ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

adbilive
adbilive
আপনাদের পাশে থাকার জন্য আমি কি একটি ভোট চাইতে পারি না? —ড. মাসুদ

আপনাদের পাশে থাকার জন্য আমি কি একটি ভোট চাইতে পারি না? —ড. মাসুদ

"আমাদের দেশে কেবল শেখ হাসিনার পতন হয়নি। শুধু আওয়ামীলীগের পতন হয়নি। একটি আদিপত্তবাদী শক্তির পতন ঘটিয়েছি আমরা। আমরা বলেছি বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত অন্য কোন দেশ থেকে হতে পারে না। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগনের মধ্য থেকে হতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে হতে হবে। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত জুলাই-আগষ্টের অন্দোলনে ভূমিকা পালন কারি সকল দল এবং মতের সঙ্গে আলোচনা করে হতে হবে। কোন একাটা দল বা কোন একজন ব্যাক্তিকে খুসি করে অন্তবর্তিকালিন সরকার বা নির্বাচন কমিশন কাজ করলে তারা কেবল তাদের নিরপেক্ষতাই হারাবেন তা শুধু না, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। আমরা চাই আমরা সবাই মিলে এ দেশটাকে গড়ে তুলব।নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই।

ঈদের পরের সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ১৫০ কোটি

ঈদের পরের সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ১৫০ কোটি

টানা আট সপ্তাহ পতনের পর ঈদের ছুটির সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫০ কোটি টাকার বেশি। আর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় ৫০ পয়েন্ট। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান। আর দৈনিক গড় লেনদেন বেড়ে ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে, গত ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদের পর থেকে শেয়ারবাজারে টানা ৮ সপ্তাহ দরপতন হয়। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ চিত্র উঠে আসে। শেয়ারবাজারে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৩ কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়ছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহ শেয়ারবাজারে মূল্য সূচক বাড়ল। তবে এর আগে ৮ সপ্তাহ পতনের মধ্যে থাকে শেয়ারবাজার। টানা ৮ সপ্তাহের পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ২৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। আর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫৮২ পয়েন্ট। টানা ৮ সপ্তাহ পতনের পর ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মেলে। ওই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ৩ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও অন্য সূচক কমে। তবে দ্বিতীয় ও চতুর্থ কার্যদিবসে সবকটি মূল্য সূচক বাড়ে। আর তৃতীয় ও পঞ্চম কার্যদিবসে সবকটি মূল্যসূচক কমে। উত্থান-পতনের এই বাজারে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯৪টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৯টির। আর ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলস্বরূপ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫২ কোটি টাকা বা দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচকও বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৬ শতাংশ। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ৭১ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এতে দুই সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ল ১১৬ পয়েন্ট। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৭ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২৪১ কোটি ১ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা ৩৫ শতাংশ।

ফল মেলার শেষদিনে বিক্রির ধুম

ফল মেলার শেষদিনে বিক্রির ধুম

রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে চলা তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার শনিবার ছিল শেষদিন। মেলার শেষদিনে শনিবার বিক্রির ধুম লাগে মেলায়। মেলায় এদিনও শত শত ফলের সমাহার ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কয়েকবছরের মতো এ বছর ফল মেলায় প্রায় ৮০টি স্টল রয়েছে। এসব স্টলে আম, জাম, লিচু, কাঁঠালসহ শত রকমের ফল পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এবার মেলায় আমের ‘একচ্ছত্র আধিপত্য’ ছিল। ১৯ জুন তিন দিনব্যাপী এ জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন করেছিলেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শনিবার বিকেলে মেলার সমাপনী হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। সরকারি পর্যায়ে ২৬টি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৪৯টি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশ নিয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৩১টি উপজেলায় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলায় ল্যাংড়া, আ¤্র্রপালি, নাগ ফজলি, বারি-৪, হাঁড়িভাঙা, সূর্যপুরি এসব দেশি জাতের আম তো আছেই। সঙ্গে আছে থাই কাটিমন, পোকড়ি, হানিভিউ, ব্যানানা, মিয়াজাকি, আপেল ম্যাঙ্গো, কিং অব চাকাপাতসহ আরও বহু জাতের আম রয়েছে। এবার মেলায় বিক্রি অন্যান্য বছরের চেয়েও ভালো ছিল বলে জানিয়েছেন আয়োজক ও বিক্রেতারা। মেলায় সোলেমানপুর কৃষিপণ্য সংগ্রহ বিপণন কেন্দ্রের আহসান হাবিব রাব্বি বলেন, প্রচুর ক্রেতা ছিল এবার মেলায়। গত কয়েকবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী এবার মনে হয়েছে। ক্রেতাও ছিল ভালো। বেচাবিক্রি ভালো হয়েছে। মেলায় আম রপ্তানিকারক ও গ্লোবাল ট্রেড লিংকের স্বত্বাধিকারী রাজিয়া সুলতানা বলেন, আমাদের স্টলে রপ্তানিযোগ্য সব ধরনের আম প্রদর্শন করা হচ্ছে। ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মেলায় প্রায় কয়েকটন আমের পসরা নিয়ে বসেছেন কৃষি কেন্দ্রের মুজিবর রহমান নান্নু। তিনি বলেন, প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকার আম বিক্রি হচ্ছে। আগে এত বিক্রি হতো না। বেশ কয়েকবছর টানা এ মেলা হওয়ার কারণে অনেক ক্রেতা মেলায় ফল কেনার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। সুমু জামান নামের একজন ক্রেতা বলেন, ধানম-ি থেকে প্রতিবছর আমরা ফল কিনতে এ মেলায় আসি। এখানে কম দামে কেমিক্যালমুক্ত ও ভালোমানের ফল পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। এবারের মেলায় বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফল প্রদর্শনীর আয়োজন করে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্টলে ১০০ প্রজাতির ফল প্রদর্শন হচ্ছে। এরমধ্যে ২৫ জাতের আম, ৭টি জাতের কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফল রয়েছে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সেখানে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মশিউর রহমান, এবার খুব ভালো সাড়া মেলায়। মানুষের ফল নিয়ে এখন আগ্রহ বাড়ছে। প্রচুর মানুষ ফলের জাত, সেগুলো কীভাবে চাষ করবেন-এমন নানা তথ্য চাচ্ছেন।