ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১

Puja
Puja
waltonbd
waltonbd
ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসব শুরু

ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসব শুরু

মহাষষ্ঠীর পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতনীদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে ম-পগুলো। অনুষ্ঠিত হয়েছে আগমনী শোভাযাত্রা। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। রাজশাহী  মহাষষ্ঠীর পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে রাজশাহী নগর ও জেলার ৪১২টি ম-পে দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। বুধবার থেকে রাজশাহীর ম-পে ম-পে দুর্গা দেবীর প্রতিমা থানে ওঠানো হয়। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে এরই মধ্যে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পুরো রাজশাহী মহানগর। বিপুল আনন্দ, উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব উদযাপনে এবার মহানগরজুড়েই নেওয়া হয়েছে নিñিদ্র নিরাপত্তা। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় সায়ংকালে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠীপূজা সম্পন্ন হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সরকার অসীম কুমার জানান, এ বছর মহানগরের ৭৭টি এবং জেলার নয় উপজেলার ৩৩৫টি মিলিয়ে মোট ৪১২টি ম-পে দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে।

adbilive
adbilive
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার হবে

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার হবে

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি সংখ্যালঘু নির্যাতনের নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজা ম-প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। ফখরুল বলেন, আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় শক্তিকে পরাজিত করে সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি, যেখানে আমাদের একটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে আমাদের মধ্যে কোনো ভেদ থাকবে না, ভেদাভেদ থাকবে না, ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না, এক বর্ণের সঙ্গে আরেক বর্ণের প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা বা রাজনীতি থাকবে না। পূজাম-পে উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশে  ফখরুল বলেন, আমরা অতীতেও এই পূজাম-পে এসেছি। এখানকার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে আমাদের তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা এবং আমাদের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আপনাদের এখানে অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এরই মধ্যে আপনাদের নেতাদের সঙ্গে  দেশের পরিবর্তনের পরেও আমরা যোগাযোগ করেছি, আলোচনা করেছি, কথা বলেছি।

সংস্কারে জামায়াতের ১০ প্রস্তাব

সংস্কারে জামায়াতের ১০ প্রস্তাব

একজন ব্যক্তি পর পর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না- এমন বিধান তৈরিসহ রাষ্ট্র সংস্কারে সেক্টর অনুযায়ী আলাদা আলাদা ১০টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি আগামী নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণের পাশাপাশি ভোটের আনুপাতিক হারে  আসন নির্ধারণের প্রস্তাবও রেখেছে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।  জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, এই ১০ খাতের প্রস্তাব শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য। নির্বাচিত কোনো সরকারের জন্য নয়। এই সরকারের কাছে আসলে আমাদের মোট ৪১টি প্রস্তাব। তার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাব গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। খাতগুলো হলো- আইন ও বিচার বিষয়ক সংস্কার, সংসদ বিষয়ক সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা সংস্কার (পুলিশ বাহিনীর সংস্কার, র‌্যাব বিষয়ক সংস্কার), জনপ্রশাসন সংস্কার, দুর্নীতি, সংবিধান সংস্কার, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংস্কার (বিরাজমান সমস্যার আলোকে শিক্ষা সংস্কার প্রস্তাব, সংস্কৃতি সংস্কার), পররাষ্ট্র বিষয়ক সংস্কার ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সংস্কার।  আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক, এটি জামায়াত চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, তারা কি নির্বাচন করেছিল? না। তারা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। তারা নির্বাচন চায়নি। এজন্য রাতের অন্ধকারে ভোট করেছিল পুলিশ আর প্রশাসন দিয়ে। যারা নির্বাচন চায় না, তাদের ওপর নির্বাচন চাপিয়ে দিলে তো জুলুম হবে। এটাও একটা বৈষম্য হবে।  আগে নির্বাচন, না আগে সংস্কার? এমন প্রশ্নে জামায়াত আমির বলেন, দুটি রোডম্যাপ হবে। একটা সংস্কারের আর একটা নির্বাচনের। তবে সময় যেন অতিদীর্ঘ না হয়, আবার অতিসংক্ষিপ্ত না হয়। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। একটি বর্ণাঢ্য সংসদের জন্য জনগণের কোনো ব্যক্তিকে নয়, ভোট দিতে হবে দলকে। সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে যে সংবিধান রচিত হয়েছিল তা ভারতে বসে রচিত। এটি বাংলাদেশে বসেও রচনা করা যেত। জন্মভূমি হিসেবে সংবিধান বাংলাদেশের ভূখ- পায়নি। আমরা লক্ষ্য করলাম মুজিব সাহেব থাকা অবস্থায় পার্লামেন্টে ৭ মিনিটের বক্তব্যের পর বাকশাল কায়েম হলো। আমাদের সংবিধান যেন মতলবি সংবিধান না হয়। শুধু নির্বাচন নয়, সমগ্রিক সমাজ কাঠামো ধরে সংবিধান হতে হবে। অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির বলেন, গণহত্যায় জড়িত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।  কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ সাবেক এমপি, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন ও মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্যে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন,আমরা সকলেই জানি দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর একটি দল ও তাদের দোসররা ক্ষমতায় ছিলেন। তারা দেশকে যে কোন উপহার দিয়েছিলেন তা বাংলাদেশের মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। এর লক্ষ্যবস্তু বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক হয়েছিলেন। তাদের অপশাসনের হাত থেকে কেউই রেহাই পায়নি। এমনকি রাস্তার ভিক্ষুকও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। শিশু-বৃদ্ধ সকলেই এই কুশাসনের নজরে পড়েছিলেন। গত জুন মাসে ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলে।

