
আনোয়ারা বেগম
‘বাচসাস আমার অনেক আপন। অনেক আগে থেকেই বাচসাসের সঙ্গে পরিচয়। বাচসাসকে আমি ভালোবাসি, সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। এই আয়োজনে হাজির হয়ে আমার যে চোখের পানি ঝরেছে তা গ্লিসারিন নয়, শ্রদ্ধা আর সম্মানের। বাচসাস আমাকে যে সম্মান দিয়েছে তা কখনও ভুলব না। এই সম্মান আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে থাকবে’-চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে একথা বলেন চলচ্চিত্রের মমতাময়ী মা’খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম।
১৪ জুলাই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে শুরুতেই গুণী এই অভিনেত্রীকে বাচসাস থেকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
দোয়েল ওটিটির সহযোগিতায় সোমবার বিকেলে মগবাজারস্থ বাচসাস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় নিয়মিত ‘মিট দ্য প্রেস’-এর প্রথম পর্ব। সংগঠনের সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণের সভাপতিত্বে এই আয়োজনের সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল।
বাচসাসের সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ বলেন, বাচসাস এই প্রথম মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করেছে। আনোয়ারার মতো কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে দিয়ে ধারাবাহিক এই আয়োজনের পথচলা শুরু করতে পেরে বাচসাস আনন্দিত।
সম্পাদক রাহাত সাইফুল বলেন, আনোয়ারা মা শুধু একজন অভিনেত্রী নন, তিনি আমাদের চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক জীবন্ত অধ্যায়। তার চোখের জল ছিল আমাদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক। এই আবেগই আমাদের আগামী পথচলার প্রেরণা হয়ে থাকবে।
সবশেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন খ্যাতিমান এই অভিনেত্রী। তিনি তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা এবং ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা কন্যা চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি।
বলা দরকার, ছয় শতাধিক চলচ্চিত্রের নন্দিত এই অভিনেত্রী অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে ৪ বার বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন। মা (১৯৭৭), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), কসাই (১৯৮০) এবং লাল কাজল (১৯৮২) সিনেমার জন্য তিনি পুরস্কৃত হয়েছিলেন।