ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

বিদ্যুতে ভোগান্তি কাটছে

আসছে এক কার্গো এলএনজি, দুই/এক দিনের মধ্যেই বাড়বে উৎপাদন
বিদ্যুতে ভোগান্তি কাটছে

তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যুতের চাহিদা ছাড়িয়েছে রেকর্ড। ঠিক এমন সময় কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় দেশের সবচেয়ে বড় তাপভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার উৎপাদন। ফলে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন তলানিতে নেমে আসায় দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ে অসহনীয় হয়ে ওঠে জনজীবন। তবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আজ-কালের মধ্যেই এক কার্গো এলএনজি দেশের বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। যেখানে প্রায় ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন এমএমবিটিইউ (এলএনজির ইউনিট) গ্যাস রয়েছে। এই গ্যাসের পুরোটাই ব্যবহার হবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে।

waltonbd
waltonbd
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে ইসি ॥ আইনমন্ত্রী

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে ইসি ॥ আইনমন্ত্রী

নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন এবং কেবল সংবিধান ও আইনের অধীন। বর্তমান ইসি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে নেওয়া পদক্ষেপের মধ্যে সব দলের নির্বিঘœ প্রচার, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা রোধ ও হয়রানিমূলক মামলা না করাসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশন টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বিল খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে সংসদ কাজে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা এবং কোনো ধরনের হয়রানিমূলক মামলা না করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনমন্ত্রী জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন নানা অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন দলের নিবন্ধনসহ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় আগে থেকেই দৃঢ়তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়েছে। নির্বাচনকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং এসব চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য ইসির নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।  ইসি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংবিধান ও নির্বাচনী আইন অনুযায়ী অধিকাংশজন যেসব সুপারিশ করেছে তা বাস্তবায়ন। এছাড়া সব রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনী প্রচার কাজ নির্বিঘেœ করতে পারে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা, সরকারের কোনো সংস্থা কর্তৃক হয়রানিমূলক  মামলা না করা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থক দ্বারা প্রার্থী, সমর্থক, তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ না করা এবং এমন হলে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া।

SomajVabna
স্মারকলিপি দিয়ে বিদ্যুৎ ভবন ছাড়ল বিএনপি

স্মারকলিপি দিয়ে বিদ্যুৎ ভবন ছাড়ল বিএনপি

অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির প্রতিবাদে সারাদেশে পূর্ব ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। কিন্তু খোদ রাজধানীর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। শেষমেশ সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিদ্যুৎ ভবনে স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে আসে। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পুলিশি ব্যারিকেডের কারণে অবস্থান নিতে পারেননি তারা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে মতিঝিল বিদ্যুৎ ভবনের সামনে অবস্থান নিতে পল্টন চায়না টাউনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে রওনা হয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিছিলটি আরামবাগ নটর ডেম কলেজের মোড়ে পৌঁছলে পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে আর এগোতে পারেনি। পরে ঢাকা জেলা বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) উপপরিচালক মমতাজ পারভীনের কাছে স্মারকলিপি দেন। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু। এ সময় উপস্থিত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশী চাপের কাছে আমি মাথা নত করব না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আপনাকে জনগণের শক্তির কাছেই মাথা নত করতে হবে। সীমান্তে যখন আমাদের লোককে গুলি করে তখন তো আপনাকে মাথা উঁচু করে থাকতে দেখি না। রিজভী আরও বলেন, এই বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ১৫৪টি প্লান্ট, তার মধ্যে শুধু ৪৯টি কোনো রকম চালু থাকলেও ১০৪টি প্রায় বন্ধ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানি বলেন, ২০০-২৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মী স্মারকলিপি দিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের দিকে মিছিল করে এগিয়ে যেতে শুরু করে। আমরা তাদের অনুরোধ করি সবাইকে না নিয়ে একদল প্রতিনিধি যাতে স্মারকলিপি দিতে যায়। পরবর্তীতে সাত সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধি দল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি ও বৈঠক করেন। ঢাকার বাইরে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও বিএনপির নেতাকর্মীরা বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। চট্টগ্রাম ব্যুরো ও একাধিক জেলার স্টাফ রিপোর্টার ও সংবাদদাতারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। চট্টগ্রাম ॥ বিদ্যুতে অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মহানগরীর আগ্রাবাদে বিদ্যুৎ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। সকাল ১১ থেকে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ অফিসের সামনে দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। দুপুর ১২টায় বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান ও এনামুল হক এনামের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বিদ্যুৎ অফিসে প্রবেশ করে প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করেন। পাবনা ॥ বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধায় ফিরে আসার সময় যুবলীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে পাবনায়। এ ঘটনায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের বড় ব্রিজ এলাকায় লতিফ টাওয়ার পাশে এ ঘটনা ঘটে। পটুয়াখালী ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পটুয়াখালী শহরের ফটিকের খেয়াঘাট এলাকায় ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কুড়িগ্রাম ॥ সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি নেসকোর সামনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশরী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করে। অপর দিকে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ এর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা নেসকোর সামনে আলাদা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধা জেলা বিএনপির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচি শেষে গাইবান্ধা নেসকো-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ॥ ডিপিডিসির এনওসিএসর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ডিপিডিসির এনওসিএসর সিদ্ধিরগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিএনপির কর্মসূচির কারণে নারায়ণগঞ্জ-আদমজী শিমরাইল সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।  রাজশাহী ॥ দেশব্যাপী বিদ্যুতের লোডশেডিং ও দুর্নীতির প্রতিবাদে রাজশাহীতে নেসকো কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর নেসকো অফিসের সামনে বিএনপির নেতৃবৃন্দ অবস্থান নেয়। তবে সকাল থেকেই অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে নেসকে কার্যালয়ে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নেসকো অফিসের সামনে পুলিশ বেস্টনীর মধ্যেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপির নেতারা। ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহে পুলিশি বাধায় বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিএনপি। লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের বিদ্যুৎ অফিসের পাশে তসলিমা ক্লিনিকে সামনে জড়ো হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান নিতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশি বাধায় সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা। নীলফামারী ॥ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ওয়াবদা মোড়ে নেসকো কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করে জেলা বিএনপি। পরে বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধের দাবিতে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করেন নেতাকর্মীরা। মাগুরা ॥ মাগুরায় স্মারকলিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের ওজোপাডিকোর অফিসের সামনে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের বাধায় তারা জেলা পরিষদ অফিস গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ঠাকুরগাঁও ॥ ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা বিএনপির আয়োজনে সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী শহরের বিদ্যুৎ অফিসের সামনে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তারা নেসকো নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে রাখেন।

আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে সংলাপ নিয়ে ভাবছে না

আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে সংলাপ নিয়ে ভাবছে না

আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে সংলাপ নিয়ে ভাবছে না জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদেশী বন্ধুরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং সরকারও  সেই ধরনের নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঐতিহাসিক ছয় দফা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।   সরকারের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আনার ষড়যন্ত্র করে বিএনপি নিজেরাই খাদে পড়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল নালিশ করে  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আনবে। নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই খাদে পড়েছে। কারণ নিজেরাই খাদে পড়িয়া বগা কান্দে রে। তিনি বলেন, এখন তারা নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে ভিসানীতি পেয়েছে। এই ভিসানীতি আওয়ামী লীগের ভয় পাওয়ার কিছু  নেই। কে কার প্রয়োজনে কাকে ভিসা দেবে, কাকে  দেবে না, সেই  দেশের ব্যাপার। আমরা আমাদের  দেশে কাকে ভিসা  দেব, কাকে  দেব না এটা আমাদের ব্যাপার। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কি আছে?

ঐতিহ্যের ধারক-বাহক দাঁড়িয়াবান্ধা

ঐতিহ্যের ধারক-বাহক দাঁড়িয়াবান্ধা

ইট-পাথরের বাহিরে গ্রামীণ সহজ সরল ও সাদামাটা জীবনযাপনের দিনগুলোয় ফিরে গেলে দেখা যায়, তা ছিল নির্মল আনন্দের। এ দেশে প্রতিটা গ্রামের চিত্র ছিল প্রায় একই রকমের। সবুজের সমারোহ, পাখির কলতানে ভরা, বিস্তীর্ণ মাঠ, নদীর সঙ্গে গভীর মিতালি- এসবই ছিল সাধারণ চিত্র। বাড়ির উঠান ও মাঠের দিকে তাকালেই ছেলে-মেয়েদের গ্রামীণ খেলাধুলার চিত্র চোখে পড়ত। বিদেশী খেলার দাপট এতটা ছিল না। এই যেমন- কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িয়াবান্ধা খেলা। গ্রামগঞ্জে জাতীয় খেলা হা-ডু-ডুর পাশাপাশি দাঁড়িয়াবান্ধা সকল বয়সী ছেলে-মেয়ের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ছিল। দাঁড়িয়াবান্ধা ছাড়াও সেসময় গ্রামের কিশোর কিশোরীরা কানামাছি, গোল্লাছুট, ইচিংবিচিং, আতাপাতা, বৌছি, মোরগলড়াই, গোশত চুরি, ডাঙ্গুলি, ধাপ্পা, কুতকুতসহ অনেক খেলায় মেতে থাকত। যারা গ্রামে বড় হয়েছেন তারা এ ধরনের খেলাধুলা বিষয়ে অবগত আছেন।  অঞ্চল ভেদে দাঁড়িয়াবান্ধা খেলাকে গাদল, বদন, চিবিক, চিড়া-দই-মুড়ি বা গদিখেলা নামে পরিচিত। দাঁড়িয়াবান্ধা কেবল অল্প বয়েসী ছেলে-মেয়েরাই নয় এতে অংশ নিতে পারেন বড়রাও। দাঁড়িয়াবান্ধা খেলায় ছকবাধা ঘর এর আসল বৈশিষ্ট্য। খেলা হয় দুটি দলের মধ্যে। প্রতিটা দলে ৪/৫ থেকে শুরু করে ৮/১০ জন পর্যন্ত খেলোয়াড় থাকে। খেলা শুরু হওয়ার পূর্বে সমতল জায়গায় দাগ কেটে ঘরের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। তবে খেলোয়াড় বেশি হলে ঘরের সংখ্যা বেড়ে যায়। ঘর দেখতে অনেকটা ব্যাডমিন্টন খেলার ঘরের মতো। এই খেলায় ঘরের সীমানা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে বলে দ্রুত দৌড়ের পাশাপাশি কৌশলের কসরত বেশি জানতে হয়। প্রথম ঘরকে বলে ফুলঘর, বদনঘর বা গদিঘর। দ্বিতীয় ঘরকে নুন কোট বা পাকা কোট বলে। ঘরগুলোর মাঝে বরাবর যে লম্বা দাগটি থাকে তাকে শিড়দাঁড়া বা খাড়াকোট বলে। আর প্রস্ত বরাবর রেখাগুলোকে বলে পাতাইল কোট। সমান্তরাল রেখার মধ্যে এক হাত জায়গা থাকতে হবে যাতে অন্য কোনো খেলোয়াড় এই জায়গা দিয়ে যাতায়াত করতে পারে। যতায়াত করার সময় খেলোয়াড়ের পা যেন দাগে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। খেলোয়াড়ের দাঁড়ানোর জন্য অন্য ঘরগুলোতেও কমপক্ষে এক হাত পরিমাণ জায়গার লাইন থাকবে। দাগে কারোই পা পড়া চলবে না।  টসের মাধ্যমে দুইদলের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। খেলা পরিচালনা করার জন্য একজন রেফারি ও স্কোর লেখার জন্য স্কোরার নিযুক্ত করা হয়। একদল প্রথমে খেলার সুযোগ পায় সেই সুযোগকে বলে ঘাই। খেলার শুরুতে ফুলঘরে একদলের খেলোয়াড়রা অবস্থা নেয়। অন্যরা প্রতিঘরের সঙ্গে লম্বারেখা বরাবর দাঁড়ায়। এই খেলায় যেহেতু ছোঁয়াছুয়ির ব্যাপার আছে, কোনো ছোঁয়া বাঁচিয়ে যদি সব কোট ঘুরে ফুলঘরে আসতে পারে তাহলে সেই দল এক পয়েন্ট পায়। পয়েন্ট পেলে ঘাই তাদের দখলে থাকে। তবে সবগুলো ঘর ঘুরে আসার সময় বিপক্ষের কোনো খেলোয়াড়কে যদি ছুঁয়ে দেয় তাহলে পুরো দলই ঘাই হারায়। একজন দুর্বল খেলোয়াড়ের কারণে ঘাই হারিয়ে বিপক্ষ দলের অবস্থানে যেতে হয়। যে দল যতবার ছোঁয়া ছাড়া ঘর ঘুরে আসতে পারবে সেই দল বেশি পয়েন্ট পাবে। এভাবেই চলতে থাকে দাঁড়িয়াবান্ধা খেলা। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এক সময়ের জনপ্রিয় এই খেলা ‘দাঁড়িয়াবান্ধা’। বিদেশী খেলার ভিড়ে এখন গ্রাম্য খেলাগুলো ধুঁকেধুঁকে বেঁচে আছে। তবে উচ্ছ্বাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে এখনো গ্রামের খেলাপ্রেমী মানুষের হৃদয় দখল করে আছে দাঁড়িয়াবান্ধা।

বিলুপ্তির পথে জাতীয় খেলা ‘হা-ডু-ডু’

বিলুপ্তির পথে জাতীয় খেলা ‘হা-ডু-ডু’

