
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে করা এক প্রস্তাবনায় ‘তৎক্ষণাৎ’ আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে হামাস। এ প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল এখন তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবছে।
শনিবার ইহুদি সাবাথের সূর্যাস্তের পর ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন যাচ্ছেন।
প্রায় ২১ মাসের গাজা যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছেন। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে সেখানে আরও ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সরকারের এক কর্মকর্তা “হামাসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া” বিষয়ে এএফপিকে বলেন, “এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।”
হামাসের প্রস্তাব ও শর্ত
শুক্রবার রাতে অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সঙ্গে পরামর্শের পর হামাস জানায়, “যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নে আমরা তৎক্ষণাৎ ও আন্তরিকভাবে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।”
আলোচনার ঘনিষ্ঠ দুটি ফিলিস্তিনি সূত্র জানায়, প্রস্তাবনায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হামাস ১০ জন জীবিত বন্দি ও কয়েকটি মৃতদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
তবে হামাস আরও কিছু শর্ত রেখেছে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার, আলোচনার সময়ে লড়াই পুনরায় শুরুর কোনো ঝুঁকি না থাকা এবং জাতিসংঘের নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়গুলোতে নিশ্চয়তা চেয়েছে তারা।
হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সমর্থন জানালেও শর্ত দিয়েছে যে, “ইসরায়েল যেন বন্দিদের মুক্তির পর পুনরায় আগ্রাসন শুরু না করে।”
এয়ারফোর্স ওয়ানে হামাসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “ভালো… আমাকে এ বিষয়ে এখনও ব্রিফ করা হয়নি। গাজার বিষয়ে কিছু একটা করতে হবে। এই যুদ্ধ শেষ করতেই হবে।”
উল্লেখ্য, গাজায় এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের মধ্য দিয়ে। এরপর ইসরায়েল ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে, যার লক্ষ্য ছিল হামাসকে ধ্বংস করা এবং ফিলিস্তিনি মিলিশিয়াদের হাতে আটক সব বন্দিকে উদ্ধার করা।
এর আগে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দফা যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। সেই সময় সাময়িকভাবে লড়াই বন্ধ ছিল এবং বন্দি বিনিময়ও হয়েছিল।
মিমিয়া