ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

Sopno
Sopno
এপিআই শিল্পে গতি আনতে টাস্কফোর্স চান উদ্যোক্তারা

এপিআই শিল্পে গতি আনতে টাস্কফোর্স চান উদ্যোক্তারা

অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্পের বিকাশ এবং স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানিয়েছেন এই খাতের শিল্প উদ্যোক্তারা। তাদের মতে, পার্শ¦বর্তী দেশগুলোর মতো নীতিগত ও আর্থিক সহায়তা পাওয়া গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। শনিবার রাজধানীর কাওরানবাজারে একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের এপিআই খাতকে এগিয়ে নেওয়া : সরকারের সমর্থন ও স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন সংশ্লিষ্টরা। এর আয়োজন করে অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ এপিআই অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএআইএমএ)। আলোচনায় বিএআইএমএ সভাপতি এসএম সাইফুর রহমান ওষুধের কাঁচামাল শিল্পের সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ১০ থেকে ১৫টি কোম্পানি প্রায় ৭০ ধরনের ওষুধের  কাঁচামাল তৈরি করে। অথচ প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সংখ্যা প্রায় এক হাজার, যা এখনো আমদানিনির্ভর। সরকারের নীতি সহায়তা ও আর্থিক প্রণোদনা পেলে এসব কাঁচামালের অধিকাংশই দেশেই উৎপাদন সম্ভব। এমনকি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলারের কাঁচামাল রপ্তানি সম্ভব। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন জরুরি। জুট শিল্পের মতো এ শিল্পেও একটি টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। সাইফুর রহমান জানান,  প্রতিবছর ভারত এপিআই শিল্পে উদ্যোক্তাদের প্রায় ২১ হাজার ৯৪০ কোটি রুপি সহায়তা দেয়। চীন সরকার নিজ অর্থায়নে এ খাত গড়ে তুলছে। আমাদের দেশেও একই রকম নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন। জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও এপিআই শিল্পের বিকাশ অত্যন্ত জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। তিনি জানান, ২০১৮ সালে এ খাত থেকে ১৮ মিলিয়ন ডলারের মতো রপ্তানি হয়েছিল। তবে কোভিড-১৯ এবং নানা জটিলতায় রপ্তানি কমে গেছে। ভারত যদি ৩০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারে, আমরা চাইলে সহজেই ২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারি। এ জন্য আগামী পাঁচ বছর অব্যাহত সহায়তা প্রয়োজন।  এনবিআরের মাধ্যমে রপ্তানিকারকদের ভ্যাট ও ট্যাক্স রিফান্ড নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া পোশাক খাতের মতো ‘লো কস্ট রিফাইন্যান্স’ সুবিধা দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। বিএআইএমএর কার্যনির্বাহী সদস্য ও গণস্বাস্থ্য ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম জামালউদ্দীন বলেন, সরকারের সহযোগিতায়, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং দক্ষ জনবলের ঘাটতির কারণে এখনো দেশে শক্তিশালী এপিআই শিল্প গড়ে ওঠেনি। ফলে প্রতিবছর দেড় থেকে দুই বিলিয়ন ডলারের এপিআই পণ্য আমদানি করতে হয়। এর ৫০ শতাংশ দেশেই উৎপাদন সম্ভব, যদি সরকার আন্তরিক হয়। এ খাতকে পণ্যের আমদানিতে কর বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান তিনি। বিএআইএমএর সদস্য ও সোডিক্যাল কেমিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ নিজামউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা যদি এ খাতকে বড় করতে পারি, তাহলে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা অনেক শিক্ষার্থী এ খাতে যুক্ত হতে পারবে। বাংলাদশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, এই খাতের সম্ভাবনা ব্যাপক। নীতিগত সহায়তা পেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগে এই খাতে বিনিয়োগ করেছে। যদি দেশের চাহিদার ৫০ শতাংশ কাঁচামাল দেশেই উৎপাদন করা যায়, তাহলে ওষুধ শিল্পের আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

adbilive
adbilive
ইউরোর সেমিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন

