
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে চলা তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা
রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে চলা তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার শনিবার ছিল শেষদিন। মেলার শেষদিনে শনিবার বিক্রির ধুম লাগে মেলায়। মেলায় এদিনও শত শত ফলের সমাহার ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কয়েকবছরের মতো এ বছর ফল মেলায় প্রায় ৮০টি স্টল রয়েছে। এসব স্টলে আম, জাম, লিচু, কাঁঠালসহ শত রকমের ফল পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এবার মেলায় আমের ‘একচ্ছত্র আধিপত্য’ ছিল।
১৯ জুন তিন দিনব্যাপী এ জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন করেছিলেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শনিবার বিকেলে মেলার সমাপনী হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। সরকারি পর্যায়ে ২৬টি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৪৯টি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশ নিয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৩১টি উপজেলায় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলায় ল্যাংড়া, আ¤্র্রপালি, নাগ ফজলি, বারি-৪, হাঁড়িভাঙা, সূর্যপুরি এসব দেশি জাতের আম তো আছেই। সঙ্গে আছে থাই কাটিমন, পোকড়ি, হানিভিউ, ব্যানানা, মিয়াজাকি, আপেল ম্যাঙ্গো, কিং অব চাকাপাতসহ আরও বহু জাতের আম রয়েছে। এবার মেলায় বিক্রি অন্যান্য বছরের চেয়েও ভালো ছিল বলে জানিয়েছেন আয়োজক ও বিক্রেতারা। মেলায় সোলেমানপুর কৃষিপণ্য সংগ্রহ বিপণন কেন্দ্রের আহসান হাবিব রাব্বি বলেন, প্রচুর ক্রেতা ছিল এবার মেলায়। গত কয়েকবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী এবার মনে হয়েছে। ক্রেতাও ছিল ভালো। বেচাবিক্রি ভালো হয়েছে।
মেলায় আম রপ্তানিকারক ও গ্লোবাল ট্রেড লিংকের স্বত্বাধিকারী রাজিয়া সুলতানা বলেন, আমাদের স্টলে রপ্তানিযোগ্য সব ধরনের আম প্রদর্শন করা হচ্ছে। ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মেলায় প্রায় কয়েকটন আমের পসরা নিয়ে বসেছেন কৃষি কেন্দ্রের মুজিবর রহমান নান্নু। তিনি বলেন, প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকার আম বিক্রি হচ্ছে। আগে এত বিক্রি হতো না।
বেশ কয়েকবছর টানা এ মেলা হওয়ার কারণে অনেক ক্রেতা মেলায় ফল কেনার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। সুমু জামান নামের একজন ক্রেতা বলেন, ধানম-ি থেকে প্রতিবছর আমরা ফল কিনতে এ মেলায় আসি। এখানে কম দামে কেমিক্যালমুক্ত ও ভালোমানের ফল পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে।
এবারের মেলায় বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফল প্রদর্শনীর আয়োজন করে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্টলে ১০০ প্রজাতির ফল প্রদর্শন হচ্ছে। এরমধ্যে ২৫ জাতের আম, ৭টি জাতের কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফল রয়েছে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সেখানে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মশিউর রহমান, এবার খুব ভালো সাড়া মেলায়। মানুষের ফল নিয়ে এখন আগ্রহ বাড়ছে। প্রচুর মানুষ ফলের জাত, সেগুলো কীভাবে চাষ করবেন-এমন নানা তথ্য চাচ্ছেন।