ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

ইবি ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, সুরতহাল প্রতিবেদনে যা ধরা পড়লো

স্টাফ রিপোর্টার, ইবি

প্রকাশিত: ২০:২০, ১৮ জুলাই ২০২৫

ইবি ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, সুরতহাল প্রতিবেদনে যা ধরা পড়লো

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর মৃত্যু ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় সুরতহাল প্রতিবেদন শুক্রবার (১৮ জুলাই) প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক রেজাউল করিম। নিহত সাজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নম্বর কক্ষে অবস্থান করতেন।

সুরতহাল প্রতিবেদনের তথ্যমতে, মৃত্যুর সময় সাজিদের পরনে ছিল কালো রঙের ট্রাউজার ও ধুসর গোলগলা গেঞ্জি। গায়ের রঙ ফর্সা, উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, চুল কালো ও আনুমানিক ৮ ইঞ্চি লম্বা। চোখ ছিল বন্ধ এবং এক হাত ছিল অর্ধমুষ্টিবদ্ধ অবস্থায়। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল এবং নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।

জখমের অবস্থা হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে—মাথা, কপাল ও মুখমণ্ডল স্বাভাবিক ছিল। মুখে কালো দাড়ি ও গোঁফ ছিল এবং নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। বাম হাতের কব্জির ওপর চামড়া ছেঁড়া আঘাতের চিহ্ন এবং ডান পায়ের হাঁটুর নিচে চামড়া ছেঁড়ার মতো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হাতের আঙুল অর্ধমুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় ছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বুক, পেট, পিঠ, কোমর থেকে পা পর্যন্ত শরীরের অংশগুলো স্বাভাবিক ছিল। যৌনাঙ্গসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃতের বন্ধু ইসমাইল হোসেন এবং চিকিৎসক ডা. সেলিম লাশ উল্টে-পাল্টে দেখলেও শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাননি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলসংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ৮টায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. সুতপা রায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রথম সাজিদের মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখেন।

 

মারিয়া

×