ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

মিয়ানমারকে হারাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মেয়েরা

মিয়ানমারকে হারাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মেয়েরা

নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আফঈদা খন্দকারের দল এখন বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপের সেরা হয়ে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে মুখিয়ে আছে। এজন্য বুধবার সবচেয়ে বড় বাধা  পেরুতে হবে। নিজেদের দ্বিতীয় গ্রুপ ম্যাচে টাইগ্রেসরা খেলবে স্বাগতিক মিয়ানমারের মেয়েদের বিরুদ্ধে। ম্যাচটি খুব কঠিন হলেও বাংলাদেশের মেয়েরা জয়ের আশা করছে। আর জিততে পারলে অনেকটাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপুটে ফুটবল খেলে বাহরাইনকে উড়িয়ে দেওয়া মেয়েদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ পিটার জেমস বাটলার। এই জয়ে স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েও দারুণ আশাবাদী হয়ে উঠছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ। নিঃসন্দেহে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল মিয়ানমার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও তারা (৫৫তম) বাংলাদেশের (১২৮তম) থেকে অনেক এগিয়ে। পাঁচ বছর আগের সবশেষ দেখায় মিয়ানমারের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেবারের মতো এবারও ম্যাচ ইয়াঙ্গুনের একই মাঠে। তবে এবার ভিন্ন গল্প লিখতে চান বাটলার। বাংলাদেশ কোচ বলেন, আমি মনে করি এই মিয়ানমারের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচগুলোই খেলতে চাইবেন। কারো প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাচ্ছি না। কিন্তু আমি সবসময় বলেছি, এ ধরনের কঠিন ম্যাচ খেলতে চাই। বাহরাইন সম্প্রতি সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ড্র করে এসেছিল। বাটলার বলেন,  কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, মিয়ানমার আমাদের ভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাবে। তারা টেকনিক্যালি দারুণ, সমর্থকদেরও পাশে পাবে। কিন্তু আমরা তাদের জন্য প্রস্তুত। আমি মনে করি, আমরা প্রস্তুত। বাহরাইন ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন। গোল করেছেন ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, কোহাতি কিসকু ও মুনকি আক্তারও। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্দান সফরে প্রত্যাশিত গোল না মেলায় যারা সমালোচনা করেছিলেন, তাদের প্রতিও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বাটলার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জানি মানুষ অনেক সময় গোল না পাওয়ার কারণে সমালোচনা করে। কিন্তু আমি সবসময় জানতাম গোল আসবে। বিশেষ করে এই দলটায় তহুরা, শামসুন্নাহার (জুনিয়র), ঋতুপর্ণা, মনিকার মতো গতিময় খেলোয়াড় আছে।