ইউরোর সেমিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন

নারীদের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে স্পেন। দুইটি পেনাল্টি মিস করেও সুইজারল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ের মাধ্যমে ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো শেষ চারে উঠল স্পেন নারী দল। শনিবার সুইজারল্যান্ডের বার্নে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে নামে স্পেন। বল দখল, পাসিং এবং আক্রমণে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি তারা। তবে রক্ষণে সুইসরা ছিল যথেষ্ট শক্ত প্রতিরোধে। ম্যাচের ৯ মিনিটেই স্পেন পায় প্রথম বড় সুযোগ, কিন্ত পেনাল্টি পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। মারিওনা কালদেনতে স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। তার নেওয়া শট সুইস গোলরক্ষক দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন। এরপর একের পর এক আক্রমণ চালিয়েও প্রথমার্ধে গোলশূন্য অবস্থায় মাঠ ছাড়তে হয় স্পেনকে। বিরতির পরই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। নিজেদের ছন্দে ফেরে স্প্যানিশরা, আর সুইজারল্যান্ড তখন প্রতিরোধ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। ম্যাচের ৬৬ তম মিনিটে অ্যাথেনা দেল কাসতিল্লো স্পেনের হয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তার নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জাল কাঁপিয়ে ম্যাচে স্পেনকে এগিয়ে নেন। গোলের মাত্র পাঁচ মিনিট পর, অর্থাৎ ৭১ মিনিটে ক্লাউদিয়া পিনা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এই গোলটি ছিল দারুণ কৌশলগত, যা সুইস রক্ষণের ঘাটতি পুরোপুরি উন্মোচিত করে দেয়। ম্যাচের শেষদিকে, ৮৮ মিনিটে স্পেন দ্বিতীয়বারের মতো পেনাল্টি পায়। এবার কিক নিতে এগিয়ে আসেন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস। কিন্তু সেও গোল করতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়বার পেনাল্টি মিস করলেও জয় নিশ্চিত থাকায় চাপ ছিল না স্পেনের ওপর। এই জয় নারীদের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্বে স্পেনের ইতিহাসে প্রথম জয়। এর আগে ২০১৩, ২০১৭ ও ২০২২ সালের আসরে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও কখনই সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি। ১৯৯৭ সালে তারা সরাসরি সেমিফাইনালে খেলেছিল, কিন্তু সেবার পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল।

