ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

পাকিস্তানের ভিসা মানেই ইউরোপ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: ২১:১১, ১৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২১:১৪, ১৫ জুলাই ২০২৫

পাকিস্তানের ভিসা মানেই ইউরোপ নিষিদ্ধ

সংগৃহীত

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য যদি কারও পাসপোর্টে পাকিস্তানের ভিসা স্ট্যাম্প থাকে, তাহলে তিনি ইউরোপের কোনো দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন।

ইউরোপের দেশগুলো, বিশেষ করে শেনজেন ভুক্তভোগী ২৭টি দেশ, ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে তাদের পুরো ট্রাভেল হিস্টোরি বিবেচনায় নেয়। কারও পাসপোর্টে পাকিস্তানের ভিসা থাকলেই তাকে ইউরোপে ঢুকতে দেওয়া হবে না এমন কোনো আনুষ্ঠানিক নীতি নেই।

যদিও সরাসরি নিষেধাজ্ঞা নেই, তবুও কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা যাচাই হতে পারে:

  • আপনি পাকিস্তানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেছেন
  • ভিসার উদ্দেশ্য ও আপনার কার্যকলাপ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে
  • আপনি অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশ যেমন আফগানিস্তান, সিরিয়া বা ইরানে ভ্রমণ করেছেন

এই সব বিষয়গুলোর ভিত্তিতে কনস্যুলেট বা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আপনার বিষয়ে বিস্তৃত প্রশ্ন করতে পারেন, তবে স্বচ্ছ এবং প্রমাণপত্র সহ উপস্থাপন করলে সাধারণত কোনো সমস্যা হয় না।

 ভিসা আবেদনকারীর করণীয়

  • পূর্ববর্তী ভ্রমণের সত্যতা ও উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে উপস্থাপন করুন
  • যদি পাকিস্তান ভ্রমণের কোনো প্রমাণপত্র থাকে (আত্মীয় দেখা, ব্যবসা, সম্মেলন ইত্যাদি), তা জমা দিন
  • ভিসা আবেদন ফর্মে সঠিক তথ্য দিন, ভুল বা অস্পষ্ট তথ্য ভিসা বাতিলের কারণ হতে পারে

ইমিগ্রেশন বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, “পাকিস্তান বা অন্য কোনো দেশের ভিসা থাকলেই ইউরোপের ভিসা পাওয়া যাবে না বা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এমন কোনো আইনি নীতিমালা নেই। যাঁরা এই ধরনের কথা বলছেন, তারা হয় ভুল জানেন বা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।”

পাকিস্তানের ভিসা থাকলে ইউরোপে যাওয়া যাবে না - এটি একেবারেই গুজব। বাস্তবে প্রতিটি ভিসা আবেদন ও ভ্রমণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রমাণ, স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তার ভিত্তিতে। তাই এই ধরনের ভ্রান্ত তথ্য থেকে দূরে থাকুন এবং যাচাইকৃত তথ্যের ওপর বিশ্বাস রাখুন।

হ্যাপী

×