বিশ্বের প্রতিটি দেশের জাতীয় প্রতীকের পাশাপাশি জাতীয় খেলা রয়েছে। জাতির নিজস্ব ঐতিহ্য হিসেবে নির্দিষ্ট সেই খেলা একটি দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে হ-ডু-ডু জাতীয় খেলা। একসময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষেও ছিল এই খেলাটি। হ-ডু-ডু আমাদের দেশে ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে কাবাডি নামে বেশ পরিচিত। তবে, এ খেলার উৎপত্তিস্থল ভারতের তামিলনাড়ু। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে একবিংশ শতকের শুরু পর্যন্ত আমাদের দেশের স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে গ্রামীণ পর্যায়ে হ-ডু-ডু ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের মাঠ-ঘাটে হৈ-হুল্লোড় করে চলত জনপ্রিয় এ খেলাটি। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামে সন্ধ্যাকালীন সময় বড়দের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। পুরস্কার হিসেবে গরু, ছাগল ও সাদাকালো টেলিভিশন দেওয়া হতো ঘটা করেই। এ খেলা উপভোগ করতে হাজারো মানুষের ভিড় হতো।  হ-ডু-ডু খেলা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি থাকার পরও পৃষ্ঠপোষকতা, অনুশীলন, প্রাত্যহিক চর্চা ও আয়োজনের অভাবে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার ও বিদেশী খেলার ব্যাপক প্রসার ঘটায় দেশের জনপ্রিয় জাতীয় এ খেলাটি বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে ঘরে ঘরে ভিডিও গেমের প্রচলনে গ্রাম-বাংলার ঐহিত্যবাহী খেলাধুলাগুলো বিলুপ্তির পথে। শৈশবে যেসব খেলাধুলায় দিন কাটিয়েছেন আজকের বয়োবৃদ্ধরা, তারাও এখন ভুলতে বসেছেন সেসব খেলার নাম। সাধারণত হ-ডু-ডু খেলার মাঠের সুনির্দিষ্ট কোনো মাপ থাকে না। খেলায় অংশগ্রহণকারীরা যে জায়গায় খেলা হবে তার আকার বিবেচনায় নিয়ে নিজেরা আলোচনা করে চারদিকে দাগ দিয়ে খেলার মাঠের সীমানা ঠিক করে নেয়। তবে পরিমাণের দিক থেকে মাঠ যত বড়-ছোটই হোক না কেন, এর আকৃতি হয় আয়তাকার। মাঝখানে দাগ দিয়ে মাঠকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিভাগে একেকটি দল অবস্থান নেয়। নিয়ম অনুসারে, একপক্ষের একজন খেলোয়াড় অপর পক্ষের কোর্টে হানা দেয়। এ সময় সে হ-ডু-ডু, হা-ডু- শব্দ করতে করতে অন্য ওইপক্ষের যে কোনো একজন খেলোয়ারকে ছুঁয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করে। ওই পক্ষের চেষ্টা থাকে সবাই মিলে তাকে জাপটে ধরে আটকে রাখা। যদি ওই খেলোয়াড় দম ধরে রেখে নিজ কোর্টে ফিরে আসতে পারে, তাহলে তার দল পয়েন্ট পায়। আর যদি আটকে থাকা সময়ের মধ্যে খেলোয়াড়টির দম ফুরিয়ে যায়, তাহলে বিপক্ষ দল পয়েন্ট পায়। প্রতি দলে থাকে  ১২ জন করে খেলোয়াড়। এ খেলায় একপক্ষের খেলোয়াড় দম ধরে প্রতিপক্ষের কোর্টে হানা দিয়ে দম থাকা অবস্থায় স্পর্শ কিংবা ধস্তাধস্তির পর নিজ কোর্টে ফিরে আসতে পারলে পয়েন্ট অর্জিত হয়। প্রতি দলে ১২ জন করে খেলোয়াড় থাকলেও সাতজন খেলোয়াড় কোর্টে খেলে এবং বাকি পাঁচজন অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে কোর্টের বাইরে থাকে। প্রতিযোগিতার সময় দুই অর্ধ মিলিয়ে মোট ৪০ মিনিট এবং দুই অর্ধের মাঝামাঝি পাঁচ মিনিট বিরতি থাকে। কোনো পক্ষ তার বিপক্ষের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে আউট করার সুবাদে একটি করে পয়েন্ট লাভ করে। বিপক্ষ দলের সব খেলোয়াড়কে আউট করতে পারলে লোনা বাবদ অতিরিক্ত দুই পয়েন্ট পায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যে দল বেশি পয়েন্ট অর্জন করবে, খেলায় সে দলই জয়ী হবে। স্থানীয় ক্রীড়াবিদরা বলছেন, ক্রিকেট, ফুটবলের পাশাপাশি স্মার্ট মুঠোফোনে বিভিন্ন রকমের খেলা  নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করায় আমাদের নিজস্ব গ্রামীণ খেলাগুলো প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠন ও স্কুল, কলেজগুলোর উদাসীনতাও অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করেন তারা। গত একযুগ আগেও দেশের উত্তরের প্রবেশদ্বারখ্যাত জেলা পঞ্চগড়ে স্কুলভিত্তিক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি গ্রামগঞ্জে বড়দের হ-ডু-ডু খেলা প্রতিযোগিতার আয়োজন চোখে পড়ত। বর্তমানে সেটা চোখেই পডছে না। বতর্মান নতুন প্রজন্মের অনেকেই হ-ডু-ডু খেলার নিয়ম পর্যন্ত বলতে পারে না।  