
ছবি: সংগৃহীত
ইতালীয় বেলি ড্যান্সার সোহিলা তারেক হাসান হাজ্জাগ গত ২২ জুন কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অভিযোগ, তিনি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করা নাচের ভিডিওতে উসকানিমূলক কৌশল ব্যবহার করেছেন।
মিশরীয় বংশোদ্ভূত এবং ইতালীয় নাগরিকত্বপ্রাপ্ত এই নৃত্যশিল্পী ইনস্টাগ্রামে লিন্ডা মার্টিনো নামে পরিচিত এবং তার অনুসারীর সংখ্যা ২২ লাখ। ভিডিওগুলোতে তিনি খোলামেলা পোশাকে নৃত্য প্রদর্শন করেন এবং নিজেকে "তোমার ধারণার বাইরে কিছু" বলে বর্ণনা করেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হাজ্জাগ "অশালীন পোশাক" পরে ইচ্ছাকৃতভাবে শরীরের স্পর্শকাতর অংশ প্রদর্শনের মাধ্যমে সমাজের রীতিনীতিকে লঙ্ঘন করেছেন।
কায়রোর প্রসিকিউটররা তাকে "উসকানিমূলক নৃত্য ও যৌন প্রলোভনের কৌশল" ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজে অনৈতিকতা ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন, যা নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় হাজ্জাগের কাছে "প্রচুর নগদ অর্থ" পাওয়া যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। কায়রোতে অবস্থিত ইতালীয় দূতাবাস তার মুক্তির দাবি জানিয়ে কূটনৈতিক সহায়তার আবেদন করেছে।
ইতালির সাবেক এক প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সোহিলা মিশরে ফিরে আসেন এবং সেখানেই একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। আপাতত, কমপক্ষে আরও দুই সপ্তাহ তাকে আটকেই রাখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতালীয় গণমাধ্যম বলছে, মিশরে সম্প্রতি "নৈতিকতা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড" রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি'র নেতৃত্বাধীন সরকারের পরিচালিত এই অভিযানের অংশ হিসেবে অন্তত পাঁচজন বেলি ড্যান্সারকে একই ধরনের অভিযোগে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০২০ সালে নৃত্যশিল্পী সামা আল-মাসরিকে "যৌনভাবে উসকানিমূলক ছবি শেয়ার করার" অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং তিন লক্ষ মিশরীয় পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছিল।
তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছবিগুলো তার ফোন থেকে চুরি হয়ে অনুমতি ছাড়াই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এই ধরনের মামলাগুলো এবং ২০১৮ সালে পাস হওয়া অনির্দিষ্ট ও বিতর্কিত সাইবার আইন নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো সমালোচনা করেছে। ওই আইনে বলা হয়েছে, যেকোনো অনলাইন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে "আইন লঙ্ঘনের" প্রমাণ পাওয়া গেলে ন্যূনতম দুই বছরের জেল এবং তিন লক্ষ মিশরীয় পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
শহীদ