ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

রাজনীতি
চব্বিশের রক্ত যেন বৃথা না যায়

চব্বিশের রক্ত যেন বৃথা না যায়

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের অধিকার, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিতে যে কোনো মূল্যে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে এই রক্ত স্রোত, মায়ের অশ্রু ধারা যেন বৃথা না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের পরিবারের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে গুলশানের বাসা থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

যেভাবে জুলাই ঘটনাবলি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছিলো একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ

যেভাবে জুলাই ঘটনাবলি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছিলো একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক দিলশানা পারুল নিজের ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে লিখেন, চার অগাস্টের রাতের বেলা পরের দিন গণভবন ঘেরাও এর ঘোষণা হয়ে গেছে। whatsapp যে গ্রুপগুলোতে আমরা কাজ করতাম একটা ভয়ংকর থমথমে পরিবেশ প্রত্যেকটা গ্রুপের মধ্যে। এরমধ্যে একটা গ্রুপ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেখানে জুলকারনাইন সায়ের, শাহেদ আলম, তাসনিম খলিল, জিয়া হাসান, ফাহাম ভাই এরা থেকে শুরু করে আসলে আমরা অনলাইনে পরিচিত মোটামুটি সবাই আছি। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে একটা চাপা আতঙ্ক পরের দিন আসলে লাশ কত পড়বে !! কারণ তখনও আমরা বুঝতে পারছি না সেনাবাহিনী পাঁচ তারিখে গুলি করবে কি করবে না। ওই গ্রুপে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ এক্স ক্যাডেট এবং প্রাক্তন সেনাবাহিনীর লোকজন ছিল। 

adbilive
adbilive
চব্বিশের স্বাধীনতা কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না

চব্বিশের স্বাধীনতা কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্ল্যাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, চব্বিশের স্বাধীনতা আর কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ‘জুলাই-আগস্ট’ গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্মরণে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যারা আজ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করতে সমর্থন ও সহযোগিতা করছে না, তারাই আবারও ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য পিআর পদ্ধতির কোনো বিকল্প নাই’। পিআর পদ্ধতিতে ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ থাকবে না বলেই কেউ কেউ পিআর পদ্ধতির নির্বাচনকে ভয় পায়। সেজন্য তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছে না। যারা নির্বাচনের আগেই সংসদে ২৮০ আসন পাবে দাবি করে নিজেরা একক সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়; তারাই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করবে। তারা মূলত হাসিনা মার্কা যেনতেন একটি নির্বাচন চায়।  আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে, বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে উল্লেখ করে ডা. তাহের বলেন, জনগণের প্রত্যাশিত সরকার গঠন না হলে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে। আবারও মানুষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হারাবে। রাষ্ট্র কর্তৃক জুলুমের শিকার হবে।  ডা. তাহের বলেন, চব্বিশের স্বাধীনতার মাধ্যমে মানুষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লাভ করেছে।  ১৯৪৭ সালে আমরা ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছি, এরপর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিগত ৫৪ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনি। বরং মানুষ শোষণের শিকার হয়েছে, বৈষম্যের শিকার হয়েছে, রাষ্ট্র কর্তৃক জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যার কারণে সবশেষ ২০২৪ সালে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জুলুমের হাত থেকে এই জাতি স্বাধীনতা লাভ করেছে। ২৪-এর স্বাধীনতা আর কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না।

চব্বিশের রক্ত যেন বৃথা না যায়

চব্বিশের রক্ত যেন বৃথা না যায়

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের অধিকার, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিতে যে কোনো মূল্যে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে এই রক্ত স্রোত, মায়ের অশ্রু ধারা যেন বৃথা না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের পরিবারের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে গুলশানের বাসা থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রোটিয়াদের বড় জয়ে বশের কীর্তি

