ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

আধুনিক ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম গণহত্যা

ড. মো. মোরশেদুল আলম

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ১৮ জুলাই ২০২৫

আধুনিক ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম গণহত্যা

ইসরাইলের সঙ্গে ইরানের চলমান সংঘাত যুক্তরাষ্ট্রের চাপে স্থগিত হওয়ায় গাজায় চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের দিকে আবারও আন্তর্জাতিক মনোযোগ ফিরে এসেছে। যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি না হলে গাজাজুড়ে সামরিক অভিযান উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ানোর হুমকি প্রদান করেছে ইসরাইলি কর্মকর্তারা। এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি ইসরাইল মেনে নিয়েছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত চুক্তি কার্যকর থাকার সময় যুদ্ধ বন্ধে আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করব। তিনি আরও বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার সহায়তায় কাতার ও মিসরবাসী কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তারাই চূড়ান্ত চুক্তির প্রস্তাব দেবেন। আশা করি, হামাস চুক্তিটি গ্রহণ করবে। কারণ এটি আর ভালো হবে না; বরং এটি শুধু আরও খারাপ হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। গাজা যুদ্ধের অবসানে মার্কিন প্রচেষ্টার মধ্যেই আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে। হামাসের ওই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় অভিযান শুরু করে। ইসরাইলের পরিচালিত অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৩৬৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩২ হাজার ২৩৯ জন আহত হয়েছেন। তবে ইসরাইল দৈনিক হারেৎজ প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, গাজা যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের আগ্রাসনে প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যা ভূখণ্ডটির জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ। নিহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই শিশু এবং নারী, যা দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের পরে অধিকাংশ যুদ্ধের তুলনায় ব্যতিক্রমী। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করে, ইসরাইল গাজাবাসীর বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অর্থাৎ জেনোসাইড চালাচ্ছে। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন সংস্থাটির মহাসচিব আ্যাগনেস ক্যালামার্ড। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, জেনোসাইড কনভেনশনে নিষিদ্ধ ৫টি কর্মকাণ্ডের অন্তত ৩টি ইসরাইল ঘটিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যাকাণ্ড, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিসাধন এবং সুরক্ষিত গোষ্ঠীকে ধ্বংসের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের জীবনমানের ক্ষতি করা। বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের প্রদত্ত বিবৃতি পর্যালোচনা করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, গাজায় জাতিগত হত্যা চালানোর উদ্দেশ্যেই ইসরাইল সামরিক অভিযান শুরু করেছিল। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব হোলোওয়ের অধ্যাপক মাইকেল স্প্যাগ্যাট বলেন, সমীক্ষাটির তথ্য গাজা যুদ্ধকে একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম রক্তক্ষয়ী সংঘাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রায় দুই বছরের যুদ্ধে ফিলিস্তিনের বেশির ভাগ এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনের জনগণের বেশির ভাগেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক মেইরাভ জোনসাইন বলেন, ট্রাম্প যদি সত্যিই চান, তাহলে নেতানিয়াহুকে এই যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে অস্ত্র ও কার্যত দায়মুক্তি দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এই যুদ্ধ থামাতে দেখছি না, যদি না তার স্বার্থের সঙ্গে সরাসির সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ে। কিন্তু ট্রাম্প ইসরাইলকে আপাতত অবাধ স্বাধীনতা দিচ্ছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। গাজায় অভিযান যাতে শীঘ্রই বন্ধ করা হয় সেজন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তিনি আহ্বানও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গাজায় আমরা যা করছি তা আর কাজ করছে না। এই যুদ্ধ একটি অচলাবস্থা তৈরি করেছে এবং গাজায় সামরিক অভিযান থামানোর এখন সময় এসেছে। নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোগান বলেছেন, গাজার মানবিক সংকট অব্যাহতভাবেই বেড়েই চলেছে এবং সেখানে জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। গাজার মানবিক সংকটের সমাধান খুঁজে বের করার কথাও বলেন। মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি অর্জনে সবাইকে আবদান রাখার আহ্বান জানান।ইসরাইলের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের চূড়ান্তভাবে উচ্ছেদ করা। ইসরাইলের এই নীতিকে বাস্তবায়ন করতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো সহযোগিতা করছে। একই সঙ্গে আরব রাষ্ট্রগুলোও এ বিষয়ে নীরবতা পালন করছে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির প্রধান মিরিয়ানা স্পলিয়ারিচ ফিলিস্তিনের গাজাকে ‘পৃথিবীর নরক থেকেও ভয়াবহ’ বলে মন্তব্য করেছেন। শিশুদের ওপর সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘের তৈরিকৃত ‘কালোতালিকায়’ টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ইসরাইলের নাম উঠে এসেছে। জাতিসংঘ কর্তৃক ‘চিলড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ^জুড়ে শিশুদের ওপর নজিরবিহীন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ফিলিস্তিনের শিশুরা সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছে। ইসরাইলকে কালোতালিকাভুক্তির কারণ হিসেবে জাতিসংঘ বলেছে, ইসরাইলি বাহিনীর অবিরত হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু প্রাণ হারিয়েছে, নয়তো পঙ্গু হয়েছে। ফিলিস্তিনের বিদ্যালয় এমনকি হাসপাতালেও নিয়মিত হামলা চালিয়ে ইসরাইল শিশুদের হত্যা করেছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো প্রদান করে। প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছিল, গাজায় সব পক্ষকে মেনে চলার জন্য একটি স্থায়ী, নিঃশর্ত ও দ্রুত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিতে হবে এবং হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠীর হাতে থাকা সব ইসরাইলি বন্দিকে সম্মানজনকভাবে নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান করতে হবে। প্রস্তাবটিতে আরও বলা হয়েছিল, গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছাতে যেসব বাধা আছে সেসব বাধা এবং গাজার ওপর আরোপ করা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে হবে; জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থা যেন নিরাপদে বাধা ছাড়া ত্রাণ পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি সদস্য রাষ্ট্র এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রদান করলেও যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র বিরোধিতা করায় সেটি বাতিল হয়ে যায়। এই ভেটোর ঘটনার অনেকটা সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা দেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) চারজন বিচারককে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র শুধু গাজায় যুদ্ধবিরতি থামানোর প্রস্তাবে বাধা না দিয়ে যারা যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়াও গাজায় সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) আরেকটি মামলা চলমান রয়েছে।
বর্তমানে গাজা উপত্যকাকে জাতিসংঘ বিশে^র সবচেয়ে খাদ্য সংকটাপূর্ণ ও ক্ষুধার্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২৩ লাখ মানুষই এখন বিপর্যয়কর ক্ষুধার মুখোমুখি; যা চরম মানবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত প্রদান করছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র জেন্স লারকে বলেছেন, এই ভূখণ্ডের পুরো জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। গাজায় মানবিক সহায়তা আবারও হামাসের দখলে যাচ্ছে- এমন তথ্য পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি কার্যকর পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন সেনাবাহিনীকে। ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ হুমকি দিয়েছেন, যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় এবং হামাসের কাছে সহায়তা পৌঁছানো ঠেকানো না যায়, তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন। এমতাবস্থায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ আবারও স্থগিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাসের দেওয়া যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির প্রস্তাবটিও ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় গঠিত এক খসড়া পরিকল্পনায় হামাসের কাছে থেকে ১০ জন জীবিত জিম্মির মুক্তি এবং প্রায় ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়। তবে প্রস্তাবটি অগ্রহণযোগ্য এবং কোনো দায়িত্বশীল সরকার এটি গ্রহণ করতে পারে না বলে ইসরাইলের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, হামাস এমন সব শর্ত দিচ্ছে, যা গ্রহণ করলে যুদ্ধের মূল লক্ষ্য অর্থাৎ হামাসকে নির্মূল করা এবং সকল জিম্মি মুক্তি- তা অর্জন করা সম্ভব হবে না। এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয় এবং ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের মূল প্রস্তাব থেকে এটি অনেক দূরে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আর ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগেই ঘোষণা করেছিলেন, হামাসকে ধ্বংস না করে, গাজায় তাদের প্রভাবকে উৎখাত না করে এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ থামবে না। ইসরাইল প্রদত্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত তারা ২০ হাজার এর বেশি হামাস যোদ্ধা এবং ৭ অক্টোবরের হামলায় অংশ নেওয়া ১ হাজার ৬০০ জনকে হত্যা করেছে। আর ইসরাইলের সেনাবাহিনীতে নিহত সদস্যের সংখ্যা ৪২০ জন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছিল, দখলকৃত গাজায় বেসামরিক মানুষকে ক্ষুধার মুখে ফেলাকে ইসরাইল যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। এখন ত্রাণকেও হত্যার কৌশল হিসেবে এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে। 
জাতিসংঘ বলছে, গাজা উপত্যকার প্রায় ৮৫ শতকাংশ এলাকা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কিংবা উচ্ছেদ আদেশের মুখে। আবার কোথাও কোথাও উভয় অবস্থাই রয়েছে। এখন দখলকৃত পশ্চিম তীর ইসরাইল স্থায়ীভাবে দখলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। চলতি মাসের মধ্যেই দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ফ্রানচেসকা আলবানিজ ইসরাইলের সঙ্গে সকল ধরনের বাণিজ্যিক ও আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ^ সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। ইসরাইলের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ‘গণহত্যার অর্থনীতি’ বলে অভিহিত করেন তিনি। আলবানিজের উপস্থাপন করা ‘ফ্রম ইকোনমি অব অকুপেশন টু ইকোনমি অব জেনোসাইড’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ইসরাইলের দখলদারি ও উপনিবেশ গঠনের পরিকল্পনাকে টিকিয়ে রাখছে তা উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। ইসরাইল আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যার জন্য দায়ী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্যানেল/মো.

×