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের দিকে। তবে যেমন আমি বলেছি, সব দলের জন্য খেলোয়াড় গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ একটি টুর্নামেন্ট। ভবিষ্যতের তারকাদের তৈরি করার একটি দারুণ সুযোগ।’ এই দলে একাধিক খেলোয়াড় ছিলেন উইমেন’স এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠা দলের অংশ।
তবে এতে করে আত্মতুষ্টির সুযোগ দেখছেন না বাটলার,‘আসলে আমি যেখানে কোচ থাকি, সেই দলে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আমি নিশ্চিত করি, তারা যেন বিনয়ী থাকে, পা মাটিতে রাখে ও প্রতিপক্ষকে সম্মান করে। আমি নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না। আমাদের দলে সত্যিই বেশ কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, যারা কি না উন্নতির যাত্রা শুরু করেছে। আমি নিশ্চিত নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাও একই পরিস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারা আসলে এখানে উন্নতি করতে এসেছে।’
//
প্যানেল মজি