ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

Sopno
Sopno
adbilive
adbilive
শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরি চলাচল বন্ধ 

শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরি চলাচল বন্ধ 

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রæপের দ্ব›েদ্বর জেরে শুক্রবার সকাল থেকে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে নরসিংহপুর ফেরিঘাটে শরীয়তপুর অংশে আঞ্চলিক মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। ঘাটে ফেরি বন্ধ থাকায় পারাপারের অপেক্ষায় পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ঘাট ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন।  স্থানীয় ও ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটের নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ইজারা নিয়ে জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোমিন দিদার ও সখিপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইউসুফ জিসান বালার বিরোধ চলে আসছিল। একটি পক্ষের ঘাটের ইজারা উঠানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এতে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ঘাটে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় ট্রাক, বাস ও ব্যক্তিগত দেড় দুই শতাধিক গাড়ি আটকা পড়েছে। মাইদুল ইউসুফ জিসান বালা বলেন, সরকার এক বছরের জন্য আমাকে ঘাট ইজারা দিয়েছে। কিন্ত সাবেক ইজারাদার মোমিন দিদার ইজারার জন্য আপিল করেছেন।  তিনি নাকি উচ্চ আদালত থেকে ইজারার পক্ষে রায় পেয়েছেন। তবে আদালত থেকে আমি কোনো কাগজ হাতে পাইনি। মোমিন দিদার বলেন, বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত থেকে আমি ইজারাদার হিসেবে রায় পেয়েছি। আমার লোকজন ফেরিঘাটে কাজ করছে। কিন্ত জিসান বালা বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করছেন। এই রুটের গাড়িগুলো উল্টো পথে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। পরিবহনচালক ইমন, কাশেম, নাসির, আকরাম হোসেন বলেন, আমরা ভোর থেকে আটকা পড়ে আছি। আমরা ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষায় আছি। দুই কিলোমিটার পর্যন্ত যানযট রয়েছে। আমরা ভোগান্তিতে আছি। এর সমাধান চাই। নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন বলেন, ইজারা ওঠানোকে কেন্দ্র করে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়ে যাত্রী ও চালকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছি। সখিপুর থানার ওসি ওবায়দুল হক বলেন, ঘাটে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক আছে। বিকেল ৩টায় ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিবদমান উভয় গ্রæপের লোকজন নিয়ে বসবেন। তারপর সিদ্ধান্ত আসবে। 