মানিকপীর বেংহারী ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক সেলীনা আকতার বলেন, হ-ডু-ডু ও কাবাডি খেলা এক সময় এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে গ্রাম-বাংলায় এ খেলাগুলো না দেখলে ছোট থেকে বড়রা পর্যন্ত যেন আনন্দই পেত না। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও খেলত সমানতালে। স্কুল শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, মুঠোফোন আর বিদেশী খেলার চাকচিক্যতায় হ-ডু-ডু এখন পাঠ্যপুস্তকের একটি অংশ হিসেবেই কেবল নামটি ধরে রেখেছে। বতর্মান সময়ের  ছেলেমেয়েরা আমাদের  দেশীয় সংস্কৃতির চাইতে বিদেশী খেলার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল বলেন, গত দশ বারো বছর আগেও ছেলেদের পাশাপাশি ছোট মেয়েরাও  হ-ডু-ডু খেলত। এতে তাদের শরীরের গঠন যেমন ভালো হতো তেমনি খাবার খেতে বায়না করত না। বর্তমানে  ফাস্ট ফুড আর বিদেশী খেলার প্রতি প্রবল আকর্ষণের কারণে এখনকার শিশু ও তরুণরা দেশীয় খাবার ও খেলাধুলাগুলোকে গেঁও মনে করছে। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে দীর্ঘদিন ধরে হ-ডু-ডু খেলার কোনো আয়োজনই কোথাও নেই। স্কুলের শিক্ষার্থীদের আগে গরু খাসি কিংবা টেলিভিশন পুরস্কার দিয়ে হ-ডু-ডু খেলার যে আয়োজন হতো সেটা নতুন প্রজন্মের কাছে যেন রূপকথার গল্প। অথচ দেশীয় আনন্দদায়ক খেলাগুলো ফেলে বিদেশী ক্রিকেট ও ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সারারাত জেগে হৈ-হুল্লোড় করে উপভোগ করার ঘটনা প্রতিনিয়তই চোখে পড়বে যেকারুরই। শুধু তাই নয় এসব খেলাকে কেন্দ্র করে উঠতি বয়সের যুবক ছেলেদের অনেকেই বাজি লাগিয়ে জুয়ায় মেতেছে। এছাড়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট ও ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রিয়দলের হারজিত নিয়ে পক্ষ প্রতিপক্ষের মধ্যে ঝগড়া মারামারির মতো ঘটনাও ঘটছে।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে এ খেলার নামকরণ হয় কাবাডি। সে বছরই কাবাডি জাতীয় খেলার মর্যাদাও পায়। তবে জাতীয় খেলার মর্যাদা পেলেও এ খেলা তখন কেবল গ্রাম-বাংলাতেই হতো। ১৯৭৮ সালে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বার্মার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন গঠন করা হয়। ১৯৮০ সালের ফেরুয়ারিতে প্রথম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এশিয়ান কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভারত চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়। ১৯৯০ সালে প্রথমবারের মতো বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে অন্তর্ভুক্ত হয় কাবাডি। এ প্রথম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রৌপ্যপদক গ্রহণ করে বাংলাদেশ। পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনসুর আলম বলেন, শরীর গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। খেলাধুলার বাইরে থাকায় ও মুঠোফোনে আসক্তি বেড়ে যাওয়ায় শিশু থেকে বড়রাও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়ছেন। পঞ্চগড়ে জাতীয় এ খেলাটি হারিয়ে যাবার কারণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে পুনরায় ফেরাতে করণীয় সম্পর্কে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত স¤্রাট বলেন, স্কুল ও কলেজভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন, বিভিন্ন ক্লাব ও ক্রীড়া সংগঠনগুলো উদ্যোগী হলে জাতীয় খেলা হ-ডু-ডু পুনরায় প্রাণ ফিরে পাবে। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকলে সম্ভব হবে।