প্রোটিয়াদের বড় জয়ে বশের কীর্তি

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে। বিশাল জয়ে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা। বুলাওয়েতে ৫৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ২০৮ রানে গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। ফলে প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানের জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। অভিষেকে ১৬০ বলে ১৫৩ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ১৯ বছর বয়সী ব্যাটিং সেনসেশন লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে এক কীর্তি গড়লেন কর্বিন বশ। ৩০ বছর বয়সী পেস বোলিং অলরাউন্ডার আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে করেন অপরাজিত সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ বলে ৩৬। বল হাতে প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে তার শিকার ৪৩ রানে ৫ উইকেট। এতে ২০০২ সালের অক্টোবরে পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশের বিপক্ষে জ্যাক ক্যালিসের পর, এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার কেউ একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ইনিংসে পাঁচ উইকেটের কীর্তি গড়লেন, সব মিলিয়ে এই তালিকায় দেশটির চতুর্থ ক্রিকেটার বশ।

গাজায় ক্যাফে, স্কুল ও ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরাইলি হামলা

গাজায় ক্যাফে, স্কুল ও ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরাইলি হামলা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখ-ের একটি ক্যাফে, স্কুল ও ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রসহ একাধিক স্থানে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে। গাজা শহর ও উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়, যার মধ্যে শুধু আল-বাকা নামে এক সমুদ্র তীরবর্তী ক্যাফেতেই নিহত হন ৩৯ জন। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এ হামলা চালানো হয়। খবর আলজাজিরার।  আল-বাকা নামে উত্তর গাজার ওই সমুদ্র তীরবর্তী ক্যাফেটিতে নারী ও শিশুসহ অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন একটি জন্মদিন উদ্যাপন করতে। সেখানে হওয়া হামলায় নিহতদের মধ্যে ইসমাইল আবু হাতাব নামে এক সাংবাদিকও রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সেখানে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। ইয়াহিয়া শরিফ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমরা ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। এই জায়গা কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

