
আজ ১৮ জুলাই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিরোধ দিবস। ২৪ এর গণবিপ্লবের আজকের দিনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলো। আন্দোলনকে দিয়েছিলো নতুন মাত্রা।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে আমাদের সাধারণ মানুষের কিছু সাধারণ ধারণা রয়েছে, যেমন এরা বড়লোকের অতি আদরের সন্তান, দেশের প্রতি এদের তেমন ভালোবাসা নেই, দেশ নিয়ে এরা চিন্তা করে না, সারাক্ষণ মোবাইল, কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত থাকে এরা, সাধারণ মানুষের কথা এরা ভাবে না। দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নেই বা কম। আবার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা রয়েছে, এরা সংকটকালে, আন্দোলন সংগ্রামে দেশের তরে জীবনবাজি রাখতে কাপর্ণ্যবোধ করে না।
কিন্তু ২৪ এর বিপ্লবে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রস্তুত দেশের কল্যাণে-প্রয়োজনে জীবন দিতে। ’২৪ এর জুলাই বিপ্লব তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণের এমন ধারণা অনেকটা পাল্টে দিয়েছেন তারা। দুর্বার সাহস, অদম্য মনোবাল নিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে তারাও পিছিয়ে নেই!
১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারি চাকুরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে যে ছাত্র আন্দোলন যা বর্তমানে ‘জুলাই বিপ্লব’ নামে পরিচিত শুরু হয়ে মূলত তীব্র আকার ধারণ করে ১৫ জুলাইয়ের পর। ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ শাহাদত বরণ করে। সেদিন আবু সাঈদ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় আরও ৫ জন মানুষ নিহত হবার প্রেক্ষিতে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়লে তা দমনে কঠোর হয় সরকার। ঘটনা পরম্পরায় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে তীব্র ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যান।
কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতনের দাবিতে রূপ নেয়া এ আন্দোলন এগিয়ে নিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল বন্ধের পর কার্যত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই আন্দোলনকে টিকিয়ে রেখেছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির তথ্যানুযায়ী সারাদেশে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে মোট ১,৫৮১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আন্দোলনে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৮৭ জনের অঙ্গহানি হয়েছে, আংশিক বা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ৬৮৫ জন। এই আন্দোলনে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষার্থী নিহত এবং ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
৫ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করে রায় প্রকাশ করলে আন্দোলন শুরু করেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ১৫ জুলাই বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনার পর এ আন্দোলন আরো বড় আকার ধারণ করে। ১৭ জুলাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বাধ্য করা হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আন্দোলন অনেকটা স্তিমিত হয়ে যায়। এরপর আন্দোলনকে কার্যত টিকিয়ে রাখেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
১৮ ও ১৯ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর নজিরবিহীন হামলা ও গুলি চালানোর পরই আন্দোলনের মোড় ঘুরে যায়। এর জেরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনতাও আন্দোলনে যুক্ত হন। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামার পেছনে মুখ্য কারণ ছিল। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কারফিউ জারি করে। তবে কারফিউ উপেক্ষা করেই বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
২৪ জুলাইয়ের পর পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। এ সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আশপাশের এলাকায় প্রায় নিয়মিতই ব্লক রেইড দেয়া হতো এবং আন্দোলনে যুক্ত থাকার কোনো তথ্যপ্রমাণ পেলেই আটক করা হতো। ২৪ জুলাইয়ের পর থেকে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। এরপর ২৯ জুলাই থেকে শিক্ষকরা সরাসরি আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে শুরু করলে তা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চালিয়ে যাবার জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। আবার ২ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানান বেসরকারি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ৬২৬ শিক্ষক। এরপর থেকেই পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলন আবারো জোরদার হতে শুরু করে।
দমন-পীড়নের সকল প্রকার কৌশল প্রয়োগ করেও যখন আন্দোলন দমন করা সম্ভব হয়নি, তখন সরকার সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু এই প্রজন্ম নিজেদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ব্লুটুথ সার্ভার তৈরি করি, যার মাধ্যমে, ইন্টারনেট ছাড়াই একে ওপরের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয় আর এতে অগ্রণী ভূমিকা ছিলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ কথনও সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টাও করে না। এছাড়া সাধারণত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হন। তারপরও কিন্তু তারা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে মূলত নিরীহ আবু সাঈদের উপর গুলি দেখে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের গায়ে লাঠির আঘাত দেখে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে শুধু