ব্রহ্মপুত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করল চীন

ব্রহ্মপুত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করল চীন

বাংলাদেশ-ভারতের উদ্বেগ সত্ত্বেও যেখানে ইয়ারলুং সভ্যতা প্রথম তিব্বতীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল, হিমালয়ের পাদদেশের সেই স্থানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করেছে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন। শনিবার তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ইয়ারলুং জাংবো নদীতে ৬০ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।   ইয়ারলুং জাংবো নদীটি ভারত ও বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র নদ নামে পরিচিত; দুই দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা এই নদের ওপর নির্ভরশীল। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তিব্বত ও ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ইয়ারলুং জাংবো নদীতে মেগা-বাঁধের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছে চীন। মেগা-বাঁধের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং উপস্থিত ছিলেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে ইয়ারলুং জাংবো নদীতে ওই জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানায় চীন। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে তিব্বতের ইয়ারলুং জাংবো নদীতে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয় বেজিং। ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে তিব্বতে এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের গতি দ্বিগুণ করেছে বেজিং। যদিও পরিবেশবাদী এবং তিব্বতের মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইয়ারলুং জাংবো নদীর উৎসমুখে এই বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে।  তিব্বতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় নিংচি এলাকায় এই বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিব্বতের স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্যান্য অঞ্চলেও সরবরাহ করা হবে। ইয়ারলুং জাংবো নদীতে এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হলে তা চীনের মধ্যাঞ্চলের ইয়াংসি নদীতে নির্মিত রেকর্ড গড়া ‘থ্রি গর্জেস বাঁধকেও’ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের ভাটি অঞ্চলের প্রবাহে কোটি কোটি মানুষের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে। চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, এই প্রকল্পে পাঁচটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার মোট ব্যয় প্রায় ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (১৬৭.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) হতে পারে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারত বলেছিল, তিব্বতের এই প্রকল্প নিয়ে চীনের কাছে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত বলেছে, তারা তিব্বতে চীনা বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে এবং নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।  ওই সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, উজানে কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের নি¤œপ্রবাহের দেশগুলোর স্বার্থ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা চীনকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পরে ডিসেম্বরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই প্রকল্পের কারণে নি¤œপ্রবাহে কোনো ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়বে না এবং চীন নদীর নি¤œপ্রবাহের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে। নি¤œপ্রবাহের দেশগুলোর উদ্বেগের পাশাপাশি পরিবেশবিদরাও চীনের এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। পরিবেশবিদরা বলেছেন, এমন মেগা প্রকল্প পরিবেশগত দিক থেকে সংবেদনশীল তিব্বত মালভূমিতে অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে। থ্রি জর্জ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় চীন ১৪ লাখের বেশি মানুষকে জোরপূর্বক স্থানান্তরিত করেছিল। ইয়াংসি  নদীর তীরবর্তী এলাকার চেয়ে ইয়ারলুং জাংবো নদী এলাকা কম ঘনবসতিপূর্ণ। এর আগে, চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়ারলুং জাংবো বাঁধ তিব্বতের মিডগ কাউন্টিতে নির্মাণ করা হবে; যে শহরের জনসংখ্যা ১৪ হাজার। এই বাঁধ নির্মাণে কতসংখ্যক মানুষ স্থানান্তরিত হতে পারে; সে বিষয়ে কোনো জবাব দেয়নি বাঁধটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়না। ২৫ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনের তিব্বত মালভূমি প্রাকৃতিক সম্পদের এক আধার এবং বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। হিমবাহ গলে এবং পাহাড়ের ঝর্ণা বয়ে নেমে আসা মিঠাপানির প্রবাহ ভারত, চীন ও ভুটানের প্রায় ১৮০ কোটি মানুষকে পানীয় জলের জোগান দেয় ইয়ারলুং জাংবো বা ব্রহ্মপুত্র।

পরিবেশবান্ধব লিড সনদ পেল আরও ৩ পোশাক কারখানা

পরিবেশবান্ধব লিড সনদ পেল আরও ৩ পোশাক কারখানা

পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে বাংলাদেশের আরও তিনটি পোশাক কারখানা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন’ (লিড) সনদ পেয়েছে। পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে এই পরিবেশবান্ধব কারখানার সনদ অর্জন করেছে কারখানা তিনটি।  সনদ পাওয়ার সাতটি শর্ত পরিপালনে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’ ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল থেকে নতুনভাবে সনদপ্রাপ্ত এ কারখানাগুলোর সংযোজনের ফলে এখন পর্যন্ত দেশের মোট লিড সনদপ্রাপ্ত তৈরি পোশাক কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ২৫৩টিতে। এরমধ্যে ১০৫টি প্লাটিনাম, ১৩২টি গোল্ড, ১২টি সিলভার ও চারটি লিড সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে। নতুনভাবে যুক্ত হওয়া তিনটি কারখানার মধ্যে কমফিট রেইনবো ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং লিড গোল্ড সার্টিফিকেশন পেয়েছে, যেখানে তারা অর্জন করেছে ৭৫ পয়েন্ট।  সাইহাম কটন মিলস লিমিটেডের ইউনিট ১ ও ইউনিট ২ দুই ইউনিটই লিড সিলভার সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। প্রত্যেকটি ইউনিট ৫৮ পয়েন্ট করে পেয়েছে। এখন বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ রেটপ্রাপ্ত ১০টি লিড কারখানার মধ্যে ৯টি এবং ১০০টির মধ্যে ৬৮টিই বাংলাদেশে অবস্থিত যা দেশের সবুজ কারখানার অগ্রযাত্রাকে আরও শক্ত ভিত্তি দেয়।