ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

স্যাপটিক ট্যাংকে লাশের পরিচয় সনাক্ত; গ্রেফতার ০১

প্রকাশিত: ১৩:৪০, ৬ জুলাই ২০২৫

স্যাপটিক ট্যাংকে লাশের পরিচয় সনাক্ত; গ্রেফতার ০১

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় স্যাপটিক ট্যাংকে লাশের পরিচয় সনাক্ত; গ্রেফতার ০১, আলামত উদ্ধার। গত ০৩/০৭/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় তারাকান্দা থানাধীন দাদরা গ্রামের ঢাকায় অবস্থানরত গেসু মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ীর সেপটিক ট্যাংকে অজ্ঞাত মহিলার গলিত মৃতদেহ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ, র্যা ব ও সিআইডির পাশাপাশি পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার একটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে।


ভিকটিমের পরিচয় সনাক্ত করে মাত্র এক দিনের মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্ধিগ্ধ আসামী রোহান মিয়া (২৫) পিতা-মোঃ আলাল মিয়া, মাতা-সেলিনা খাতুন, সাং-দাদরা, থানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার এবং ভিকটিমের মোবাইল করা হয়। পিবিআই মামলাটি স্বউদ্যোগে গ্রহণ করে। 

জানা যায়, ডিসিস্টের নাম সুফিয়া খাতুন (৩৪), পিতা-কেরামত আলী, সাং-পাতিলগাঁও, থানা-ফুলপুর জেলা-ময়মনসিংহ। সন্ধিগ্ধ আসামী রোহান গত ২৮/০৬/২০২৫ তারিখে তার বন্ধু আকিকুল এর কাছ থেকে ভিকটিম সুফিয়ার মোবাইল নম্বরটি নিয়ে প্রেমের অভিনয় করে।

 

 ২৯/০৬/২০২৫ তারিখে ভিকটিম সুফিয়া তার বাড়ীর পাশে বাজারে আসলে সন্ধিগ্ধ আসামী রোহান তার সাথে দেখা করে এবং ভিকটিম সুফিয়াকে নিয়ে রাত অনুমান ২১.০০ ঘটিকার দিকে তার এলাকায় আসে। সন্ধিগ্ধ আসামী রোহান ভিকটিম সুফিয়াকে গেসু মিয়ার নির্জন বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আসামি ভিকটিম সুফিয়াকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মৃতদেহটি সেপটিক ট্যাংকির ভিতরে ফেলে দেয়। 

 

সন্দিগ্ধ আসামী রোহান ডিসিস্ট সুফিয়ার সাথে থাকা ৩,৫০০/- টাকা ও টাচ মোবাইল ফোনটি নিয়ে চলে যায় এবং আত্মগোপন করে। সুচতুর আসামি সব কিছু স্বীকার করলেও বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে নাই। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।

আঁখি

×