ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

“বিশ্বজয় করল সৌদিয়া! বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য আশার আলো!”

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:০২, ১৫ জুলাই ২০২৫

“বিশ্বজয় করল সৌদিয়া! বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য আশার আলো!”

ছবি: জনকণ্ঠ

সৌদিয়া গ্রুপ তাদের উৎকর্ষতার প্রতি প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে এবং জাতীয় বিমান চলাচল কৌশলের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের জন্য এই অর্জনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ হাজার হাজার হজযাত্রী ও ভ্রমণকারী ব্যস্ত মৌসুমে সৌদিয়ার সেবার ওপর নির্ভরশীল।

বিশ্ববিখ্যাত বিমান বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান সিরিয়ামের জুন ২০২৫-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদিয়া বিশ্বজুড়ে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট ছাড়ার ও পৌঁছানোর ক্ষেত্রে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। জুন মাসে এয়ারলাইনটি ১৬,৭০০টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে, যেখানে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছানোর হার ছিল ৯১.৩৩% এবং নির্ধারিত সময়ে ছাড়ার হার ছিল ৯০.৬৯%।

বাংলাদেশি যাত্রীরা—বিশেষ করে যারা হজ, ওমরাহ, ব্যবসা বা পারিবারিক কারণে সৌদি আরব সফর করেন—তারা সৌদিয়ার এই সময়ানুগ রেকর্ডের ফলে ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। এতে নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পায় এবং দেরির সম্ভাবনা কমে, ফলে ব্যস্ত ভ্রমণকালীন সময় আরও মসৃণ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়।

২০২৫ সালের মধ্যে এটি দ্বিতীয়বারের মতো সৌদিয়া বিশ্বজুড়ে আগমন ও প্রস্থানে সময়ানুগতার ভিত্তিতে শীর্ষস্থান লাভ করল—এর আগে মার্চ মাসেও তারা এই সাফল্য অর্জন করেছিল। এই কৃতিত্ব সৌদিয়া ও ফ্লাইডিলের অপারেশনাল দক্ষতা ও উৎকর্ষতার প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন, বিশেষ করে হজ, গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ ও ঈদুল-আযহার মতো ব্যস্ত সময়ে, যখন বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ভ্রমণ করেন।

সৌদিয়া গ্রুপের মহাপরিচালক প্রকৌশলী ইব্রাহিম আল-ওমার বলেন, “অসাধারণ পারফরম্যান্স অর্জন ও অপারেশনাল উৎকর্ষতা বজায় রাখতে হলে গ্রুপের সব বিভাগ ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিখুঁত সমন্বয় প্রয়োজন। এই কৃতিত্ব জাতীয় বিমান চলাচল কৌশলের লক্ষ্য অর্জনে আমাদের প্রত্যক্ষ অবদানের প্রতিফলন, বিশেষ করে যাত্রীদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা উন্নত করার ক্ষেত্রে।”

বাংলাদেশের বিমান খাতের জন্য সৌদিয়ার এই সাফল্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে এবং প্রশিক্ষণ, অপারেশনাল মান ও ডিজিটাল বিমান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করেছে। সৌদিয়া গ্রুপ তাদের বহরে ১৮৮টি নতুন বিমান যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে, ফলে বাংলাদেশি যাত্রীদের—বিশেষত হজযাত্রী, পর্যটক ও প্রবাসী শ্রমিকদের—জন্য আসন সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

জেদ্দার কিং আবদুলআজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত সৌদিয়ার ইন্টিগ্রেটেড অপারেশনস কন্ট্রোল সেন্টার (IOCC) এই ব্যাপক সম্প্রসারণ পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বৃহৎ এই সুবিধাটি সৌদিয়া গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠানের ফ্লাইট অপারেশনের সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা দক্ষতা, নির্ভরযোগ্যতা ও বিস্তৃত পরিসরে নিখুঁত সমন্বয় নিশ্চিত করে।

জাতীয় বিমান চলাচল কৌশলের অধীনে সৌদি আরব তাদের বিমান অবকাঠামো সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখায়, বাংলাদেশের যাত্রী ও এয়ারলাইনগুলো উন্নত সংযোগ, নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা এবং আঞ্চলিক বিমান খাতের মধ্যে আরও বড় পরিসরে সহযোগিতার সুবিধা পাবে।

কাওসার/শহীদ

×