
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
সিলেট থেকে ওমরাহ যাত্রীদের জন্য জেদ্দা ও মদিনা রুটের প্রতিটি ফ্লাইটে সিলেটের জন্য অন্তত ৩০০টি আসন সংরক্ষনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার হজ্জ অ্যাজেন্সিজ অব বাংলাদেশ (হাব) সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান আব্দুল হক ও সেক্রেটারি মো. আব্দুল কাদির এ আবেদন করেন।
জেদ্দা ও মদিনা রুটে থাকে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট। কিন্তু প্রতিটি ফ্লাইটে সিলেটের যাত্রীরা আসন পান মাত্র ৫০ থেকে ৬০টি। বাকীটা ঢাকা থেকে বুকিং হয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন সিলেটের যাত্রীরা। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিলেটের ওমরাহ যাত্রীদের প্রথম পছন্দ বাংলাদেশ বিমান। কিন্তু পর্যাপ্ত আসন না পাওয়ায় তাদেরকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহানোর পর অন্য এয়ারলাইন্সে জেদ্দা বা মদিনায় যেতে হয়। এতে এ অঞ্চলের ওমরাহ যাত্রীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রতিটি ফ্লাইটে ৪০০ আসনের বিপরীতে সিলেটের যাত্রীরা থাকেন মাত্র ৫০ থেকে ৬০ জন। অথচ সিলেট থেকে ফ্লাইট চালুই করা হয়েছিল এ অঞ্চলের যাত্রীদের সুবিধার জন্য।
আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, সিলেট থেকে জেদ্দা ও মদিনা রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট থাকলেও সিলেটের যাত্রীরা এর সুফল পাচ্ছেন না। শূন্য আসনগুলো ঢাকার অ্যাজেন্সি ও যাত্রীদের জন্য রেখে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় আসন্ন ওমরাহ মৌসুমে সিলেট অঞ্চলের অ্যাজেন্সি ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য কমপক্ষে ৩০০টি আসন সংরক্ষনের দাবি জানান তারা।
আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাব সিলেট অঞ্চলের সেক্রেটারি মো. আব্দুল কাদির বলেন, আগে আমরা মৌখিক আবেদন করেছি। এখন লিখিত আবেদন করলাম। আশা করছি বিমান বংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিলেটের ওমরাহ যাত্রীদের অসুবিধা এবং কষ্ট লাঘবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
নোভা