নিজেদের স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ আন্দোলনেই থাকবে, আপামর শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পাশে থাকবে না, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো, যেকোনো বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপামর শিক্ষার্থীদের চাওয়ার জায়গায় পাবলিক-প্রাইভেট ভেদাভেদ ভুলে শিক্ষার্থীরা এক হতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সক্রিয় ছিলেন। ভ্যাটবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন বা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ছিলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তারই ধারবাহিকতায় ’২৪ এর গণঅভ্যূত্থানে তাদের পদচারণা। আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদানের জন্য বলা হচ্ছে, আন্দোলনে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মস্তিষ্ক হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছিলেন মেরুদণ্ড।
৩ আগস্ট বেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েতে দেশের আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণ এবং সেখান থেকে ঘোষিত ১ দফা আন্দোলনের নতুন গতিপথ নির্ধারণ করে। সেদিন শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। সর্বশেষ ৫ আগস্ট লং মার্চ ঘোষণা করা হলে কারফিউ উপেক্ষা করেই জড়ো হন শিক্ষার্থীরা এবং ছাত্র-জনতা মিলে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। এদিনই দুপুরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন।
মাত্র ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বাংলাদেশে ১৬ কোটি ৯৮ লক্ষ মানুষের বসবাস, যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ১১৫৩ জন। অধিক জনসংখ্যার এই দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন সকলের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছিলো, তখন উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমান দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৭, যেখানে সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। (সূত্র ইউজিসি) এছাড়া ১৬ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থী এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার পরিবর্তে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে অনেক শিক্ষার্থী। ফলে মেধা পাচারও কমেছে। গবেষণা খাতেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২১ অনুযায়ী, গবেষণায় অর্থ ব্যয়ে প্রথম ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬টিই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলন শুরু হয়ে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিস্ফূলঙ্গ ধারণ করে। এরপর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনবদ্য ভূমিকায় অবাক বিশ্ব ও বাংলোদেশ। দারুণ এক ঐকতানে মিলিত হয়েছিলো সারা দেশ। দেশের সঙ্কটে, দেশের ক্রান্তিলগ্নে ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তায় শিক্ষার্থীরা যে দ্রোহের দাবানল প্রজ্বলিত করেছিলো তা কখনো ভুলার নয়। তারা রচনা করেছিলো নতুন এক ইতিহাসের। রাজনীতির পটপরিবর্তন এবং কতৃত্ববাদী শাসনের অবসানে তাদের অবদান পৃথিবীর মহাকাব্যে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
আন্দোলন সংগ্রামে এদেশের ছাত্রসমাজের ছিলো গৌরবজ্জল ভূমিকা। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ব্যাপক অবদান ছিলো। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মকে নিয়ে অনেক হতাশার জন্ম দিচ্ছিলো সাম্প্রতিক বছরগুলোত। বিভিন্ন নেশায় আসক্ত, ফোন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তিসহ বিভিন্ন কারণে এই জেনারশন নিয়ে সবার উদ্বেগ ছিলো লক্ষ্যণীয়। কিন্তু জেন জি নামক সেই জেনারশনই বৈষম্য দূর করতে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে আমাদের সেই উদ্বেগের কবর রচনা করলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত তরুণসমাজ এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেই তাদের আন্দোলন বেগবান করেছে।
এ গণঅভ্যুত্থান সমাজের প্রতিটি অংশ, রাষ্ট্রের প্রতিটি অংশকে প্রবলভাবে ধাক্কা দিয়েছে, অনেক কিছু ভেঙেচুরে দিয়েছে। কেবল স্থাপনা নয়; প্রচলিত ধারণা, অচলায়তন, চিন্তা-দর্শন, মূল্যবোধ, গতানুগতিক রাজনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি বহুক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কিন্তু বাস্তবে এসব সম্ভাবনা কতখানি কী কাজে লাগানো যাবে, তা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে।
গত ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ছাত্র জনতার। এই সময় বহু বন্ধু সহপাঠী গুলিবিদ্ধ হয়, চিরতরে হারিয়ে যায় অনেকে। সব শোককে শক্তিতে পরিণত করে সবার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে এখন দেশ গড়ার কাজে মনোযোগী হতে হবে সকলকে। সেই কাজে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সকলকে কাজ করতে হবে একযোগে। আর এভাবেই বিনির্মাণ করতে হবে সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশের।
তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবদানকে যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি, এখনো সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না। নতুন দল গঠন থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের অবদানকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি, তারা উপেক্ষিত। বিভিন্ন সময় সংবাদ সম্মেলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফোরামে তারা সেসব কথা তুলে ধরেছে। এটা আসলে দুঃখজনক।
লেখক: আসাদ উদ্দিন
প্রভাষক
সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সীগঞ্জ
রাজু