এস এম সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

এস এম সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালায় শিল্পীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে কুরআন খতম, শিল্পীর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়া অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, শিশুদের অংকিত চিত্র প্রদর্শনী, শিল্পী জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ এবং গ্রামীণ লোক সংগীত পটগান। এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার কিউরেটর চিত্রশিল্পী তন্দ্রা মুখার্জী জানিয়েছেন প্রশাসনের দুর্গাপূজার বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে এবার অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। চিত্রশিল্পের খ্যাতি হিসেবে শিল্পী সুলতান ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।  সৃষ্টিশীল এই শিল্পী নড়াইলের পুরুলিয়ায় ১৯৫৫-৫৬ সালে ‘নন্দন কানন ফাইন আর্ট অ্যান্ড স্কুল, ১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে যশোর এম এম কলেজের একটি পুরনো হোস্টেলে একাডেমি অব ফাইন আর্ট স্কুল, ১৯৭৮ সালের দিকে জন্মস্থান নড়াইলের মাছিমদিয়ায় ফাইন আর্ট স্কুল এবং ১৯৮৭ সালে নড়াইলের কুড়িগ্রামে ‘শিশুস্বর্গ নামে শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরির লক্ষ্যে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিয়েছেন। টোকিও থেকে সিনহুয়া এ খবর জানায়। আগামী ২৬ অক্টোবর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ১৫ অক্টোবর থেকে এর প্রচার শুরু হবে। খবর বিবিসির। ইশিবা ২৭ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং ১ অক্টোবর এলডিপি-নেতৃত্বাধীন জোট নিয়ন্ত্রিত সংসদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। জাপানের যুদ্ধোত্তর ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করার পট সবচেয়ে কম সময় সংসদের নি¤œকক্ষ ভেঙে দিলেন ইশিবা। ২০২৩ সালের শেষের দিকে এলডিপির রাজনৈতিক তহবিল কেলেঙ্কারি প্রকাশের পর আসন্ন সাধারণ নির্বাচন হবে প্রথম। গত সপ্তাহে সংসদে তার প্রথম নীতি বক্তৃতায়, ৬৭ বছর বয়সী ইশিবা একাধিক কেলেঙ্কারির পরে রাজনীতিতে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে প্রেক্ষাপটে জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন।

