ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১

Hotel ad
Hotel ad
adbilive
adbilive
পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে ব্রিটিশ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে

পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে ব্রিটিশ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে ব্রিটিশ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। লন্ডন সফরে আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, সরকারের নির্দেশেই   শেখ মুজিবের ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জুলাই আন্দোলনের ছবিযুক্ত নোট প্রস্তুত হয়নি। তবে নষ্ট না করে অবশিষ্ট টাকা আপাতত সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। চলতি মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তিন বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসতে পারে। তিনি বলেন, নতুন করে আগের সরকারের অতিরিক্ত ছাপানো টাকাগুলোর অবশিষ্টগুলো বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। যেসব নোট অবশিষ্ট আছে, সেগুলো আপাতত বাক্সবন্দি অবস্থায় থাকবে। নতুন নোট ছাপানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি ব্রিটেন ও একটি সুইস কোম্পানি এটি তৈরি করছে। আলোচনা হয় রেমিটেন্স প্রসঙ্গেও। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আড়াই বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। আর চলতি মাসের ১৯ দিনে এসেছে সোয়া দুই বিলিয়ন ডলার। ইতিহাস ভেঙে একক মাস হিসাবে এটি তিন বিলিয়ন হওয়ার আশা গভর্নরের।  তিনি বলেন, রেমিটেন্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা দেওয়া হোক বা অর্থ পাচার বন্ধের কারণেই হোক; রেমিটেন্স আসছে, এটিই আশার কথা। চলতি মাসে তিন বিলিয়ন হতে পারে। সফর প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, এস আলমসহ বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থের খোঁজে তিনি এসেছেন। কোথায় কী কী সম্পদ আছে এবং তা দেশে ফিরিয়ে নিতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার কথাও জানান গভর্নর। তিনি বলেন, ১৫-২০ বিলিয়ন ডলার এক ব্যক্তি ও তার পরিবার নিয়ে গেছে। যেসব জায়গা থেকে এসব অর্থ নেওয়া হয়েছে সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এস আলম গ্রুপের অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। কীভাবে নেওয়া হয়েছে, বিদেশে কী কী সম্পদ রয়েছে তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।

সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে

সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা ৪টি থেকে কমিয়ে ৩টি করার দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা। সিগারেটে ৪টি মূল্যস্তর (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম) থাকায় তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করে না। নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে দাম বাড়ানো হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে এবং তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী সিগারেট ব্যবহারে বিশেষভাবে নিরুৎসাহিত হবে। আজ (২৪ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও মূল্য সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে সংগঠন দুটি।  সংবাদ সম্মেলনে তামাক কর ও মূল্য বিষয়ক বাজেট প্রস্তাব সমর্থন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এর রিসার্চ ডিরেক্টর এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন-এর সদস্য ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘বর্তমানে আশি শতাংশের অধিক সিগারেট ব্যবহারকারী নি¤œ এবং মধ্যম স্তরের সিগারেটের ভোক্তা।

ডিএসইতে লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা ছাড়াল

ডিএসইতে লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা ছাড়াল

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২৪ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এরপরও বাজারটিতে মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিন ডিএসইতে ভালো ও মন্দ এই দুই গ্রুপের বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। অন্যদিকে মাঝারি গ্রুপের কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের দাম কমেছে। ভালো কোম্পানি বা ‘এ’ গ্রুপের ২১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৭৫টির এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ‘বি’ গ্রুপের ২৪টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। আর কমেছে ৪৭টি এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।পচা বা ‘জেড’ গ্রুপের ৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ৪০টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৯টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর লেনদেন হওয়া ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২টির এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সবখাত মিলে ১৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫১টির। আর ৭৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫০৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪২১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৮২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে পাঁচ কার্যদিবস পর ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের দেখা মিলল। এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ২০ বছর মেয়াদি বিজিটিবি বন্ড। টাকার অঙ্কে এই বন্ডের ৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। ৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- শাইনপুকুর সিরামিক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বিচ হ্যাচারি, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট এবং কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৩টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।