
ছবি: জনকণ্ঠ
ঢাকার দোহারের নয়াবাড়ি ইউনিয়নের আলোচিত বিএনপি নেতা হারুন মাস্টার হত্যার ঘটনায় জিহাদ চোকদার (২০) নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় নতুন বান্দুরা এলাকা হতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত জিহাদ চোকদার নবাবগঞ্জ উপজেলার নতুন বান্দুরা এলাকার স্বপন চোকদারের ছেলে। এ ঘটনায় এ নিয়ে এজাহার নামীয় একজনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় দোহার সার্কেলের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে হারুন মাস্টার হত্যা মামলায় জিহাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আশরাফুল আলম বলেন, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে জিহাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটকের পর জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এছাড়া পুলিশকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। আসামি জিহাদ ও তাঁর সহযোগীরা মিলে তিন মাস আগেও হারুন মাস্টারকে হত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
জিহাদের দেয়া ভাষ্যমতে পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনায় তার মোটরসাইকেল দিয়ে খুনিরা ঘটনাস্থলে রেকি করে। সর্বশেষ এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। হারুন মাস্টার হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে মহসীন নামে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির পদধারী সাবেক এক নেতার নির্দেশনায় হারুন মাস্টারকে হত্যা করা হয়েছে বলে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সে আরো বলেছে, ভাড়াটিয়া খুনিরা হারুন মাষ্টারকে খুন করেছে। তবে মামলা তদন্তের স্বার্থে পুলিশ পরিকল্পনাকারীর নাম প্রকাশ করছে না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দোহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবায়দুল হক বলেন, মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই খুনের সব রহস্য বের হয়ে আসবে। শীঘ্রই ভালো খবর পাবেন।
উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই সকাল ৬টায় দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি'র সাবেক সভাপতি এবং বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ (হারুন মাস্টার) কে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তার শরীরে ৪টি গুলি ও তিনটি কোপের চিহ্ন ছিলো। এ ঘটনায় নিহত হারুন মাস্টারের ভাই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে দোহার থানায় বিএনপি নেতাসহ ৭জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনকে উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আবির