
ছবি: জনকণ্ঠ
ভিটামিন সি-এর পাওয়ার হাউস বলা হয় লেবুকে। গরমে এক গ্লাস লেবুর শরবত যেমন প্রাণ জুড়ায়, তেমনি গরম পানিতে মিশিয়ে নেওয়া লেবুর রস বিপাকের হার ভালো রাখে। আবার ডাল ও ভর্তার সঙ্গে এক কোয়া লেবু স্বাদ বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ।
লেবু জল পান করার কিছু সাধারণ সুবিধা নিচে দেওয়া হল:
প্রদাহ হ্রাস করে: দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বাত, হৃদরোগ এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার ধরনের রোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে হেস্পেরিডিন এবং ডায়োসমিনের মতো ফ্ল্যাভোনয়েড শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলগুলোকে নিরপেক্ষ করে প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে পারে। নিয়মিত লেবু জল পান করা প্রদাহ ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখতে পারে।
পটাসিয়াম প্রদান করে: লেবু একটি ভালো পটাসিয়াম উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পেশী ও স্নায়ু কাজের সমর্থন এবং হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।
মেজাজ উন্নত করে: লেবু জলের সতেজ সুবাস ও প্রাণবন্ত স্বাদ মেজাজকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ভিটামিন সি স্ট্রেস মোকাবিলায় সহায়তা করে।
শ্বাস সতেজ করে: লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড মুখগহ্বরে ব্যাকটেরিয়া জন্মানো রোধ করে এবং দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সহায়তা করে: লেবুতে থাকা পেকটিন ফাইবার পূর্ণতার অনুভূতি জাগায়, যা ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে সহায়তা করে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ: লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং লোহার শোষণ বাড়ায়।
শরীরকে ক্ষারীয় করে: লেবুর অম্লীয় স্বাদ সত্ত্বেও এটি বিপাকের পর শরীরে ক্ষারীয় প্রভাব ফেলে, যা হজম ও ইমিউন সিস্টেমের জন্য উপকারী।
হাইড্রেশন বাড়ায়: লেবু জল পান করা পানি পানের ইচ্ছা বাড়ায়।
কিডনির পাথর প্রতিরোধে সহায়ক: লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনির পাথর ভেঙে তা মূত্রনালী দিয়ে বেরিয়ে যেতে সহায়তা করে।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দূষণ ও ইউভি রশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: অতিরিক্ত লেবু জল দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে। খড় ব্যবহার করে পান করা ও পরে মুখ ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। গ্যাস্ট্রিকের রোগীরা লেবু জল পান করলে অস্বস্তি পেতে পারেন।
শহীদ