ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

ইউএনও’র উদ্যোগে দুই গৃহহীন পরিবারের ঠাঁই হলো গুচ্ছগ্রামে

মারুফুর রহমান, শেরপুর:

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ১ জুলাই ২০২৫

ইউএনও’র উদ্যোগে দুই গৃহহীন পরিবারের ঠাঁই হলো গুচ্ছগ্রামে

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ

‘‘ঘর নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই’’ এমন করুণ বাস্তবতায় জীবন কাটছিল মমেনা বেগম ও শেফালী বেগমের মতো দুই অসহায় নারীর। তবে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেলের মানবিক হস্তক্ষেপে এখন তাদের ঠাঁই হলো গোমড়া গুচ্ছ গ্রামে একটি নিরাপদ আশ্রয়ে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গুচ্ছগ্রামে সরেজমিনে গিয়ে ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল নিজে উপস্থিত থেকে গৃহহীন মমেনা বেগম ও শেফালী বেগমকে দুটি খালি সরকারি ঘরে তুলে দেন। ওই সময় ভূমি অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বিধবা মমেনা বেগমকে নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে অসহায়ত্বের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা ইউএনও’র দৃষ্টিগোচর হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন তিনি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

মমেনা বেগম স্বামী হারানোর পর সন্তানদের নিয়ে চরম দারিদ্র্য ও নিরাপত্তাহীনতায় জীবন কাটাচ্ছিলেন। অন্যদিকে শেফালী বেগমের জীবনের সংগ্রাম ছিল প্রায় অভিন্ন। দিনমজুরি করে কোনোরকমে দিন চলে যেত, কিন্তু মাথা গোঁজার একটি ঘর ছিল তাদের কাছে স্বপ্নের মতো।

ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা দুই নারী কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, “জীবনে অনেক কষ্ট করেছি, আজ ঘর পেয়ে মনে হচ্ছে নতুন করে বাঁচতে পারবো। ইউএনও স্যারের জন্য আমাদের দোয়া শেষ হবে না।” তারা দু’হাত তুলে ইউএনও’র জন্য দোয়া করেন এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ঘর হস্তান্তরের সময় ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “গণমাধ্যমে বিষয়টি দেখে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এটি আমাদের দায়িত্ব। কেউ যেন খোলা আকাশের নিচে না থাকে, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।”

উল্লেখ্য, আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় গঠিত গুচ্ছ গ্রামগুলোতে সরকার নিয়মিত গৃহহীনদের পুনর্বাসনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইউএনও’র এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ জনসাধারণের মধ্যে প্রশাসনের প্রতি আস্থা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

ফারুক

×