ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

আপনি চাইলেই কি ক্রেডিট কার্ড নিতে পারেন? জেনে নিন, কারা পাবেন, কী কী কাগজপত্র লাগবে

প্রকাশিত: ১৩:০৩, ১৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৩:০৪, ১৫ জুলাই ২০২৫

আপনি চাইলেই কি ক্রেডিট কার্ড নিতে পারেন? জেনে নিন, কারা পাবেন, কী কী কাগজপত্র লাগবে

ক্রেডিট কার্ড

 ক্রেডিট কার্ড অনেকের নিত্যদিনের আর্থিক সঙ্গী। জরুরি খরচ, বিদেশ ভ্রমণ কিংবা ছুটির দিনের শপিং সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার বাড়ছে। আপনি চাইলেই কি ক্রেডিট কার্ড নিতে পারেন? ক্রেডিট কার্ড নিতে চাইলে কিছু যোগ্যতা ও শর্ত মানতে হয়। এই কার্ড জেনে নিন, কারা কার্ড পাবেন, কী কী কাগজপত্র লাগবে।

ব্যবহারের আগে জানতে হবে কে নিতে পারবেন, কীভাবে পাবেন এবং কী কাগজপত্র লাগবে।

কারা আবেদন করতে পারবেন: ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হলো, আপনার একটি স্থায়ী আয় থাকতে হবে বা ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের প্রমাণ থাকতে হবে। চাকরিজীবীরা যদি ন্যূনতম মাসিক ৩০ হাজার টাকা আয় করেন, তাহলে তারা ব্যাংকের কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।  অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে, বার্ষিক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন থাকলেই তারা এই সুবিধা নিতে পারবেন। 

আবেদন করবেন যেভাবে: বর্তমানে ব্যাংকগুলো অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের আবেদন গ্রহণ করে। আপনি অনলাইনে আবেদন করলে ব্যাংকের প্রতিনিধি আপনার ঠিকানায় গিয়ে আবেদনপত্র পূরণে সহায়তা করবে। তারপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে কার্ড ও পিন নম্বর। কার্ডের জন্য আলাদা ব্যাংক হিসাব খোলার প্রয়োজন নেই। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দিতে হবে:

#জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)
#দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
#বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ (যেমন গ্যাস বা বিদ্যুতের বিল)
#পূর্বের ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
#নমিনির ছবি ও পরিচয়পত্র

আবেদনের পর ব্যাংক আপনার ক্রেডিট স্কোর, আয়-ব্যয়ের সামর্থ্য ও লেনদেনের ধারাবাহিকতা যাচাই করে। যাচাই শেষে নির্ধারণ করা হয় কার্ড মঞ্জুর হবে কি না এবং কার্ডের সীমা কত হবে।

খরচ ও ব্যবহার: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার মানে হলো, আপনি এখন খরচ করছেন, পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংককে সেই অর্থ ফেরত দিচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে দিতে হবে বাড়তি সুদ। কার্ড হাতে পাওয়ার পর নিজের পছন্দমতো পিন নম্বর সেট করতে হবে। মাসিক খরচের সর্বোচ্চ সীমা জেনে নেওয়া এবং কতদিনের মধ্যে বিনা সুদে বিল পরিশোধ করা যাবে, সেটি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ব্যাংকগুলো এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক মাশুল নেয়। তবে নির্দিষ্ট লেনদেনের পরিমাণ পূরণ হলে অনেক সময় মাশুল মওকুফও করা হয়।

 

তাসমিম

×