
টক মিষ্টি স্বাদের লটকন এখন বাণিজ্যিক ফল
বাংলাদেশের এক সুস্বাদু দেশি ফল লটকন এখন আর শুধু গ্রামীণ আঙিনার সাধারণ ফল নয়, বরং বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ফসল হিসেবে নিজেদের অবস্থান করে নিচ্ছে। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের আয় উৎসে পরিণত হয়েছে।
লটকন গাছ সাধারণত গ্রীষ্মকালে ফল দেয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লটকনের চাষ হয়ে থাকলেও আঞ্চলিক জলবায়ু ও মাটি উর্বরতার উপর ভিত্তি করে নরসিংদীতে এর ব্যাপক পরিমাণের চাষাবাদ হয়ে থাকে। দিন দিন এর উৎপাদন ও বাজার সরবরাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বেলাব উপজেলার লটকন চাষি তমিজ উদ্দিন জানানা, “আগে লটকনকে আমরা শুধু আঙিনার ফল হিসেবে ভাবতাম। এখন এটি থেকে ভালো মুনাফা হচ্ছে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি লটকন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১২০ টাকা, যা আমাদের জীবিকা নির্বাহে অনেক সাহায্য করছে।”
পুষ্টিবিদরা বলছেন, লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি স্বাস্থ্যসম্মত একটি ফল। হজমে সহায়ক হওয়াসহ শিশুদের জন্যও এটি উপকারী।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লটকনের চাহিদা বাড়ার কারণে এটি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ফলের তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিচ্ছে। দেশীয় বাজার ছাড়াও ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এখন বাজারে রপ্তানি হচ্ছে লটক। বিশ্ব বাজারে দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদা।
তবে, বর্তমানে লটকনের সংরক্ষণ ব্যবস্থা ও আধুনিক বিপণনের অভাবে কৃষকরা পূর্ণ মুনাফা পাচ্ছেন না। তাই সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর উচিত সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও চাষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া।
বেলাব উপজেলা কৃষি অফিসার মুহিবুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, " টক-মিষ্টি লটকন এখন শুধু একটি সুস্বাদু ফল নয়, দেশের কৃষি ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবেও পরিগণিত হচ্ছে। এ বছর বৈরী আবহাওয়ার
তাসমিম