বিকাশ পেমেন্টে আর্জেন্টিনায় মেসিদের খেলা দেখার সুযোগ

বিকাশ পেমেন্টে আর্জেন্টিনায় মেসিদের খেলা দেখার সুযোগ

এবার আর্জেন্টিনায় গিয়ে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, জুলিয়ান আলভারেজ, এমি মার্টিনেজদের মতো সুপারস্টারদের নিয়ে গড়া আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের খেলা দেখার সুযোগ পাবেন ২১ জন বাংলাদেশী দর্শক-ভক্ত। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সঙ্গে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের পার্টনারশিপের আওতায় ধারাবাহিক কার্যক্রমের প্রথম উদ্যোগ এটি। এ পর্যায়ে, বাংলাদেশের ভক্ত-অনুরাগীদের তাদের স্বপ্নের ফুটবল সুপারস্টারদের খেলা সরাসরি স্টেডিয়ামে বসে দেখার সুযোগ করে দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বিকাশ। -বিজ্ঞপ্তি

আইকনিক গাড়ি নিলামে!

আইকনিক গাড়ি নিলামে!

কাঠের তৈরি একটি আইকনিক ‘সিট্রোয়েন ২সিভি’ কার ফ্রান্সে নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। সম্প্রতি ফ্রান্সের ট্যুরস শহরে নিলামের জন্য এটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল। এর পরই নিলামে ২ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে এটি। যুদ্ধোত্তর ফরাসি ক্লাসিকের মতো বিখ্যাত বক্ররেখা ব্যবহার করে ২সিভির পুরো বডি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ভিনটেজের আকর্ষণীয় একটি জাদুঘরের মালিক প্যারিসের সংগ্রহকারী জিন-পল ফাভান্ড আইকনিক গাড়িটি সংগ্রহে রেখেছিলেন। গাড়িটির জন্য নিলাম হাউস প্রথমে ১ লাখ থেকে ২ লাখ ইউরো ধার্য করেছিল, যা একটি সাধারণ গাড়ির দামের থেকে অনেক বেশি। তবে তারা বলেছে, এটা (মূল্য) গাড়ির চেয়ে অনেক বেশি, এটা শিল্পের জন্য। -ইয়াহু নিউজ অবলম্বনে 

সূচকের সঙ্গে বাড়ল লেনদেন

সূচকের সঙ্গে বাড়ল লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে ডিএসইতে দাম বাড়ার থেকে দাম কামার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের ১১ মিনিটের মাথায় সূচকটি বাড়ে ১৯ পয়েন্ট। তবে বেলা ১১টার পর বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়। এতে এক পর্যায়ে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। অবশ্য লেনদেনের শেষদিকে আবার দরপতনের তালিকা থেকে কিছু প্রতিষ্ঠান বেরিয়ে আসে। এতে একদিকে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়। অন্যদিকে সবটি সূচক বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। একই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের পরিমাণ।