নারায়ণগঞ্জকে আমরা কোনো  পরিবারের কাছে বর্গা  দিতে চাই না

নারায়ণগঞ্জকে আমরা কোনো  পরিবারের কাছে বর্গা  দিতে চাই না

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জকে আমরা আর কোনো পরিবারের কাছে বর্গা দিতে চাই না। কোনো গডফাদারের কাছেও দিতে চাই না। নারায়ণগঞ্জে যে সন্ত্রাসের অভয়রাণ্য তৈরি করা হয়েছিল আমরা সেই সন্ত্রাসের অভয়রাণ্যকে ভেঙে ফেলব। জাতীয় নাগরিক পার্টির যারা নেত্রী রয়েছেন তাদের বাসায় গিয়ে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। আমরা কোনো হুমকিতে ভয় পাই না। শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মাসব্যাপী দেশ গড়তে, জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পথসভায় যোগ দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। শহরের নিতাইগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে পদযাত্রাটি বি বি রোড হয়ে চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে পথসভায় অংশ নেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীর উদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক সামান্তা শারমিন ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু ওনারায়নগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের তত্ত¡বধায়ক মোহাম্মদ শওকত আলীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।  নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পরিবর্তনের কথা বলেছিলাম। এই রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার একটা চরম উদাহরণ- এই নারায়ণগঞ্জ শহর, যেখানে পরিবারতন্ত্র, মাফিয়াতন্ত্র, গডফাদারতন্ত্র সব মিলেমিশে একাকার। এই একই সিস্টেমে পুরা বাংলাদেশ এত বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। নারায়ণগঞ্জকে কিছু পরিবার বছরের পর বছর নিয়ন্ত্রণ করেছে। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা, অর্থনীতি ও রাজনীতি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তারা দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস কায়েম করেছে এবং জনগণের অধিকার হরণ করেছে। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের কলেজরোড এলাকায় জুলাই পদযাত্রার তোরণে আগুন দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন নাহিদ। এনসিপির পদযাত্রা বন্ধ করতে জন আতঙ্ক তৈরি করতে রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী এ কাÐ ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণঅভুত্থানের পর নারায়ণগঞ্জে কতগুলো খুন হয়েছে আমরা জানি। কেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নারায়ণগঞ্জে ঠিক হচ্ছে না, সেই জবাব চাই।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মাফিয়াতন্ত্র, দখলদারিত্ব, গডফাদারতন্ত্র পুনর্বাসিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ব্যবসাগুলো পুনর্বাসিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে। জুলাইয়ের শহীদ পরিবারগুলোর বাসায় গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মামলা করা পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি করা হয়েছিল, আমরা এই অভয়ারণ্য ভেঙে ফেলব। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জকে পরিবারতন্ত্র, মাফিয়াতন্ত্র, গডফাদারতন্ত্র থেকে মুক্ত করে জনতার নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলতে হবে। আমরা দেখেছি, গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জ কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। নারায়ণগঞ্জ থেকে যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া পর্যন্ত কোনো ফ্যাসিস্ট ঢুকতে পারেনি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে প্রতিরোধ তৈরি করেছিল এবং ঢাকাবাসীকে রক্ষা করেছিল। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ আর ওদিকে সাভার-আশুলিয়া, প্রতিরোধ তৈরি হয়েছিল বলেই ঢাকার জনগণ রাজপথে নেমে আসতে পেরেছিল। গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসে নারায়ণগঞ্জের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এ জেলায় ৫৬ জন শহীদ হয়েছেন। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি। গত বছর ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির স্মৃতিচারণ করেন তিনি বলেন,  নারায়ণগঞ্জ কেবল বন্দরের জন্য নয়, পাটশিল্প ও শ্রমিকদের এই নারায়ণগঞ্জ বিখ্যাত ছিল। কিন্তু সে শ্রমিকদের জন্য ভালো পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারিনি। গণঅভ্যুত্থানের পরে  ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের প্রটেক্ট করতে হবে এবং মাফিয়াতন্ত্রকে বিচারের আওতায় আনার কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমরা উল্টো ঘটনা ঘটতে দেখছি। মাফিয়া ব্যবসায়ীদের প্রটেক্ট করা হচ্ছে আর ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের তাড়নায় ব্যবসা করতে পারছে না। এনপিসির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আমরা এখানে সেই মানুষরাই এসেছি যারা জুলাইয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কোনো সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা করে লাভ হবে না। ভারতীয় সকল এজেন্ট আমাদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এরা ভারতীয় দল। কেয়ামত পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আর কোনো রাজনীতি করার সুযোগ নেই। নীতিগতভাবে আমরা দেশ পরিচালনা করতে যে কার্যক্রম শুরু করেছি তা বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জায়গাতেও আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টদের জায়গা হবে না। দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের স্বপ্ন পূরণ হবে আমাদের মৃত্যুর পর। হাসিনার সময় যারা পয়সার জন্য নিজের মগজ বিক্রি করে দিয়েছিল তারা জ্ঞান পাপী। আমরা শুরু করেছি আপনাদের শেষ করতে হবে।     মুন্সীগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, শুক্রবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের সুপার মার্কেটে এনসিপির পথসভায় বক্তব্য দানকালে নাগরিক পার্টির (এনসিপির) আহŸায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সামনে আরেকটি লড়াই আছে। কর্মীদের সতর্ক থাকার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লড়াইয়ে মুন্সীগঞ্জবাসীকে পাশে চাই। গোপালগঞ্জে হামলা হয়েছে। কিন্তু আরও ১০ জায়গায় হামলা হলেও আমাদের দমন করা যাবে না। এসময় মুন্সীগঞ্জের নদীভাঙন, অবৈধ বালু দখলসহ নানা অনিয়ম বন্ধে কাজ করার আশ্বাস দেন এই নেতা। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ ও মুজিববাদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ফ্যাসিবাদ ও মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।  সভায় সারজিস বলেন, ফ্যাসিবাদ নির্মূল না হলে দেশ স্বাধীন হবে না। শুধু গোপালগঞ্জে নয়, যেখানেই ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসীরা থাকবে সেখানেই ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে প্রতিরোধ করতে হবে। দেশের বাইরে থেকে যারা হত্যার পরিকল্পনা করছে তাদের আইনের আওতায় আনার আহŸান জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, হাসিনার বিচার করতে হবে। তার মৃত্যুদÐ দেখে মরতে চাই। দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন নেতা নির্ভর নয়, নীতি নির্ভর রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী মাসের ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব।