রয়টার্স-ইপসস জরিপেও ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন কমলা

রয়টার্স-ইপসস জরিপেও ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন কমলা

জনমত জরিপে একের পর এক টেক্কা দিয়ে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। রয়টার্স ও পরিসংখ্যান বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইপসসের যৌথ জরিপেও রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে তিন পয়েন্ট এগিয়ে আছেন কমলা। খবর সিএনএনের। আসছে ৫ নভেম্বর মার্কিন নাগরিকরা প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাকে বেছে নেবেন, এমন প্রশ্নে ৪৬ শতাংশ ভোটার বেছে নিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে বেছে নিয়েছেন আমেরিকার ৪৩ শতাংশ ভোটার। শেষ হওয়া চারদিনের জরিপে দেখা গেছে, ২০-২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত আগের জরিপে ট্রাম্প যেখানে কমলার চেয়ে ছয় পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন, সেখানে নতুন জরিপে কমলা সামান্য পয়েন্টে এগিয়ে গেছেন। ট্রাম্পের বিতর্কিত অভিবাসন নীতির কারণে তার জনপ্রিয়তা কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৩১ দিন। জরিপের পারদ যেমন প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে, তেমনই দোদুল্যমান প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের ভোটাররাও।

ইরান যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত 

ইরান যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত 

ইসরাইলের সঙ্গে টানাপোড়েনের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কোনো আকাক্সক্ষা ইরানের নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি। তিনি বলেছেন, ইসরাইল যদি সত্যিই হামলা করে, সেক্ষেত্রে তা মোকাবিলা করার পূর্ণ প্রস্তুতি ইরানের রয়েছে। খবর আরটির। রাজধানী তেহরানে এক মতবিনিময় সভায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এর আগে অনেকবার বলেছি ইরান কখনো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে চায় না। তবে এখনকার বাস্তবতায় একটি কথা স্পষ্ট করা প্রয়োজন যে আমরা যুদ্ধ ভয় পাই না। এ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি আমাদের আছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের সেনাসদস্যরা প্রস্তুত। তবে আব্বাস আরাগচি ইসরাইলের সঙ্গে আগ বাড়িয়ে যুদ্ধে না জড়ানোর পক্ষে বললেও ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) এক কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজকে জানিয়েছিলেন, ইসরাইলে হামলা সংক্রান্ত অন্তত ১০টি পরিকল্পনা প্রস্তুত রেখেছে আইআরজিসি।

লেবানন সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে

লেবানন সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে

পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের দেশ লেবানন এই মুহূর্তে সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, এখনো এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমি গত কয়েক মাস ধরে বলছি যে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে এবং দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। লেবানন এই মুহূর্তে সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। সেখানে সংঘাত ঘনীভূতও হচ্ছে। কিন্তু এখনো সম্ভাব্য যুদ্ধ থামানোর মতো সুযোগ রয়েছে। যদি আমরা সব দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখ-তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকি তাহলে এখনো এই পরিস্থিতির উত্তরণ সম্ভব। খবর বিবিসির।  ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর ইসরাইলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ১ হাজার ৫ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে স্থল বাহিনী হামলা শুরুর পর থেকে। এই নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক লোকজন, নারী ও শিশু। এদিকে লেবাননও ফিলিস্তিনের গাজার মতো ধ্বংসের মুখোমুখি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

ওয়ালটন পণ্য কিনে ২০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ

ওয়ালটন পণ্য কিনে ২০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ

সারাদেশে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেন সিজন-২১ শুরু করছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ক্যাম্পেনের এই সিজনেও ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক। সিজন-২১ এ ক্রেতাদের জন্য ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফার ঘোষণা করেছে ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।  বুধবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেন সিজন-২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেন সিজন-২১’ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীম। তিনি দেশব্যাপী ক্যাম্পেনের ২১তম সিজনের উদ্বোধন করেন। সে সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) গালীব বিন মোহাম্মদ, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস মো. ফিরোজ আলম, ওয়ালটনের স্ট্র্র্যাটেজিক বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আরিফুল আম্বিয়া, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তানভীর রহমান, ফ্রিজের সিবিও তাহসিনুল হক, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মোস্তফা কামাল, ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিজনেস কোঅর্ডিনেটর তানভীর আঞ্জুম ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার মফিজুর রহমান, ওয়ালটনের ডেপুটি সিএমও জোহেব আহমেদ, টিভির ডেপুটি সিবিও হাবিব ইফতেখার আলম প্রমুখ।

