ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

নির্বাচন নিয়ে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে ॥ রিজভী

নির্বাচন নিয়ে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে ॥ রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতে ভোটের বিকল্প নেই। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। শনিবার ধানম-ি স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে এ কথা বলেন তিনি। রুহুল কবীর রিজভী বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন তারাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। পৃথিবীর খুব কম সংগ্রামেই তরুণদের এমন আত্মত্যাগ দেখা যায়। শেখ হাসিনার বীভৎসতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই ফ্যাসিজমের যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়। এ সময় যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, শেখ হাসিনা দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে কলুষিত করেছে। জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি ক্রীড়াঙ্গনে জনআকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।

adbilive
adbilive
আধুনিক পুঁজিবাদ প্রকৃতি ও সমাজের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে

আধুনিক পুঁজিবাদ প্রকৃতি ও সমাজের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে

দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রকৃত সামাজিক ব্যবসার মডেল গ্রহণ করার জন্য মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।  তিনি বলেন, ‘শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ-এই তিন শূন্য অর্জনে প্রয়োজন আন্তরিকভাবে সামাজিক দায়িত্ববোধের চর্চা। আমরা মূল্যবোধের কথা বলছি, কিন্তু প্রয়োগ করছি না-এটাই সমস্যা। প্রকৃত পরিবর্তন তখনই আসে, যখন নৈতিক আদর্শকে কাজে লাগানো হয়।’ শনিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরিতে ‘আন্তর্জাতিক সামাজিক ব্যবসা সম্মেলন (আইএসবিএস) ২০২৫: মুসলিম বিশ্বের তিন শূন্য অর্জনে এনজিও নেতৃত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান এ কথা বলেন। পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আধুনিক পুঁজিবাদ প্রকৃতি ও সমাজের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এখনই যদি আমরা আমাদের অর্থনৈতিক মডেল পরিবর্তন না করি, তাহলে এই শতকের শেষ নাগাদ অনেক দেশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে এবং অনেক সভ্যতা হারিয়ে যাবে।’ তিনি ভোগব্যবস্থার পুনর্বিবেচনার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘প্রয়োজন আর অতিরিক্ত চাহিদার মধ্যে পার্থক্য করতে শিখতে হবে। আমাদের যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে-চিরতরে।’ ইসলামের মূল্যবোধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইসলাম কেবল প্রচার নয়, কার্যকর উদ্যোগের নির্দেশ দেয়। এটি বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং মুনাফার নামে দুঃখ সৃষ্টি না করে উপার্জন করে তা অন্যের কল্যাণে ব্যয় করার শিক্ষা দেয়।’ তিনি আফসোস করে বলেন, ‘মানবিক সংকটে মুসলিম বিশ্ব একক কণ্ঠে কথা বলে না।

সড়কে খানাখন্দ, সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে মানুষ!

সড়কে খানাখন্দ, সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে মানুষ!

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের কাকরদা গ্রামে সড়কের ওপর গাছের সাঁকো নির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সড়কটি যুগের পর যুগ ধরে বেহাল অবস্থায় থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা গাছের ডালপালা ও গাছ দিয়ে অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করেছেন। এই মাটির সড়কটি কাকরদা গ্রাম হয়ে ভোজ মহল গ্রামের সঙ্গে সংযোগ হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ২ গ্রামের হাজারও মানুষ চলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে এই সড়কে হাজারও মানুষের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।  স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাঁচা মাটির সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সমতল ভূমির সঙ্গে মিশে গেছে। এখন সড়কটি খানা-খন্দে ভরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে হাটু পানি আর কাদায় রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা নিজেরাই গাছের গুঁড়ি ও গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন। কাকরদা গ্রামের বাসিন্দা বারেক বলেন, রাস্তাটির এমন করুণ অবস্থা দেখে আমরা আর চুপ থাকতে পারিনি। বাধ্য হয়ে নিজেরাই চাঁদা তুলে সাঁকো বানিয়েছি, না হলে গ্রামের মানুষ, বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী ও রোগীরা কষ্ট পেত।  এ বিষয়ে ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটিতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একাধিকবার মাটির কাজ করা। নতুন কোনো প্রকল্প পেলে ইট সোলিং করা হবে।  স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে স্থায়ী সমাধান না করলে ভবিষ্যতে এই সড়কে জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।  উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী হাসনাইন আহমেদ বলেন, ফরিদপুর ইউনিয়নের কাকরদা গ্রামের সড়কের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তানজিন তিশার আগামীর লক্ষ্য

তানজিন তিশার আগামীর লক্ষ্য

দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। অন ক্যামেরা, এভাবে সচরাচর কেউ বলে না। যেটা বলে দিলেন এই অভিনেত্রী। জায়েদ খানের সঙ্গে আলাপে আলাপে এই তারকা অভিনেত্রী জানালেন, তিনি মা হতে চান এবং সেটা ৫ বছরের মধ্যেই! যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলা গণমাধ্যম ঠিকানা এবার ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ নামের নতুন টক শো নিয়ে হাজির হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক হিসেবে থাকছেন জায়েদ খান। প্রতি শুক্রবার রাতের পর্দায় তিনি হাজির হবেন এক ভিন্নধর্মী পরিবেশনায়। শুক্রবার (৪ জুলাই) শুরু হয়েছে এই টক শোর প্রথম পর্ব। এই অনুষ্ঠানে জায়েদ খানের অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন তানজিন তিশা। কথোপকথনের একপর্যায়ে উপস্থাপক জায়েদ খান তিশার আগামীর লক্ষ্য জানতে চান। উত্তরে তিশা বলেন, তিনি মা হতে চান। টক শোতে জায়েদ খান তিশাকে প্রশ্ন করেন, পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চাও?

