ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

গাজা যুদ্ধ থামাতে কি আছে এই ট্রাম্প এগ্রিমেন্টে?

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০৮:০৮, ৬ জুলাই ২০২৫

গাজা যুদ্ধ থামাতে কি আছে এই ট্রাম্প এগ্রিমেন্টে?

গাজায় ২১ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টায় আশার আলো দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। পাকিস্তান-ভা

গাজায় ২১ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টায় আশার আলো দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। পাকিস্তান-ভারত ও ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধের পর এবার গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের উদ্যোগে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস—দুই পক্ষই।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘ট্রাম্প এগ্রিমেন্ট’ নামে পরিচিত এই প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসরা প্রকাশ করেছে একাধিক আরব সংবাদমাধ্যম। এতে বলা হয়েছে, প্রথম দিন থেকেই স্থায়ী সংঘাত নিরসনের আলোচনা শুরু হবে, যদিও চুক্তিটি মূলত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই আলোচনায় আন্তরিকতার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী ধাপে ধাপে মুক্তি দেয়া হবে হামাসের হাতে থাকা ৫৮ জন জিম্মির মধ্যে প্রথমে ১০ জনকে। পাশাপাশি ফেরত দেয়া হবে ১৮ জনের মরদেহ। এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাবে ফিলিস্তিনি বন্দীরা।

চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করবে ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনী। এছাড়া প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা বিমান বাহিনীর নজরদারি বন্ধ থাকবে। জিম্মি বিনিময়ের দিন এই নজরদারি বন্ধ থাকবে ১২ ঘণ্টা।

ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখতে গাজায় নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে। জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

চুক্তির আওতায় প্রথম দফায় জিম্মি বিনিময়ের দিন উত্তর গাজা ও নেতজারিম করিডোরে সেনা মোতায়েন করবে ইসরায়েল। দ্বিতীয় দফায় বন্দি বিনিময়ের সময় সেনা মোতায়েন করা হবে দক্ষিণ গাজায়।

চুক্তির দশম দিনে হামাস জানাবে সব জিম্মির তথ্য ও শারীরিক অবস্থা। একইভাবে ইসরায়েলও জানাবে ফিলিস্তিনি বন্দীদের তথ্য। চূড়ান্তভাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে মুক্তি পাবে অবশিষ্ট জিম্মিরাও।

সূত্রঃ https://youtu.be/BCKsqxbe8OQ?si=IVtyZA_UYT2GUtBa

নোভা

আরো পড়ুন  

×