আসছে ডিজিটাল ব্যাংক

আসছে ডিজিটাল ব্যাংক

সব পর্যায়ের মানুষের কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে চালু হবে ডিজিটাল ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংকের রূপরেখা ও নীতিমালা প্রণয়ণের কাজ প্রায় শেষ। সব কিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আগামী বোর্ড সভায় ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন হবে। শাখা ছাড়াই চলবে এই ব্যাংক। প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধন লাগবে ১৫০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে দেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টাকে প্রসারিত ও ত্বরান্বিত করতে একটি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শেষ হয়েছে। এ নীতিমালা ও ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ীই পরিচালিত হবে ডিজিটাল ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন হলেই স্মার্ট বাংলাদেশে অভিমুখে ব্যাংকের যাত্রা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। ডিজিটাল ব্যাংক লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধন লাগবে ১৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে প্রচলিত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধন দরকার হয় ৫০০ কোটি টাকা। ডিজিটাল ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ, ঋণ আবেদন ও ঋণ অনুমোদন সবই কিছুই হবে অনলাইন ভিত্তিক। এতে ভুয়া ও বেনামি ঋণ গ্রহীতা শনাক্ত সহজ হবে। প্রকৃত ঋণ গ্রহীতা দ্রুত ঋণ নিতে পারবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ডিজিটাল ব্যাংকের রূপরেখা ও নীতিমালা প্রস্তুত করা হয়েছে। তা আগামী ১৪ জুন বোর্ড সভায় পাঠানো হবে। বোর্ড সভায় অনুমোদন দিলেই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ ও বিভিন্ন ফি বা চার্জ গ্রহণ সবই হবে অ্যাপভিত্তিক। ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থাকবে কিন্তু কোনো শাখা থাকবে না। প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল ব্যাংক শুধু সিএমএসএমই ঋণ বিতরণ করবে। ব্যাংকারদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, কোভিড ১৯ মহামারি আমাদের অনলাইন নির্ভরতা বাড়িয়ে দিয়ে গেছে। এই মহামারিতে আমরা ঘরে বসে গ্রাহক সেবার পথ উন্মুক্ত করতে পেরেছি। এই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল ব্যাংক একটি নতুন উদ্যোগ। বিভিন্ন পরিষেবা বিল, মাশুল জমা দেওয়া, টাকা স্থানান্তর, কেনাকাটার মতো বিভিন্ন সেবা যুক্ত হবে ডিজিটাল ব্যাংকে। এই ব্যাংক অনুমোদন হলে গ্রাহকরা আরও সহজে ব্যাংকিং সেবা পাবে। গ্রাহকের সময় ও ভোগান্তি দুটোই কমবে। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রত্যেক স্পন্সরের সর্বনি¤œ শেয়ারহোল্ডিং হবে ৫০ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২.৫ কোটি টাকা। ফিনটেক কোম্পানি, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান, মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস), ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে যৌথ উদ্যোগ নিয়ে আসতে পারবে। ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স ইস্যু করার তারিখ থেকে ৫ বছরের মধ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে হবে বলেও প্রস্তানীতিমালায় বলা হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকের রূপরেখা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য বাংলাদেশে একটি নিবন্ধিত প্রধান কার্যালয় থাকতে হবে।  তবে কোনো শাখা থাকবে না। নিবন্ধিত প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের অফিস থাকবে। এই কার্যালয়ে সরাসরি বা অনলাইন দুই ভাবেই গ্রাহকের অভিযোগ গ্রহণ ও সমাধানের জন্য বিভাগ থাকবে। ডিজিটাল ব্যাংকের নিজস্ব কোনো এজেন্ট থাকবে না। রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন বা বাণিজ্য অর্থায়নে যুক্ত হতে পারবে না ডিজিটাল ব্যাংক। ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে দক্ষ, সাশ্রয়ী এবং উদ্ভাবনী ডিজিটাল আর্থিক পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহ করবে। গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে এবং সেবাবঞ্চিত, কম সেবা পাওয়া ও প্রত্যন্ত এলাকার (পার্বত্য জেলা, দ্বীপ ইত্যাদি) আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিজিটাল ব্যাংক। গ্রাহকদের লেনদেনের সুবিধার্থে ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য দিতে পারে ডিজিটাল ব্যাংক। ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০-এর আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স স্কিম মেনে চলবে ডিজিটাল ব্যাংকগুলো। এছাড়া ডিজিটাল ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিএসআর নীতি অনুসারে অথবা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া নির্দেশনা অনুসারে সময় সময় করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যকলাপও পরিচালনা করতে হবে। উদ্যোক্তা ও পরিচালক হতে যা লাগবে ॥ গত ৫ বছরের মধ্যে কোনো সময়ে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ খেলাপি হয়েছেন বা ছিলেন, এমন কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের স্পন্সর হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না। ঋণ খেলাপি অবস্থার বিরুদ্ধে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে কোনো নিষ্পত্তিকৃত মামলার রায়ের অপেক্ষায় আছেন, এমন কোনো ব্যক্তিও ডিজিটাল ব্যাংকের স্পন্সর হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবসা শুরু হওয়ার ৫ বছরের মধ্যে স্পন্সর শেয়ার হস্তান্তর করা যাবে না। ব্যবসা শুরুর তারিখ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ব্যাংক পাবলিক শেয়ার ইস্যু করবে। কোনো ব্যাংকিং কোম্পানির পরিচালক বা উপদেষ্টা বা পরামর্শদাতা প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না।  এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ কতজন পরিচালক হতে পারবেন, তা ঠিক করা হবে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী। ডিজিটাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যের প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং, উদীয়মান প্রযুক্তি, সাইবার আইন-কানুনের বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষা, জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হবে। আর বাকি ৫০ শতাংশ সদস্য ব্যাংকিং, ই-কমার্স এবং ব্যাংকিং আইন ও প্রবিধান ইত্যাদি নিয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

