ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

রাজনীতি
বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য  ১৬ বছর ষড়যন্ত্র করেছে স্বৈরাচার: গিয়াসউদ্দিন

বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য  ১৬ বছর ষড়যন্ত্র করেছে স্বৈরাচার: গিয়াসউদ্দিন

কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য, বিভক্ত করার জন্য ১৬ বছর ষড়যন্ত্র করেছে স্বৈরাচার। শুধুমাত্র তারেক রহমানের সুযোগ্য দিকনির্দেশনায় ও সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে তারা সফল হতে পারেনি। আজকেও ষড়যন্ত্র করছে এজন্য যে তারেক রহমানের সাথে রাজনীতি করে তারা মোকাবেলা করতে পারছে না। বিএনপি’র জনপ্রিয়তা ধবংস করতে পারছে না। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি আয়োজিত সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জুয়েল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সহ-সভাপতি ও নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, সহ-সভাপতি এস এম আসলাম, সহ-সভাপতি ডি এইচ বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন ও কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেন প্রমূখ।  মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে শীতলক্ষ্যা থেকে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত ও লিঙ্করোডের মাথা থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের গণমানুষের যে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছিল এবং ফ্যাসিস শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তার দলের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের বুকে কিভাবে গুলি চালিয়েছিল। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবিসহ শেখ হাসিনার সময়ে সরকারের প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া হয়ে সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালিয়েছিল। ঐ আন্দোলনে যে নারকীয় ঘটনার সৃষ্টি হয়েছিল নিশ্চয়ই আপনাদের স্মরণে আছে। তিনি বলেন, অংসখ্য মানুষের বুকে গুলি করেছে তারা। শিশু ও নারী পর্যন্ত তাদের এ নৃশংসতা থেকে রেহাই পায়নি। এ রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে আন্দোলনকারী সংগ্রামী জনতার রক্তে। যারা সেই আন্দোলনে আত্মহুতি দিয়েছেন, যারা শাহাদাৎ বরণ করেছে, যারা পুঙ্গত্ব হয়েছে তাদের প্রতি যেমন আমাদের শ্রদ্ধা এবং যারা আমাদের কাছ থেকে চির বিদায় নিয়ে গেছেন মহান আল্লাহর নিকট তাদের মাগফেরাত কামনা করছি।

adbilive
adbilive
বাচসাস সম্মাননা পেলেন আনোয়ারা

বাচসাস সম্মাননা পেলেন আনোয়ারা

‘বাচসাস আমার অনেক আপন। অনেক আগে থেকেই বাচসাসের সঙ্গে পরিচয়। বাচসাসকে আমি ভালোবাসি, সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। এই আয়োজনে হাজির হয়ে আমার যে চোখের পানি ঝরেছে তা গ্লিসারিন নয়, শ্রদ্ধা আর সম্মানের। বাচসাস আমাকে যে সম্মান দিয়েছে তা কখনও ভুলব না। এই সম্মান আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে থাকবে’-চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে একথা বলেন চলচ্চিত্রের মমতাময়ী মা’খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম।  ১৪ জুলাই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে শুরুতেই গুণী এই অভিনেত্রীকে বাচসাস থেকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। দোয়েল ওটিটির সহযোগিতায় সোমবার বিকেলে মগবাজারস্থ বাচসাস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় নিয়মিত ‘মিট দ্য প্রেস’-এর প্রথম পর্ব। সংগঠনের সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণের সভাপতিত্বে এই আয়োজনের সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল। বাচসাসের সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ বলেন, বাচসাস এই প্রথম মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করেছে। আনোয়ারার মতো কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে দিয়ে ধারাবাহিক এই আয়োজনের পথচলা শুরু করতে পেরে বাচসাস আনন্দিত।  সম্পাদক রাহাত সাইফুল বলেন, আনোয়ারা মা শুধু একজন অভিনেত্রী নন, তিনি আমাদের চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক জীবন্ত অধ্যায়। তার চোখের জল ছিল আমাদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক। এই আবেগই আমাদের আগামী পথচলার প্রেরণা হয়ে থাকবে। সবশেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন খ্যাতিমান এই অভিনেত্রী। তিনি তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা এবং ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা কন্যা চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি। বলা দরকার, ছয় শতাধিক চলচ্চিত্রের নন্দিত এই অভিনেত্রী অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে ৪ বার বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন। মা (১৯৭৭), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), কসাই (১৯৮০) এবং লাল কাজল (১৯৮২) সিনেমার জন্য তিনি পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল বলেছেন, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সরকারে বড় ধরনের রদবদলের অংশ হিসেবে তিনি মঙ্গলবার এই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোকে প্রধানমন্ত্রীর পদে মনোনয়ন দেন। খবর বিবিসির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, আমি ইউক্রেনের সরকারের নেতৃত্ব ও এর কার্যক্রম নতুন করে শুরু করার জন্য ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোর নাম প্রস্তাব করেছি। আমি শীঘ্রই নতুন সরকারের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছি। মঙ্গলবার ইউলিয়াকে নতুন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান জেলেনস্কি। প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলেনস্কি ইউক্রেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্যামিহালকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেন সরকারে ব্যাপক রদবদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।