বাংলাদেশে স্টারলিংকের  আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

বাংলাদেশে স্টারলিংকের  আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’। শুক্রবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্টারলিংকের কার্যক্রমের সূচনা ঘোষণা করেন স্টারলিংক ও স্পেসএক্সের গেøাবাল অপারেশন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার। তিনি বলেন স্টারলিংককে শুধু একটি ইন্টারনেট সেবা নয়, বরং ‘নির্ভরযোগ্য এবং স্পর্শকাতর লাইফ লাইন’। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। ড্রেয়ার সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যৌথ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন। ড্রেয়ার বাংলাদেশের সরকারের দ্রæততা ও দৃঢ়তার প্রশংসা করে বলেন, প্রাথমিক আলোচনার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই স্টারলিংক সেবার বাস্তবায়ন শুরু হয়। ২০২৫ সালের মে মাসে অনুমোদন চূড়ান্ত হয় এবং এর পর পরই প্রথম বাংলাদেশি গ্রাহকরা সংযুক্ত হন।

ই-কমার্সে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে ফুলফিলমেন্ট সেন্টার

ই-কমার্সে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে ফুলফিলমেন্ট সেন্টার

দেশের ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স খাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন এক যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। এবার তারা নিয়ে এসেছে ‘ফুলফিলমেন্ট সেন্টার’ নামে একটি স্মার্ট, বাস্তবমুখী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক মডেল। এর মাধ্যমে ডাক বিভাগের অবকাঠামো ব্যবহার করে ই-কমার্সের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা পণ্য সংরক্ষণ ও প্যাকেজিংসহ আরও দ্রুততম সময়ে গ্রাহকের কাছে মালামাল পৌঁছাতে পারবেন। এই ব্যবস্থা সম্পর্কে ডাক বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) মো. হারুন-অর-রশিদ জনকণ্ঠকে বলেন, ‘এফ-কমার্সের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো-লজিস্টিকস ও স্টোরেজ সাপোর্ট। বেশিরভাগ উদ্যোক্তার নিজস্ব গুদাম বা কুরিয়ার ব্যবস্থাপনা নেই। ফলে অর্ডার পেলেও সময়মতো ডেলিভারি দিতে পারেন না। ফুলফিলমেন্ট সেন্টার এই সমস্যার একটি সরকারি সমাধান। এতে করে শহর বা গ্রামে অনেক নারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা ঘরে বসে জামা-কাপড়, খাবার, কসমেটিকস বানান, কিন্তু লজিস্টিক ও ডেলিভারি সমস্যায় আটকে যান, তাদের পণ্য নিরাপদ ও কম খরচে ডেলিভারি করতে পারবেন। এতে গ্রাহকরা যেমন দ্রুত সেবা পাবে, অন্যদিকে ডাক বিভাগের রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।’ জানা গেছে, দেশব্যাপী স্থাপিত ১৪টি মেইল প্রসেসিং সেন্টার (এমপিসি)- ঢাকার তেজগাঁও, ঈশ্বরদী, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, দিনাজপুর, হবিগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও যশোরের কেন্দ্রেই প্রথম পর্যায়ে ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের সেবা চালু হচ্ছে। এসব কেন্দ্রে ইতোমধ্যে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি, সফটওয়্যার, চিলার চেম্বার এবং থার্মাল আইস বক্স স্থাপন করা হয়েছে, যা ই-কমার্সের পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য আদর্শ।  নতুন এ মডেলে উদ্যোক্তারা পণ্য স্টোর করে রাখতে পারবেন, যা গ্রাহকের অর্ডার অনুযায়ী কাছাকাছি এমপিসি থেকে দ্রুত সরবরাহ করা হবে।  ফলে সময় ও খরচ কমবে এবং ডেলিভারির মানও উন্নত হবে। এই সেন্টারগুলোতে চিলার চেম্বার থাকায় মাছ, মাংস, ফলমূল, শাকসবজি, দুধ, ওষুধ এবং ফুলজাতীয় পণ্য সংরক্ষণ করাও সম্ভব হবে। ডাক বিভাগের কাছে থাকা থার্মাল আইস বক্স ব্যবহার করে এসব পণ্য ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত তাজা রাখা যায়, যা দেশের যে কোনো প্রান্তে দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করবে। এই মডেলটি শহর ও গ্রাম উভয় জায়গার উদ্যোক্তাদের জন্য সমানভাবে সহায়ক হবে।  সম্ভাবনার নতুন দুয়ার ॥ ডাক বিভাগ ফুলফিলমেন্ট সেন্টার কার্যক্রম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ার মডেলে পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর ফলে সরকারি পরিকাঠামো বেসরকারি উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশীয় ব্যবসার প্রসারে কাজ করবে। ইতোমধ্যে টেলিটকের সঙ্গে একটি মডেল প্রজেক্ট সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। দেশের হাজারো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার পণ্য যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও দ্রুত ডেলিভারি হয়, তবে বাংলাদেশে ই-কমার্স খাত আর পেছনে ফিরে তাকাবে না- এমনটাই প্রত্যাশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এডিজি মো. হারুন-অর-রশিদ এই বিষয়ে বলেন, ডাক বিভাগ তার অবকাঠামোকে শুধু চিঠিপত্র নয়, বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনের জন্যও প্রস্তুত করেছে। আমরা চাই, দেশের ই-কমার্স ও স্থানীয় উদ্যোক্তারা আমাদের ফুলফিলমেন্ট সেন্টার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের ব্যবসার পরিসর বাড়াক।  তিনি আর বলেন, ‘আমাদের এখন লক্ষ্য হলো পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে ৬৪ জেলায় এই সেন্টার চালু করা।  এছাড়া ডাক বিভাগ এখন বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ারিং মডেলে কাজ করছে, যাতে সরকার ও উদ্যোক্তা উভয়ই লাভবান হয়।’

ডলারের দাম ১২০ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে থাকবে

ডলারের দাম ১২০ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে থাকবে

আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ডলারের দাম আপাতত ১২০ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে থাকবে। দাম বাজারভিত্তিক করার পর প্রায় দুই মাস ধরে দেশের মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের সংকট অনেকটা কমে এসেছে। মার্কিন মুদ্রাটির দাম নিয়ে যে অস্থিরতা ছিল, সেটিও অনেকটা কেটে গেছে। প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলারের সরবরাহ বেশ বেড়েছে। ফলে মুদ্রাটির দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনে এটির দাম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত দুই দিনে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি ৪৮ কোটি ডলার কিনেছে।