ওয়ালটন নিয়ে এলো স্মার্ট ফ্রিজ জায়ান্টেক

ওয়ালটন নিয়ে এলো স্মার্ট ফ্রিজ জায়ান্টেক

দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন উন্মোচন করেছে এআইওটি বেজড স্মার্ট ফ্রিজ জায়ান্টেক। নতুন সিরিজের এই ফ্রিজটির মাধ্যমে হাই-টেক রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বিপণনের নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। নতুন এ সিরিজের মধ্যে রয়েছে ৬১৯ লিটারের জিটি, ৬৪৬ লিটারের জিটি প্রো ও ৬৬০ লিটারের জিটি প্রো ম্যাক্স। গ্রাহকরা স্মার্টফোনে ওয়ালটন স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্সের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ফ্রিজটি পরিচালনা করতে পারবেন। বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক লঞ্চিং ইভেন্টের মাধ্যমে নতুন সিরিজের ফ্রিজটি উন্মোচন করা হয়।  বক্তব্যে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোলাম মুর্শেদ বলেন, জায়ান্টেক সিরিজের ফ্রিজের মডেল ডেভলপমেন্টের জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বহুদেশের ফ্রিজ এক্সপার্টসদের নিয়ে কাজ করেছি।  বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) সেন্টার ও প্রকৌশলী টিম গঠনে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের শক্তিশালী আরঅ্যান্ডআইয়ের দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীসহ প্রোডাকশন, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টসহ সব বিভাগের সদস্যরা গত পাঁচ বছর ধরে জায়ান্টেক সিরিজ ফ্রিজের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এরই প্রতিফলন হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ফোর-ডোর ফ্রিজ উৎপাদনকারী দেশের মর্যাদা লাভ করল বাংলাদেশ। 

রাজনৈতিক উপাদান বিবর্জিত আমলাতান্ত্রিক বাজেট

রাজনৈতিক উপাদান বিবর্জিত আমলাতান্ত্রিক বাজেট

নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, নির্বাচনী বছরেও নির্বাচনী বাজেট হয়নি। যে বাজেট হয়েছে তা রাজনৈতিক উপাদান বিবর্জিত আমলাতান্ত্রিক বাজেট। বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন এ এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ও সিপিডি আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২০২৪ : অসুবিধাগ্রস্ত মানুষগুলো কি পেল?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এতে আরও বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ও রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।

ফাইনালের আগে ফাইনাল

ফাইনালের আগে ফাইনাল

বিশ্ব টেনিসের অন্যতম সেরা তারকা নোভাক জোকোভিচ। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসাধারণ পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে ইতোমধ্যেই নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সার্বিয়ান তারকা এবার চলমান ফ্রেঞ্চ ওপেনেও হট ফেভারিট। খেলছেনও দুর্দান্ত। শুরু থেকেই দাপুটে খেলে রোঁলা গ্যারোঁর সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন ২২ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। ফাইনালে উঠার লক্ষ্যে আজ আবারও কোর্টে নামছেন নোভাক জোকোভিচ। যেখানে তার প্রতিপক্ষ কার্লোস আলকারাজ। সময়ের সেরা তরুণ প্রতিভাবান এই স্প্যানিশ টেনিস তারকাও কোর্টে দাপট দেখাচ্ছেন। প্রত্যাশিতভাবে নিজের সেরাটা ঢেলে দিয়েই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। যে কারণে প্যারিসে আজকের এই সেমিফাইনালকেই টেনিসবোদ্ধারা বিবেচনা করছেন ফাইনালের আগে ফাইনাল হিসেবে।

