
.
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। সোমবার ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংগঠনটি। এ সময় উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করে।
সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএর পক্ষে সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক ফয়সাল সামাদ এবং সদস্য ইসরাফিল আতিক উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কোরিয়ান দূতাবাসের কনসাল কিম জিয়ং কি এবং হাইসাং টিএনসি করপোরেশন (বাংলাদেশ লিয়াজোঁ অফিস)-এর কান্ট্রি হেড নোহ চি উও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তারা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিশীল ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা নিবিড় করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিশেষ করে দুই দেশের পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পে একটি অর্থপূর্ণ উপায়ে একসঙ্গে কাজ করার মতো সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যান-মেইড ফাইবার, টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল ডাইস এবং অন্যান্য কাঁচামাল রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ একটি প্রতিশ্রæতিশীল গন্তব্য। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় পোশাক রপ্তানি বাজার। সুতরাং বাণিজ্যে উভয় পক্ষের জন্য পারস্পরিক সুবিধা রয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার অবদান, বিশেষ করে এই খাতের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তার ক্ষেত্রে কোরিয়া যে সহায়তা দিয়েছিল, কৃতজ্ঞচিত্তে তার উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে এবং বাংলাদেশে নন-টেক্সটাইল ক্ষেত্রগুলোতে কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিজিএমইএ নেতারা দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বানিজ্য স¤প্রসারণে বাজার সংক্রান্ত জ্ঞান বিনিময় এবং দেশ দুটির ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরও নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চান।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষনে ইপিজেড (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা) আইন, ২০১৯-কে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর সাথে আরও বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের আরও উৎপাদনীলতা বৃদ্ধি ও চট্রগ্রাম বন্দরকে আরও দক্ষ করে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
উভয় পক্ষ মত প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে এফটিএ চুক্তি (মুক্ত বানিজ্য চুক্তি) ও ইপিএ (অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি) স্বাক্ষরিত হলে উভয় দেশই লাভবান হবে। বিজিএমইএ সভাপতি দক্ষিন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে দেশটির সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
প্যানেল