কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য, বিভক্ত করার জন্য ১৬ বছর ষড়যন্ত্র করেছে স্বৈরাচার। শুধুমাত্র তারেক রহমানের সুযোগ্য দিকনির্দেশনায় ও সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে তারা সফল হতে পারেনি। আজকেও ষড়যন্ত্র করছে এজন্য যে তারেক রহমানের সাথে রাজনীতি করে তারা মোকাবেলা করতে পারছে না। বিএনপি’র জনপ্রিয়তা ধবংস করতে পারছে না। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি আয়োজিত সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জুয়েল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সহ-সভাপতি ও নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, সহ-সভাপতি এস এম আসলাম, সহ-সভাপতি ডি এইচ বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন ও কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেন প্রমূখ।
মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে শীতলক্ষ্যা থেকে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত ও লিঙ্করোডের মাথা থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের গণমানুষের যে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছিল এবং ফ্যাসিস শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তার দলের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের বুকে কিভাবে গুলি চালিয়েছিল। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ শেখ হাসিনার সময়ে সরকারের প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া হয়ে সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালিয়েছিল। ঐ আন্দোলনে যে নারকীয় ঘটনার সৃষ্টি হয়েছিল নিশ্চয়ই আপনাদের স্মরণে আছে। তিনি বলেন, অংসখ্য মানুষের বুকে গুলি করেছে তারা। শিশু ও নারী পর্যন্ত তাদের এ নৃশংসতা থেকে রেহাই পায়নি। এ রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে আন্দোলনকারী সংগ্রামী জনতার রক্তে। যারা সেই আন্দোলনে আত্মহুতি দিয়েছেন, যারা শাহাদাৎ বরণ করেছে, যারা পুঙ্গত্ব হয়েছে তাদের প্রতি যেমন আমাদের শ্রদ্ধা এবং যারা আমাদের কাছ থেকে চির বিদায় নিয়ে গেছেন মহান আল্লাহর নিকট তাদের মাগফেরাত কামনা করছি।