৪৩ চলচ্চিত্র নিয়ে দশ দিনের উৎসব

৪৩ চলচ্চিত্র নিয়ে দশ দিনের উৎসব

যারা সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য চমৎকার এক আয়োজন। বিনা দর্শনীতে দেখা যাবে খ্যাতিমান থেকে উদীয়মান নির্মাতাদের নির্মিত একগুচ্ছ চলচ্চিত্র। বিবিধ বিষয়ের ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ১৩টি প্রামাণ্যচিত্র ও আটটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সব মিলিয়ে ৪৩টি চলচ্চিত্র নিয়ে সজ্জিত হয়েছে ‘চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের নির্মিত চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩’। বৃহস্পতিবার থেকে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার মিলনায়তনে শুরু হওয়া দশদিনের এ উৎসব চলবে আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা ও  সাড়ে ৫টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ৬০ বছর এবং ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই শিল্পায়োজন। আয়োজক ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিত্রশালা মিলনায়তনে উৎসব উদ্বোধন করেন বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ও চলচ্চিত্র সংসদকর্মী মসিহউদ্দিন শাকের এবং সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন মামুন।  অনুষ্ঠানে নীরবতা পালন করে স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্রকর্মী প্রয়াত সুশীল সূত্রধরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের জন্মশতবর্ষে  শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে প্রদর্শিত হয় তারেক মাসুদ নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আদম সুরত’ এবং মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত ‘চাকা’।  সকল প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য। আজ শুক্রবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনে বিকেল ৩টায় প্রদর্শিত হবে আলমগীর কবির নির্মিত দ্ইু ছবি ‘সূর্যকন্যা’ ও ‘শিল্পাচার্য’। বিকেল সাড়ে ৫টায় দেখানো হবে হারুনর রশিদ নির্মিত ‘মেঘের অনেক রং’ ও এনামুল করিম বাবুলের ছবি ‘ঢাকি’ এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী নির্মিত ‘ঘুড্ডি’। শনিবার বিকেল ৩টায় দেখানো হবে এনামুল করিম নির্ঝরের ‘আহা’ এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী নির্মিত ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’। সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হবে তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদের ‘মুক্তির গান’ এবং তারেক মাসুদ ও শামীম আখতারের ছবি ‘সে’।  শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা নতুন যৌবনের দূত ॥ শিশুদের পরিবেশনায় সজ্জিত ছিল পুরো আয়োজন। সেই সুবাদে বৈচিত্র্যময় উপস্থাপনায় ভালো লাগার অনুভব ছড়িয়ে দিল খুদে শিল্পীরা। কচিকণ্ঠের গানের সুরে সিক্ত হলো শ্রোতার অন্তর। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে ফকির লালন সাঁই কিংবা হাছন রাজার ঐশ্বর্যময় গীতবাণী উচ্চারিত হলো তাদের কণ্ঠে। অন্যদিকে ছোটদের নান্দনিক নাচের পরিবেশনায় চঞ্চল হলো দর্শক নয়ন। নাচ-গানের সমান্তরালে আয়োজনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে কবিতার শিল্পিত উচ্চারণের আবৃত্তি পরিবেশনা।

মা ও মেয়ের গল্প

মা ও মেয়ের গল্প

মা  প্রত্যেক মানুষের জীবনে সবচাইতে আকাক্সিক্ষত ব্যক্তিত্ব। মা শব্দটিই জগতের সেরা আবেদন। দশ মাস দশ দিন জঠরে ধারণ করে একজন উৎফুল্ল ও গর্বিত মা যখন সন্তানকে জগতের আলোয় নিয়ে আসেন তার চেয়ে মহৎ ও বৃহৎ কর্ম আর কোথাও আছে কিনা বলা মুশকিল। স্নেহে, মায়া, মমতায় মাতৃশৌর্যের অপার মহিমায় সন্তান বড় হয়। নিজেকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মায়ের কোনো বিকল্প নেই নির্দ্বিধায় মানাই যায়। সেই চিরায়ত স্নেহ সুধায় মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক তাও এক অনন্য রূপকল্পই শুধু নয় গল্প কথারও অপরূপ নিয়ামক। প্রতিদিনের যাপিত জীবনের অনুক্ষণ কাটে স্নেহময়ী মায়ের আতিশয্য আর নৈকট্যে।

মিমের ‘বাগান বিলাস’ শিল্পের সমাহার

মিমের ‘বাগান বিলাস’ শিল্পের সমাহার

চট্টগ্রাম বহদ্দারহাটের মেয়ে নুসরাত সুলতানা মিম। মহসিন কলেজে রসায়ন নিয়ে পড়ছেন, সম্মান দ্বিতীয় বর্ষে। পাশাপাশি ফৌজদার হাট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিওথেরাপি নিয়েও ডিপ্লোমা করছেন। ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে চিকিৎসক হবেন। সে স্বপ্নে বাধা পড়ায় ফিজিওথেরাপিস্ট হয়ে স্বপ্নটা কিঞ্চিৎ বাস্তবায়ন করতে চান। সঙ্গে এই অল্প বয়সে আরও বিশাল স্বপ্নপূরণের কর্মযজ্ঞে নেমেছেন মিম। মিষ্টি মুখের মিম ঘরে ভীষণ অগোছালো হলেও, জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়েছেন এই বয়সেই। ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু কোভিডের কারণে পড়াশোনায় বিঘœ ঘটে, আর সে বছর অটোপাস দেওয়া হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক কাটুক অন্ধকার

মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক কাটুক অন্ধকার

অপেক্ষাকৃত ভালো কাজের সন্ধানে বাংলাদেশ থেকে নারী শ্রমিকদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গমন বহুদিন চলে আসা স্বাভাবিক ঘটনাক্রম। শুধু তাই নয় মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে বাঙালি নারী শ্রমিকের চাহিদাও আছে। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বৈধ পথে যে কোনো শ্রমিকের বিদেশ গমন একপ্রকার স্বাভাবিক যাত্রা। কিন্তু সবসময় আইনী বিধান সুরক্ষিত রেখে ভিন দেশে মজুরি শ্রমিক পাঠানো যথার্থভাবে না হওয়ার চিত্রও আশঙ্কাজনক। সৌদি আরব, জর্দান, ওমান, কাতার এসব দেশে পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকের কাজের সন্ধানে যাওয়া দেশের অর্থনীতিতে এক বিরাট অবদানও বটে।