চুম্বক পুরুষের রেকর্ড

চুম্বক পুরুষের রেকর্ড

চামচ, পাথর, কাঠ থেকে শুরু করে গিটার সব তার শরীরে লেগে থাকে। তিনি তিনটি পৃথক ইভেন্টে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছেন। ইতোমধ্যে চুম্বক পুরুষ ইরানের আবুল ফজল মোখতারীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সম্প্রতি ধারণ করা এক ফুটেজে দেখা যায়, মোখতারীর মুখ এবং পেটের সঙ্গে কয়েক ডজন চামচ লেগে আছে। তিনি জানান, এই ক্ষমতা তার ছোটবেলা থেকেই। একজন ডাক্তার মোখতারীকে বলেছিলেন, মোখতারী আপনি আপনার শরীরের ইলেকট্রনগুলো সঞ্চালন করছেন। আপনি বস্তুগুলোকে ইলেকট্রন দিচ্ছেন, যে কারণে এই বস্তুগুলো আপনার শরীরে লেগে থাকে। মোখতারী আরও জানান, তার শরীর ঢেকে না রাখলে এই ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এ জন্য বস্তুগুলোকে নিজের সঙ্গে লেগে থাকতে তিনি পোশাক খুলে রাখেন। গিনেস বুকে রেকর্ডের তথ্য মতে, মোখতারী ২০২২ সালে সর্বপ্রথম ৮৫টি চামচ নিজের শরীরে লাগিয়ে গিনেস বুকে রেকর্ড গড়েন। এরপর ২০২৩ সালে ৮৮টি চামচ লাগিয়ে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙেন। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ইরানি এই নাগরিক তার শরীরে ৯৬টি চামচ সংযুক্ত করে তৃতীয়বারের মতো নিজের রেকর্ড ভাঙেন, যা গিনেস বুকে তৃতীয়বারের মতো স্থান করে নিয়েছে।-টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে

বিকাশ রকেট নগদের মাধ্যমে শুল্ককর জমা দেওয়া যাবে

বিকাশ রকেট নগদের মাধ্যমে শুল্ককর জমা দেওয়া যাবে

মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে শুল্ককর পরিশোধ করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানির শুল্ক-কর ‘এ চালান’ বা অটোমেটেড চালানের মাধ্যমে অনলাইনে সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড; এমএফএস যেমন রকেট, বিকাশ, নগদ, উপায়, এমক্যাশ, ট্রাস্টপে ইত্যাদি দিয়ে শুল্ক-কর পরিশোধ করা যাবে। আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিদের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ ব্যবস্থা চালু করেছে। এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। এনবিআর বলছে, এ চালান সরকারি রাজস্ব আহরণের একটি ওয়েবভিত্তিক সিস্টেম যার মাধ্যমে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি যে কেউ ঘরে বসে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, এমএফএস যেমন রকেট, বিকাশ, নগদ, উপায়, এম ক্যাশ, ট্রাস্টপে ইত্যাদিসহ ইন্টারনেট মাধ্যমে শুল্ক-কর জমা দিয়ে সিস্টেম জেনারেটেড রসিদ নম্বর দেখিয়ে বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে পারবেন। পাশাপাশি যে কোনো ব্যাংক থেকেও শুল্ক-কর পরিশোধ করে আমদানি পণ্য দ্রুততম সময়ে খালাস করতে পারবেন। গত এপ্রিল মাসে আইসিডি কমলাপুর কাস্টমস হাউসে প্রথম এ পদ্ধতিতে শুল্ক-কর আদায়ের পাইলটিং শুরু হয়।  পরে পানগাঁও কাস্টমস হাউসে তা চালু করা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে গত বৃহস্পতিবার এ ব্যবস্থা চালু হয়। আগামী সোমবার থেকে ঢাকা কাস্টম হাউসসহ সব কাস্টমস হাউসে এ ব্যবস্থা চালু হবে। এনবিআর আরও বলছে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় করদাতারা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে আরটিজিএস পদ্ধতিতে যে শুল্ক-কর জমা দেন, তা সরকারি কোষাগারে জমা হতে কয়েকদিন সময় লেগে যায়। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়। এখন থেকে দিন-রাত যে কোনো সময় যে কোনো স্থান থেকে ঘরে বসে অটোমেটেড চালানের মাধ্যমে অনলাইনে কাস্টমস শুল্ক জমা দিয়ে দ্রুততম সময়ে পণ্য খালাস করা যাবে।