
প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, হাসনাতকে চাপ দিয়েই জিজ্ঞাসা করলাম, ৩ তারিখ নিউইয়র্ক সময় ভোর ৩টার দিকে। বাংলাদেশ সময় তখন দুপুর দেড়টা। ও তখন শহীদ মিনারে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে! হাসনাত, সব তো শেষ হয়ে যাচ্ছে। এক দফার ঘোষণা দিচ্ছ না কেন? এখন না দিলে আর কবে?
ভাই, জিতে ফিরবো, বা জিতে ফিরবো! বিকল্প কোন রাস্তা নেই! ১০০ ভাগ আস্থা আছে তোমাদের উপর।
সন্ধ্যায় ঘোষণা এল ১ দফার। এর আগে ১ আগস্ট সম্ভবত যেদিন ৯ দফা ঘোষণা এল, আমি ভিডিওতে আলোচনা করলাম, ১ দফা কই! ছাত্র হত্যা করলো যে বা যারা, তাদের কাছেই কেন চাইতে হবে ছাত্র হত্যার বিচার! ১ দফার ঘোষনা- জুলাই এর সবচেয়ে বড় কলিজার ঘোষণা ছিল। পরের টা ছিল- পরশু নয়, কালই লং মার্চ! সত্য জানুক মানুষ। জুলাই এমনি এমনি আসেনি! এমনি এমনি যাবেও না। আমরা আমাদের ভোটাধিকার/গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা/বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার ১৭ বছরের সংগ্রামের শেষ অর্জন ৩৬ জুলাইয়ের জন্য ভর করেছিলাম হাসনাত-নাহিদদের উপর।
ওরা যখন ডিবি অফিসে আন্দোলনের ইস্তফা দিল, আমরা জানতাম, ওরা মুক্ত হলেও, আমাদের মুক্তি নেই। আমাদের পরিবার/ পরিজন সবাই হত্যাজঙ্গের শিকার হবে আজ অথবা কাল! আমরা তখন, ডিবি অফিসে দেয়া বক্তব্যের ছবিতে, সার্জিসের আঙুল বাকা করা ও পা আগে পিছে করার ছবির গল্প লিখলাম, এই যে ওরা ইশারায় বার্তা দিচ্ছে ‘তাদেরকে অস্ত্রের মুখে আন্দোলন প্রত্যাহার করানো হয়েছে'। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাড থেকে সাক্ষরবিহীন বিবৃতি প্রচার করতে থাকি যে ‘আন্দোলনের ইতি টানছি না, অস্ত্রের মুখে আন্দোলন থামানো মানি না’ - বলে। ঢাবির বিভিন্ন বিভাগ থেকেও অনুরুপ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাসনিম খলিল ও সায়ের এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় ছিল বলে আমার বিশ্বাস। এর মধ্যে তাসনিম খলিলের সহায়তায় মাসুদ-মাহিন-রিফাতের সেই ত্রয়ী হাত উঁচু করার ছবি এলো।
সমন্বয়কদের মধ্যে ডিবি অফিসের বাইরে লুকায়িত গেড়িলার ঢঙে। ওরাও বললো, আন্দোলন থামবে না। লড়াই চলবে! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্যোগ তারা নিয়েছিল বলে এখনো বিশ্বাস করি! বাইরে তখন, বিএনপি- জামাত- ইসলামী দল ও বাম দলগুলোর পুর্নরাজনৈতিক শক্তি একাকার! গণ অধিকার পরিষদের রাশেদ- ফারুকরা বিএনপির সাথে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রেখে চলছে, বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে মাঠের শক্তিগুলোকে। ব্যাস। আমাদের আর রুখে কে! জুলাইয়ের কত অজানা ইতিহাস! অজানা কথা! কার অবদান, কোথায় কে অস্বীকার করে! দুঃখিত। আমি সাধারণত ইনবক্স স্ক্রিনশট প্রকাশ করি না। এথিকস এর দায়বদ্ধতা থেকেই। তবে, জুলাইয়ের কারনে করলাম। হাসনাত, ক্ষমা করে দিস ভাই!
রিফাত