
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (৩০ জুন) সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
ট্রাম্পের এই আদেশে বলা হয়েছে, ‘আমেরিকা একটি স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ সিরিয়াকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি ঐক্যবদ্ধ সিরিয়া, যা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে না এবং দেশটির ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেটিই মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারবে।’
এই ঘোষণা হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল ‘Trump 47 Rapid Response’ এক্স (আগে টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা হয়।
এর আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো সিরিয়াকে স্থিতিশীলতা ও শান্তির পথে সহায়তা করা।’
তিনি আরও জানান, ‘যদিও সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে, তবুও সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, তার সহযোগী, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, মাদক কারবারি, রাসায়নিক অস্ত্র কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি, আইএস এবং তাদের মিত্র, এবং ইরানের সমর্থিত মিলিশিয়াদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।’
ক্যারোলাইন বলেন, ‘এই পদক্ষেপটি আবারও প্রমাণ করে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়াকে একটি ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
এর আগে গত মাসে সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ ফোরামে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি সিরিয়ার ওপরের ‘নৃশংস ও পঙ্গু করে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা’ তুলে নেবেন। ঐ ঘোষণার ঠিক একদিন পর তিনি সৌদি আরবেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারার সঙ্গে এক ঐতিহাসিক বৈঠক করেন—যা ছিল গত ২৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৫ বছর সিরিয়া শাসন করার পর বাশার আল-আসাদ ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর রাশিয়ায় পালিয়ে যান। ১৯৬৩ সালে শুরু হওয়া বাথ পার্টির একচেটিয়া শাসনেরও তাতে অবসান ঘটে। তার পতনের পর বিদ্রোহী পক্ষের নেতা আহমাদ আল-শারাকে চলমান রাজনৈতিক রূপান্তরের অংশ হিসেবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়।
সূত্র: আনাদোলু।
রাকিব