
টলিউডে সাপে-নেউলে সম্পর্ক কাদের? বাংলা বিনোদন দুনিয়ার অন্দরের অনেকেই জানেন তাদের নাম, কিন্তু বিশ্বাস করতে চান না। উল্টোরথের দিন সেই গোপন কথা ফাঁস করলেন ‘রক্তবীজ ২’-এর কাহিনি, চিত্রনাট্যকার জিনিয়া সেন। এ দিন প্রকাশ্যে ছবির নায়িকা মিমি চক্রবর্তীর ‘লুক’— বন্দুক তাক করে শত্রুনিধনে ব্যস্ত। চোয়াল শক্ত, কড়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে পর্দার ‘সংযুক্তা মিত্র’।
সে প্রসঙ্গে কথা তুলতেই জিনিয়া বললেন, “‘হাতে সত্যিকারের বন্দুক পেলে সবার আগে শিবুদাকে গুলি করব!’ মিমি সেটে ছবির অন্যতম পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে সরাসরি হুমকি দিয়েছিল!” এ কথা শুনে হেসে ফেলেছিলেন শিবপ্রসাদ।
কিন্তু মিমি কেনই বা অন্যতম পরিচালককে হঠাৎ হুমকি দিতে গেলেন?
জিনিয়ার দাবি, দোষ পরিচালকেরও রয়েছে। পরিচালক যত ক্ষণ সেটে থাকতেন সর্ব ক্ষণ কেবল মিমিকে রাগিয়ে দিতেন। ব্যস, মিমির মাথাগরম। শুটিং ফেলে চিৎকার-চেঁচামিচি। তখনই তিনি হুমকি দেন। পরে আবার গজগজ করতে করতে শুটিংয়েও ফেরেন নায়িকা। শুট শেষ হতেই ফের রণংদেহি মূর্তি। বাধ্য হয়ে হাসতে হাসতে সেট ছেড়ে বেরিয়ে যেতেন শিবপ্রসাদ।
কাহিনি-চিত্রনাট্যকারের কথায়, “মিমি খুব পরিশ্রমী। ভাল মনেরও। একটু ছেলেমানুষ। তাই কারণে অকারণে মাথা গরম করে ফেলে। শুধু শিবু না, সেটের প্রত্যেকে ওকে রাগিয়ে দিয়ে মজা পেতেন। তেমনই চটে যেতেন নায়িকা।” তবে, এ সব মনে রাখেন না মিমি। রাগ পড়ে গেলে ফের গলায় গলায় ভাব সকলের সঙ্গে। মিমির নাকি আরও একটি কারণে শিবপ্রসাদের উপর অভিমান। জিনিয়ার কথায়, “মিমি কাঁদ-কাঁদ গলায় প্রায়ই বলত, ‘পরিচালক কেবল আবীর চট্টোপাধ্যায়কে ভালবাসেন। আমায় একটুও না’!”
শুটিংয়ের সময় এই অভিনেত্রীই ৩৬০ ডিগ্রি বদলে যেতেন। শট নিখুঁত করার জন্য সব কিছু করতে রাজি। ফলে, ‘রক্তবীজ ২’-এর শুরুতেই বিপত্তি। উপর থেকে লাফ দিয়ে পড়ার দৃশ্যে পিঠে বাঁধা হার্নেস ঠিকমতো কাজ করেনি। মিমির হাঁটু আছড়ে পড়ে মাটিতে। ব্যথায় কঁকিয়ে উঠেছিলেন নায়িকা! ফুঁপিয়ে কেঁদেছিলেন কিছু ক্ষণ। তার পর চোখের জল মুছে শট দিয়েছিলেন। সে দিন সকলের সামনে তাঁর পিঠ চাপড়ে প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছিলেন শিবপ্রসাদও।
ফুয়াদ