রপ্তানির তথ্যে গরমিল হবে না

রপ্তানির তথ্যে গরমিল হবে না

দেশের মোট রপ্তানি তথ্যে ভবিষ্যতে আর কোনো গরমিল হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এখন থেকে রপ্তানির সঠিক তথ্য প্রকাশ করা হবে। শুধু তাই নয়, শ্রমিক অসন্তোষে শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হলেও গত বছরের তুলনায় এবার সেপ্টেম্বরে মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ২২ কোটি ডলার। ওই হিসেবে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ ছাড়া শ্রম অসন্তোষের কারণে আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর এবং ঢাকার কারখানা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হলেও পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। রপ্তানির এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি মাছ, কৃষিপণ্য, চামড়া এবং প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।  বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। ইপিবি জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সফটওয়্যারে সরাসরি যুক্ত হওয়া রপ্তানি চালানের তথ্যের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ রপ্তানি থেকে আয় করেছে ৩৫১ কোটি ডলার, আগের বছরের একই মাসে যা ছিল ৩২৯ কোটি ডলার। এই হিসাবে, তা বেড়েছে প্রায় ২২ কোটি ডলার। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.০৪ শতাংশ।

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি পাবে মানুষ

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি পাবে মানুষ

শীঘ্রই নিত্যপণ্যের বাজারে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতি অফিসিয়ালি এক শতাংশ কমেছে। সামনে আরও কমবে। আপনারা স্বস্তি পাবেন, অধৈর্য হবেন না।’ এ ছাড়া মরক্কো, সৌদি আরব ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৯০ হাজার টন সার কিনবে সরকার। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের পায়েল ট্রেডিং থেকে এই মসুর ডাল কেনা হবে। সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৬৫৭ কোটি ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯২০ টাকা দিয়ে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। বুধবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমাতে একটু সময় লাগবে। আমরা কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছি। তেলের ওপর ডিউটি (শুল্ক) কমিয়েছি। চিনির ওপর ডিউটি কমিয়ে দেওয়া হলো। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব হবে না। মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হলো। এলএনজি আমদানি, কৃষির সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আপনারা স্বস্তি পাবেন।’ কতদিনের মধ্যে স্বস্তি পাওয়া যাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, স্বস্তি পাবেন। আপনারা অধৈর্য হবেন না। এ জিনিসটা কিন্তু অনেক কমপ্লেক্স। মনে করবেন না মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে হঠাৎ করে। এটার পেছনে অনেক ফ্যাক্টর আছে। তিনি বলেন, এখানে বাজারের ফ্যাক্টর আছে। বাজারে মনিটরিংয়ের ফ্যাক্টর আছে। উৎপাদন করলেও সেটা বিপণনের ক্ষেত্রে অনেক ব্যাপার আছে। অনেক জায়গায় পুরাতন লোকজন চলে গেছে, সেখানে নতুন লোকজন আবার আসছে।   মরক্কো, সৌদি আরব ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৯০ হাজার টন সার কিনবে সরকার। এর মধ্যে মরক্কো থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি, সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া এবং কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬০১ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার  টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ৯৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

উদ্যোক্তা মিন্নি

উদ্যোক্তা মিন্নি

মিন্নি আকতার মিথুন। মাত্র বাইশ বছরে মিন্নি নারী উদ্যোক্তা হয়েছেন। এলাকার মানুষজন তাকে পাপড়ি চোখের মেয়ে বলেই চেনেন। উপাধি দেওয়া এই নামের পেছনে রয়েছে মিন্নির পাপড়ি তৈরির কারখানা ঘিরেই। অথচ মিন্নি এক সময় একটি শিল্প-কারখানার নারী শ্রমিক ছিলেন।  নারী সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ চোখের পাপড়ি বা আইল্যাশ। আধুনিক নারীদের কাছে এর চাহিদা আকাশছোঁয়া। আর এই চোখের কৃত্রিম পাপড়ি তৈরি হচ্ছে উত্তরের জনপদ নীলফামারীর সৈয়দপুরে। নারী উদ্যোক্তা মিন্নি আকতার মিথুন তার মিন্নি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এসব পাপড়ি তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করছেন। এতে করে কারখানায় যেমন নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, তেমনি আসছে বৈদেশিক মুদ্রাও।