জুলাই অভ্যুত্থানের আবেগেই রেমিটেন্সে জোয়ার

জুলাই অভ্যুত্থানের আবেগেই রেমিটেন্সে জোয়ার

দেশ প্রেমিক প্রবাসীরা জুলাই অভ্যুত্থানকে সম্মান জানিয়ে তাদের স্মৃতি বুকে ধারণ করে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠায়। যে কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে শহীদ ও আহত ভাইদের উৎসর্গ করে প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে বলে মনে করেন কর্তৃপক্ষ।  বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো একক অর্থবছরে এত বেশি রেমিটেন্স দেশে আসেনি। সেই সঙ্গে এই প্রথম বাংলাদেশ রেমিটেন্স তথা প্রবাসী আয়ে ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলন অতিক্রম করেছে। এই রেকর্ড রেমিটেন্সে দেশের রিজার্ভ একটি সুসংহত অবস্থার দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জনকণ্ঠকে বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের ধারা অনেকটাই ইতিবাচক। ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৩০ হাজার ২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরে একই সময়ে এসেছে ২৩ হাজার ৯১২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।  তিনি বলেন, আপনারা জানেন যারা প্রবাসী তারা বেশিরভাগ বয়সে অনেক তরুণ। তারা দেখে যারা আমার চেয়ে কম বয়সী দেশের গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করেছে। এদের মধ্যে অনেকে পঙ্গু হয়েছে। অনেকে চোখ হারিয়েছেন তাদের আত্মত্যাগের কাছে আমরা কিছুই না। প্রবাসীরা অনেকেই কায়িক পরিশ্রমী। এর পরেও তারা এই ভেবে যে আমরা দেশে থাকলে হয়তো তাদের মতোই রাজপথে থেকে আন্দোলন করতাম। এই কাজ হয়তো আমাদের করতে হচ্ছে না। আমাদের তো আর গুলির ভয় নেই। জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ ভাইদের উৎসর্গ করে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে সঠিক ওয়েতে রেমিটেন্স পাঠিয়ে কিছুটা হলেও দায়িত্ব পালন করছে বলে মনে করেন তিনি।    বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, শুধু চলতি জুন মাসের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ২৮১৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় (২৫৩৯ মিলিয়ন ডলার) তা ১১ শতাংশ বেশি। গত ২৯ জুন একদিনেই দেশে এসেছে ১৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা প্রবাসীদের আস্থার প্রতিফলন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকদের মতে, বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা উদ্যোগ, হু-ি প্রতিরোধে কড়াকড়ি এবং প্রণোদনার বাস্তবায়ন রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রেমিটেন্স প্রবাহ শুধু প্রবাসী পরিবারের আয় বাড়ায় না বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখে। এদিকে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে। ডিজিটাল চ্যানেলে অর্থ পাঠানো সহজ হওয়ায় এখন অনেকেই হু-ি এড়িয়ে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল বেছে নিচ্ছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিপুল রেমিটেন্স এলেও এখনো বড় অঙ্ক অবৈধ পথে চলে যাচ্ছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে বৈদেশিক শ্রমবাজারে ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৫৫ জন কর্মী যুক্ত হয়েছেন। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে পাঠানো জনশক্তির অঙ্ক ছিল ১ কোটি ৬০ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৭ জন। এই বিপুল জনশক্তির অর্জিত আয় বৈধপথে দেশ আনতে পারলে বাৎসরিক রেমিটেন্সের অঙ্ক ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেত। রেমিটেন্স আয়ের দিক থেকে ২০২৪ সালে বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। গত বছর বাংলাদেশে সাড়ে ২৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। শীর্ষে ছিল ভারত। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের একটি ব্লগের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু। ভারত ২০২৪ সালে ১২৯ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে। যা যেকোনো দেশের এক বছরে পাওয়া সর্বোচ্চ রেমিটেন্স।  এ ছাড়া, গত বছর বৈশ্বিক রেমিটেন্সের মধ্যে ভারত একাই নিয়ে গেছে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এই অঙ্কও চলতি শতকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। গত বছর রেমিটেন্স অর্জনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল মেক্সিকো। প্রবাসীরা দেশটিতে ৬৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন। তৃতীয় স্থানে থাকা চীনা প্রবাসীরা নিজ দেশে পাঠিয়েছেন ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। চতুর্থ স্থানে ফিলিপাইন। প্রবাসীরা দেশটিতে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন। পঞ্চম স্থানে ফ্রান্স। দেশটির প্রবাসীরা গত বছর মোট ৩৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। তালিকার ষষ্ঠ স্থানে আছে পাকিস্তান।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১ লাখ কোটি টাকার রেকর্ড রাজস্ব ঘাটতি

লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১ লাখ কোটি টাকার রেকর্ড রাজস্ব ঘাটতি

সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এ অর্থবছরে ৪.৬৩ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা। অর্থবছরের শুরুতে মূল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪.৮০ লাখ কোটি টাকা। এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে ধীরগতি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন কমে যাওয়া এবং অর্থবছর শেষে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন ও কর্মবিরতি কর্মসূচির কারণে এই ঘাটতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বড় অঙ্কের এই রাজস্ব ঘাটতির অন্যতম কারণ হলো মাত্রাতিরিক্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। তবে তারা এ-ও বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের কারণে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও তা এতটা কমে যাওয়ার কথা ছিল না। এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, তারা এখনো পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাননি। আমরা আশা করছি, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ৩.৭০ লাখ কোটি টাকা হবে। কিন্তু ৩.৮০ লাখ কোটি টাকা আদায় হওয়ার কথা ছিল।  তবে ৩.৭০ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় ধরলেও প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ঘাটতি দাঁড়ায় প্রায় ১.১০ লাখ কোটি টাকা। আর কমিয়ে আনা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এ ঘাটতি প্রায় ৯৪ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমত্রার তুলনায় বড় ব্যবধান হলেও গত অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।